জিয়াউর রহমানকে অখণ্ডিত সত্ত্বা বলে অভিহিত করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

তিনি বলেছেন, “ইবির জন্য জিয়াউর রহমান একটি অখণ্ডিত সত্ত্বা, কোনো ক্ষুদ্র সত্ত্বা নয়। তিনি একটিমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দেখবে বুদ্ধিবৃত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিতে। তিনি মানুষের আলোচনায়, চিন্তায় ও গবেষণায় সারাজীবন বেঁচে থাকবেন।”

মঙ্গলবার (২৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

পাবিপ্রবিতে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন

যৌন হয়রানির অভিযোগে নোবিপ্রবি আরেক শিক্ষক বরখাস্ত 

বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাব ও জিয়া পরিষদের যৌথ আয়োজনে ‘শহীদ জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচি এবং প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য বলেন, “দেশের সবাইকে বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ধারণা নিয়ে এসেছেন। তার পরে একটি দলও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে কথা বলেনি। তার এই ধারণা এখনো কেউ ভুল প্রমাণ করতে পারেনি।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিয়া জাতীয়তাবাদী চিন্তার নায়ক। তিনি বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক দর্শন দিয়েছেন যা অন্য কেউ পারেনি। তিনি ছিলেন আমাদের ঐক্যের প্রতীক। বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের যেসব চিন্তা, তা অনেক আগেই জিয়াউর রহমানের ১৯ দফায় উঠে এসেছে।”

এসময় তিনি আগামী প্রজন্মের কাছে জিয়াউর রহমানের জীবন ও কর্ম তুলে ধরতে তাঁর উপর গবেষণা ও লেখালেখি করতে শিক্ষকদের পরামর্শ দেন। এছাড়া জাতীয়তাবাদী চিন্তার চর্চা ও গবেষণার উদ্দেশ্যে ইবিতে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরির আশ্বাস দেন তিনি।

সেমিনারে ইউট্যাবের ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক তোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম। মুখ্য আলোচক ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড.

এমতাজ হোসেন।

আলোচক হিসেবে ছিলেন ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ফারুকুজ্জামান খান। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একেএম মতিনুর রহমান।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মাস ফ্রিজে রাখার পর মামুনের মাথায় খুলি পুনঃস্থাপন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথায় খুলি প্রায় দুই মাস ফ্রিজে সংরক্ষণ করার পর সফলভাবে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। 

শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে খুলি পুনঃস্থাপন করেন চিকিৎসকরা। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুন মিয়ার মাথায় সফলভাবে অপারেশন করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মামুন মিয়া।

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, চবিতে সংঘর্ষের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মামুন মিয়াকে পার্কভিউ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। অপারেশনের সময় তার মাখার খুলি খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর সফল অপারেশনের মাধ্যমে শনিবার মামুনের মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে মামুনসহ চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মামুনের মাথার খুলি খুলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ