জিয়াউর রহমানকে অখণ্ডিত সত্ত্বা বললেন ইবি উপাচার্য
Published: 27th, May 2025 GMT
জিয়াউর রহমানকে অখণ্ডিত সত্ত্বা বলে অভিহিত করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
তিনি বলেছেন, “ইবির জন্য জিয়াউর রহমান একটি অখণ্ডিত সত্ত্বা, কোনো ক্ষুদ্র সত্ত্বা নয়। তিনি একটিমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দেখবে বুদ্ধিবৃত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিতে। তিনি মানুষের আলোচনায়, চিন্তায় ও গবেষণায় সারাজীবন বেঁচে থাকবেন।”
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
পাবিপ্রবিতে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
যৌন হয়রানির অভিযোগে নোবিপ্রবি আরেক শিক্ষক বরখাস্ত
বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাব ও জিয়া পরিষদের যৌথ আয়োজনে ‘শহীদ জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচি এবং প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য বলেন, “দেশের সবাইকে বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ধারণা নিয়ে এসেছেন। তার পরে একটি দলও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে কথা বলেনি। তার এই ধারণা এখনো কেউ ভুল প্রমাণ করতে পারেনি।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিয়া জাতীয়তাবাদী চিন্তার নায়ক। তিনি বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক দর্শন দিয়েছেন যা অন্য কেউ পারেনি। তিনি ছিলেন আমাদের ঐক্যের প্রতীক। বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের যেসব চিন্তা, তা অনেক আগেই জিয়াউর রহমানের ১৯ দফায় উঠে এসেছে।”
এসময় তিনি আগামী প্রজন্মের কাছে জিয়াউর রহমানের জীবন ও কর্ম তুলে ধরতে তাঁর উপর গবেষণা ও লেখালেখি করতে শিক্ষকদের পরামর্শ দেন। এছাড়া জাতীয়তাবাদী চিন্তার চর্চা ও গবেষণার উদ্দেশ্যে ইবিতে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরির আশ্বাস দেন তিনি।
সেমিনারে ইউট্যাবের ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক তোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম। মুখ্য আলোচক ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড.
আলোচক হিসেবে ছিলেন ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ফারুকুজ্জামান খান। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একেএম মতিনুর রহমান।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে এনসিপির কমিটিতে নাম আসা একজন বললেন, তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সুনামগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে নাম আসা একজন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত।
গতকাল শনিবার রাতে এনসিপির সুনামগঞ্জ জেলা শাখার ৩১ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়েছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা মরমি সাধক হাসন রাজার প্রপৌত্র দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরীকে (সুমন)। সংগঠনের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী ২০১৮ সালে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে তাঁকে বিএনপির রাজনীতিতে কখনো সক্রিয় দেখা যায়নি।
কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে রাখা হয়েছে পাঁচজনকে। এর মধ্যে প্রথমে নাম থাকা মো. হারুনুর রশিদ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে তিনি দলের নির্দেশনা অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলেন, এনসিপি থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে কমিটি নিয়ে বা কমিটিতে রাখার বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
হারুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এনসিপি থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কথাবার্তা হয়েছে। তবে আমি তাদের সঙ্গে যোগ দিইনি। এখন হঠাৎ কমিটিতে নাম দেখে আমি বিব্রত। আমি বিএনপিতেই আছি এবং থাকব।’
কমিটির আরেক যুগ্ম সমন্বয়কারী আতাউর রহমান ছাত্র–জনতার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। যুগ্ম সমন্বয়কারী আবু সালেহ নাসিম সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ছিলেন।
কমিটির বিষয়টি কেন্দ্র থেকে সমন্বয় করা হয়েছে জানিয়ে জেলার প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পাওয়া সাজাউর রাজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলাম না। জুলাই গণ–আন্দোলনে সমর্থন ছিল। আমরা বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে নিয়ে কাজ করব। মানুষ আর নৈরাজ্য, সন্ত্রাস চায় না। শান্তি ও স্বস্তি চায়। একটি সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চায়।’
কমিটিতে থাকা অন্যরা হলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী ইসহাক আমিনি ও শহিদুল ইসলাম; সদস্য দেওয়ান তাসাদ্দুক রাজা, আলাল উদ্দিন, করিম মিয়া, শিবনাথ বিশ্বাস, জুলপাশ খান, ফয়সাল আহমদ, শাহানুর আলম, বিকাশ রঞ্জন তালুকদার, মো. রেজাউল করিম, আমিনুল হক, মির্জা আবদুল অদুদ, আলি হোসেন খান, মো. নুরুল ইসলাম, মো. আজাদনুর মিয়া, শ্যামল শান্ত, হাসান আল মাসুম, হাফেজ আরিফুল ইসলাম সরকার, মো. শামিম আহমদ, মো. আবদুর রহমান, হাফিজ আহমদ, সাদিকুর রহমান, রফিক আহমদ, মো. সাইফুল ইসলাম, মকবুল হোসেন ও মো. আলী রাজ আহমদ।