নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে কিশোরের পা বিচ্ছিন্ন
Published: 22nd, June 2025 GMT
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে আরাফাতুল ইসলাম (১৭) নামের এক কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রবিবার (২২ জুন) দুপুরে ৪৪ নম্বর সীমান্ত পিলারের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আরাফাতুল সীমান্তবর্তী জামছড়ি এলাকার খুইল্যা মিয়ার ছেলে। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোর আরাফাতুল তার বাবার সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় বাঁশ সংগ্রহ করতে গিয়ে অবৈধভাবে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢুকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিস্ফোরণের পরপরই স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি মাসরুরুল হক বলেন, “মাইন বিস্ফোরণে এক কিশোর আহত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।”
ঢাকা/চাই মং/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষকদের শাস্তি দাবিতে শাবিতে মানববন্ধন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অন্য মেয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন তারা।
রোববার বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনের সড়কে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্য শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা জানাজানির পরে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীদের চরিত্র নিয়ে কুৎসা রটনা হচ্ছে। কোনো কোনো মেয়ে শিক্ষার্থীর ছবি দিয়ে বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে তাদের বুলিং করা হচ্ছে। এসব কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আল-আমিন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় দুই ছাত্র জড়িত থাকায় আমাদের বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মর্মাহত। আমরা জড়িতদের রাষ্ট্রীয় আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। এদিকে এ ঘটনার পরে সামাজিক মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। আমরা এসব সাইবার বুলিংয়ের নিন্দা জানাচ্ছি। নারী শিক্ষার্থীদের নামে বানোয়াট তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তা বন্ধ না হলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
গত ২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে তাঁর দুই সহপাঠী মেসে নিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের পাশাপাশি মেয়ের ভিডিও ও নগ্ন ছবি ধারণ করে। ১৯ জুন ওই দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে প্রশাসন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ২০ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। এ মামলায় পুলিশ ধর্ষক শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাস পার্থকে গ্রেপ্তার করেছে।