কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় ছয় মাসে মৃত্যু ৪২২ শ্রমিকের
Published: 1st, July 2025 GMT
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪২২ শ্রমিক। ৩৭৩টি দুর্ঘটনায় এসব শ্রমিকের মৃত্যু হয়। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এ বছর দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু কমেছে। ওই সময়ে ৪৭৫ জন শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন ৪২০ দুর্ঘটনায়।
বেসরকারি সংগঠন সেইফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটির (এসআরএস) জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার সংগঠনটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তারা সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন তৈরি করেছে। জরিপ অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে পরিবহন খাতে; মোট ২০৭ জন নিহত হন। এর পর রয়েছে সেবামূলক খাত (৬৫ জন), কৃষি খাত (৫৯ জন), নির্মাণ খাত (৫৯ জন) এবং কলকারখানা ও উৎপাদনশীল খাত (৩২ জন)।
মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬৭ জন, বিদ্যুৎস্পর্শে ৪০ জন, বজ্রপাতে ৫৬ জন, ছাদ বা উঁচু স্থান থেকে পড়ে ২৩ জন, ভারী বস্তুর আঘাতে ৯ জন, বিষাক্ত গ্যাসে ১ জন, পানিতে ডুবে ৫ জন, আগুন ও বিস্ফোরণে ১২ জন, মাটি ও দেয়াল ধসে ৮ জন এবং অন্যান্য কারণে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পুতিনকে কেন গ্রেপ্তার করা হবে না
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০২৩ সালের মার্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সে সময় পুতিনকে একজন ‘যুদ্ধাপরাধী’ আখ্যায়িত করে বলেছিলেন, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ন্যায়সংগত। তবে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য কোনো দেশ নয়।
২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, ওই সংবিধির আলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কখনো ওই চুক্তিকে আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক করার জন্য অনুসমর্থনের জন্য পদক্ষেপ নেয়নি।
বিল ক্লিনটন রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরের দুই বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সম্পৃক্ততার অবসান ঘটান। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেছিলেন, প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।
সে কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কার্যকারিতা আমেরিকার মাটিতে নেই।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন প্রকাশ্যে আইসিসির প্রতি বৈরিতা করছে। নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত এই আদালতের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা যুদ্ধাপরাধ করেছেন, এমন অভিযোগের তদন্ত করায় আইসিসির ওই সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
আইসিসির এখতিয়ারের এই ঘাটতিই পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আজকের বৈঠকের স্থান হিসেবে আলাস্কাকে বেছে নেওয়ার একটি কারণ হতে পারে।
অবশ্য আইসিসির স্বাক্ষরকারী দেশ মঙ্গোলিয়ায় ২০২৩ সালের আগস্টে সফর করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সে সময় তাঁকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের অনুরোধ করা হলেও তাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল দেশটি। সে জন্য মঙ্গোলিয়াকে কোনো পরিণতি ভোগ করতে হয়নি।
শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আইন কেবল ততটাই কার্যকর হয়, যতটা দেশগুলোর সরকার এবং তাদের নেতারা কার্যকর করতে চান। আর এই ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে চান এবং এই সাক্ষাৎ তাঁর পছন্দ মতো করতে তাঁকে আটকানোর মতো কিছুই নেই।