চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪২২ শ্রমিক। ৩৭৩টি দুর্ঘটনায়  এসব শ্রমিকের মৃত্যু হয়। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এ বছর দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু কমেছে। ওই সময়ে ৪৭৫ জন শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন ৪২০ দুর্ঘটনায়। 

বেসরকারি সংগঠন সেইফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটির (এসআরএস) জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার সংগঠনটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তারা সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন তৈরি করেছে। জরিপ অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে পরিবহন খাতে; মোট ২০৭ জন নিহত হন। এর পর রয়েছে সেবামূলক খাত (৬৫ জন), কৃষি খাত (৫৯ জন), নির্মাণ খাত (৫৯ জন) এবং কলকারখানা ও উৎপাদনশীল খাত (৩২ জন)।

মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬৭ জন, বিদ্যুৎস্পর্শে ৪০ জন, বজ্রপাতে ৫৬ জন, ছাদ বা উঁচু স্থান থেকে পড়ে ২৩ জন, ভারী বস্তুর আঘাতে ৯ জন, বিষাক্ত গ্যাসে ১ জন, পানিতে ডুবে ৫ জন, আগুন ও বিস্ফোরণে ১২ জন, মাটি ও দেয়াল ধসে ৮ জন এবং অন্যান্য কারণে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন দ র ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

সিনেটে ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ নিয়ে বিতর্ক শুরু

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৯৪০ পৃষ্ঠার ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই বিলে করছাড় এবং স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য কর্মসূচিতে ব্যাপক কাটছাঁটের প্রস্তাব করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গত রোববার রাতে এই অধিবেশন চলে। নিরপেক্ষ কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও) জানায়, বিলটি এক দশকে মার্কিন ঋণ ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার বাড়িয়ে দেবে।

সিবিও আরও জানিয়েছে, বিলটি আইনে পরিণত হলে ২০৩৪ সালের মধ্যে আরও ১ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন নাগরিক স্বাস্থ্যবীমার আওতার বাইরে চলে যাবে। তবে রিপাবলিকান নেতারা সিবিওর অনুমান প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা আগামী শুক্রবারের (স্বাধীনতা দিবস) মধ্যে এই বিল পাস করাতে চান। সে পর্যন্ত যেতে বিলটিকে আরও কয়েকটি ধাপ পাড়ি দিতে হবে। দুই কক্ষ বিলের একই সংস্করণে একমত না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট সই করতে পারবেন না।

শনিবার রাতে পদ্ধতিগত ভোটে বিলটি পাস করার জন্য তারা প্রায় পর্যাপ্ত সমর্থন পেয়েছিলেন। কিছু রিপাবলিকান বিরোধিতা করেছিলেন। ট্রাম্পের ফোনকল ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সফর এই আইনটি এগিয়ে রাখতে সাহায্য করেছিল।

নর্থ ক্যারোলাইনার রিপাবলিকান সিনেটর থম টিলিস শনিবার বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, মেডিকেইড-এ (স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সহায়তা) ব্যাপক কাটছাঁটের কারণে বিলটির পক্ষে ভোট দেননি। তবে পুনঃভোট হলে আর না ভোটে অংশ নেবেন না। কারণ, না ভোটের প্রতিশোধ হিসেবে প্রাইমারিতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে সমর্থন করার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘দারুণ খবর! সিনেটর থম টিলিস পুনর্নির্বাচনের জন্য লড়বেন না।’

অন্যান্য সিনেট রিপাবলিকানরা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে রক্ষণশীলদের সঙ্গে আরও বেশি কাটছাঁটের জন্য চাপ দিচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেছেন, ‘মনে রাখবেন, আপনাদের আবার নির্বাচিত হতে হবে। খুব বেশি পাগল হয়ে যাবেন না!’

সিনেটররা চাইলে বিলে সংশোধনী আনতে পারেন। বিলটি আইনে পরিণত হলে ফেডারেল কর কমবে, সামরিক ও সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যয় বাড়বে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ