আমদানি-রপ্তানি সার্টিফিকেট অনলাইনে ইস্যু বাধ্যতামূলক
Published: 1st, July 2025 GMT
আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট সার্টিফিকেট, লাইসেন্স, পারমিট অনলাইনে ইস্যু করা মঙ্গলবার (১ জুলাই) থেকে বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ১ জুলাই হতে আমদানি ও রপ্তানি পণ্য চালান শুল্কায়নের ক্ষেত্রে ১৯টি সংস্থার সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট ইস্যু করা বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে এসব বিষয় কার্যকর হবে। বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ড মূলত একটি অনলাইন প্লাটফর্ম, যা ব্যবহার করে একজন আমদানিকারক-রপ্তানিকারক পণ্য খালাসের জন্য প্রযোজ্য সব ধরনের সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিটের জন্য অনলাইনে আবেদন করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন।
এনবিআর জানায়, এসব সাটিফিকেট, লাইসেন্স পারমিট (সিএলপি) গ্রহণের আগে বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (বিআইএ) ব্যবহার করে বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ড সিস্টেমে (bswnbr.
এনবিআর আরো জানায়, বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ড ব্যবহার করে ইতোমধ্যে ৩ লাখ ৮৯ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট (সিএলপি) স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে এক ঘণ্টার কম সময়ে ৮৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ, এক দিনের কম সময়ে ৯৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় ইস্যু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট ইস্যুকারী ১৯টি সংস্থার (ডিজিডিএ, ইপিবি, ডিওইএক্স, বিএনএসিডব্লিউসি, বেজা, বেপজা, ডিওই, বিএসটিআই, বায়রা, বিএইসি, ক্যাব, বিআরটিসি, ডিওএফ, ডিএলএস, ডিকিউডব্লিউ, বিডা, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, সিসিআই অ্যান্ড ই) ক্ষেত্রে ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে দাখিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নাজমুল/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল দ শ স ঙ গ ল উইন ড স স ট ম ব যবহ র আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে অফিস সহকারীর বাসা থেকে ৫২ লাখ টাকা উদ্ধার
নরসিংদীর শিবপুরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের হেফাজত থেকে গোপনে সরিয়ে রাখা ৫২ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দায়েরকৃত অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গাজীপুর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে শিবপুর মডেল থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে অফিস সহকারী আরিফুল ইসলাম তুহিনের বাসা থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, পূর্বে হস্তান্তরিত অর্থের বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে মনোহরদী পৌরসভার নামাপাড়া চন্দনবাড়ি গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে অফিস সহকারী আরিফুল ইসলাম তুহিন (৩১) এবং শিবপুর থানার খড়িয়া গ্রামে জাকির হোসেনের ছেলে আশিক ভূইয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তুহিন তার বাসায় টাকা থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে পুলিশ তার দেয়া তথ্যানুযায়ী অভিযানে গিয়ে সেখান থেকে ৫২ লাখ টাকা উদ্ধার করে।
আরো পড়ুন:
ইউনূস-রুবিও ফোনালাপে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করায় জোর
ইমাম হবেন নেতৃত্বের দিশারি: ধর্ম উপদেষ্টা
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের সরকারি অর্থ অফিসের হেফাজতে না রেখে বাসায় রাখা গুরুতর অপরাধ। উদ্ধারকৃত অর্থের বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন। যেহেতু বিষয়টি দুদকের সিডিউলভুক্ত, তাই এজাহারটি দুর্নীতি দমন কমিশনের গাজীপুর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/হৃদয়/বকুল