দেশে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে দেয়। এর মেয়াদ ছিল ৩০ জুন পর্যন্ত। নতুন প্রজ্ঞাপনে এ সময়সীমা আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে এনএস ফর ডেঙ্গু, আইজিজি ফর ডেঙ্গু ও আইজিএম ফর ডেঙ্গু পরীক্ষার সরকারি নির্ধারিত সর্বোচ্চ ফি হলো ৫০ টাকা।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরেকটি আদেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনাবিষয়ক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলো এনএস ফর ডেঙ্গু, আইজিজি ফর ডেঙ্গু ও আইজিএম ফর ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সিবিসি পরীক্ষা করাতে ফি দিতে হবে ৪০০ টাকা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা আদায় করা যাবে না। বেসরকারি হাসপাতালে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুনটানা ৫ দিন ধরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হচ্ছে২৯ জুন ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র ফ ফর ড ঙ গ ব সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের তারিখ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়নি: সিইসি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কিছুদিন আগে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আলোচিত এ বৈঠেকে কী আলাপ হয়েছিল সে বিষয়ে কেউ কোনো কথা বলেননি। অবশেষে আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সিইসি। 

বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন ফুল গিয়ারে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্মের জবাবে সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা চান ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল নির্বাচন। তিনি সুষ্ঠু ভোট করতে অনেক আন্তরিক। তবে জাতীয় নির্বাচনের কোনো তারিখের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হলে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমেই আপনারা জানতে পারব। 

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এটি ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও কিছু বিষয় আলোচনায় এসেছে। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। আমরা জানিয়েছি পুরোদমে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।

তিনি বলেন, আমরা চারটা গিয়ার চালিয়ে ফুল গিয়ারে প্রস্তুতি নিচ্ছি। নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি। সরকার যখন চায় তখন যেন আমারা ইলেকশনটা করতে পারি।

লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতিতে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এই সময়সীমা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়েও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার কোনো কথা হয়নি। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এই সময় ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যথা সময়ে নির্বাচনের তারিখ এবং সিডিউল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ