জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শুরু হওয়া এ বিচারকার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ বিচার চলছে। এ ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো.

শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও আসামি।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলায় গ্রেপ্তার আছেন। অন্য দুই আসামি পলাতক। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক থাকায় তাঁদের পক্ষে মো. আমির হোসেনকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গত ১ জুন এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছিল। সে সময়ও তা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফেনীতে ২২৩টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু

ফেনীতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া ২২৩টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়েছিল।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী জেলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মেজবাহ উদ্দীন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এসব মামলার ১৬৬টি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের, ৩৫টি বিশেষ ক্ষমতা আইনের ও আইন লঙ্ঘন করে জমায়েত আর হামলার ঘটনায় ২২টি মামলা রয়েছে।

এর আগে গত ১৫ জুন এক চিঠিতে এসব মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা পিপিকে অনুরোধ জানিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার সহকারী সচিব মো. মফিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই পত্রে বলা হয়েছিল, ‘সরকার ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ৪৯৪ ধারার আওতায় ফেনী জেলার এসব মামলার প্রসিকিউশন না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

জানতে চাইলে পিপি মেজবাহ উদ্দীন খান বলেন, আইন মন্ত্রণালয় থেকে ফেনী জেলা প্রশাসককে এসব মামলা প্রত্যাহারের একটি তালিকা পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে তিনি তালিকাটি পেয়েছেন। এরপর আজ পিপি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা মামলাগুলো কোন আদালতে রয়েছে, তা বাছাই শুরু করেছেন। আগামীকাল বুধবার আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে মামলাগুলো প্রত্যাহারের আবেদন তাঁরা করবেন।

আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছিল বলে মনে করেন জেলা পৌর বিএনপির সদস্যসচিব মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি বলেন,‘২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪–এর গণ–অভ্যুত্থান পর্যন্ত এসব মামলা করা হয়েছিল। বিশেষ করে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে এসব মিথ্যা মামলা করা হয়। বেশির ভাগ মামলার বাদী পুলিশ আর গায়েবি জনগণ।’

শুধু রাজনীতি করার কারণে এসব মিথ্যা মামলার শিকার হতে হয়েছে বলে দাবি করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, বছরের পর বছর জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা–কর্মী মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছেন, রিমান্ডে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাকি রাজনৈতিক মামলাগুলোও প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ