বিজ্ঞানীরা নতুন এক জীবের কোষীয় সত্তার খোঁজ পেয়েছেন, যার মধ্যে প্রাণ ও প্রাণহীন উভয় অবস্থান দেখা গেছে। কানাডার নোভা স্কশিয়ার হ্যালিফ্যাক্সের ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী রিও হারাডারের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী সামুদ্রিক প্ল্যাঙ্কটন সিথারিস্টেস রেজিয়াসের ব্যাকটেরিয়া জিনোম বিশ্লেষণের সময় অদ্ভুত এই জীবের খোঁজ পান। বায়ো আর্কাইভ সাময়িকীতে রহস্যময় জীবটির বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

নতুন জীবের নামকরণ হয়েছে সুকুনাআর্কিয়াম মিরাবিল। আর্কিয়া ডোমেনের অন্তর্গত জীবটি তার হোস্টের কাছ থেকে কিছু কাজ ভাগাভাগি করে থাকে। এই জীব নিজস্ব রাইবোসোম ও আরএনএ তৈরি করতে পারে। জীবটির জিনোম আশ্চর্যজনকভাবে বেশ ছোট, যা ক্ষুদ্রতম আর্কিয়াল জিনোমের প্রায় অর্ধেক।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, সাধারণত ভাইরাসের জীবন ও কার্যকারিতা নির্ভর করে হোস্টের ওপর। অন্যদিকে নতুন প্রাণের সত্তা বেশ জটিল। সাধারণ জীবনের সঙ্গে ভাইরাসের মতো সত্তাকে মেলানো যায় না। সুকুনাআর্কিয়াম মিরাবিল নামকরণ হয়েছে জাপানের এক দেবতার নামে। এই দেবতা তার ছোট আকারের জন্য পরিচিত।

জীবটিতে নিজস্ব রাইবোসোম ও বার্তাবাহক আরএনএ তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় জিন রয়েছে। সুকুনাআর্কিয়ামের আবিষ্কার কোষীয় জীবনের প্রচলিত সীমানাকে সামনে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন আবিষ্কৃত জীবটি ভাইরাস ও কোষের মধ্যকার প্রাণ ও প্রাণহীন অবস্থার মধ্যকার রেখাটি অতিক্রম করছে বলেও ধারণা করছেন তাঁরা।

সূত্র: পপুলার মেকানিকস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর ক য

এছাড়াও পড়ুন:

শিশুর নাম রেখে ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত নেন তিনি

সদ্যোজাত সন্তানের নামকরণ নিয়ে মানুষের মধ্যে আনন্দ ও দোটানার শেষ নেই। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরের বাসিন্দা টেলর এ হামপ্রি শিশুদের নামকরণকে পেশায় পরিণত করেছেন। মা–বাবাকে নবজাতকের জন্য নাম খুঁজে পেতে সহায়তা করাই তাঁর কাজ। বিনিময়ে তিনি নেন লাখ লাখ টাকা।

দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট–এর তথ্যমতে, কোনো শিশুর নাম খুঁজে দিতে হামপ্রি সর্বোচ্চ ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত নেন, যা বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় প্রায় ৩৬ লাখ।

নামের প্রতি হামপ্রির ভালোবাসা পুরোনো। এক দশক আগে তিনি শিশুদের নামকরণে অনলাইনে সেবা দেওয়া শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে শিশুদের নাম রাখা নিয়ে প্রচার শুরু করেন। টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে বর্তমানে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তিনি পাঁচ শতাধিক শিশুর নাম রাখতে সহায়তা করেছেন।

হামপ্রির গর্ভবতী নারীদের মানসিক ও শারীরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ আছে। তা ছাড়া ব্র্যান্ডিং ও বিপণন নিয়েও তাঁর অভিজ্ঞতা আছে। নামকরণের ব্যবসা করতে তাঁকে এসব বিষয় সহায়তা করেছে।

নবজাতকের মা–বাবার পছন্দ বুঝতে হামপ্রি তাঁদের অনেক ধরনের প্রশ্ন করেন। সাধারণ ই-মেইল নামের তালিকা দিয়ে পরামর্শ দিতে তিনি নেন ২০০ ডলার (প্রায় ২৪ হাজার টাকা)। আর পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজের জন্য নেন ৩০ হাজার ডলার। এই প্যাকেজে অন্যান্য কিছুর মধ্যে যে শিশুর নাম রাখা হবে, তার পারিবারিক ইতিহাস ঘেঁটে দেখা হয়।

শুধু নাম প্রস্তাব নয়, শিশুর নাম রাখা নিয়ে মা-বাবার মধ্যে ভিন্নমত দেখা দিলে হামপ্রিকে অনেক সময় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও পালন করতে হয়। ধনী পরিবারের পাশাপাশি পরিচিত তারকারাও নবজাতকের নামকরণে তাঁর দ্বারস্থ হন।

২০২১ সালে নিউইয়র্কার–এ হামপ্রির প্রোফাইল ছাপানো হয়। এর পর থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়।

হামপ্রিকে নিয়ে অনলাইনে কিছুটা সমালোচনাও হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করা হয়েছে, এমন আধেয়র (কনটেন্ট) মাধ্যমে প্রায় সময় মানুষ আমাকে খুঁজে পায়। তাই আমি এটা মেনে নিয়েছি। কারণ, আমি বিশ্বাস করি, আমার কাজটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিশুর নাম রেখে ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত নেন তিনি