ফেনীতে ২২৩টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু
Published: 1st, July 2025 GMT
ফেনীতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া ২২৩টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী জেলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মেজবাহ উদ্দীন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসব মামলার ১৬৬টি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের, ৩৫টি বিশেষ ক্ষমতা আইনের ও আইন লঙ্ঘন করে জমায়েত আর হামলার ঘটনায় ২২টি মামলা রয়েছে।
এর আগে গত ১৫ জুন এক চিঠিতে এসব মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা পিপিকে অনুরোধ জানিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার সহকারী সচিব মো.
জানতে চাইলে পিপি মেজবাহ উদ্দীন খান বলেন, আইন মন্ত্রণালয় থেকে ফেনী জেলা প্রশাসককে এসব মামলা প্রত্যাহারের একটি তালিকা পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে তিনি তালিকাটি পেয়েছেন। এরপর আজ পিপি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা মামলাগুলো কোন আদালতে রয়েছে, তা বাছাই শুরু করেছেন। আগামীকাল বুধবার আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে মামলাগুলো প্রত্যাহারের আবেদন তাঁরা করবেন।
আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছিল বলে মনে করেন জেলা পৌর বিএনপির সদস্যসচিব মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি বলেন,‘২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪–এর গণ–অভ্যুত্থান পর্যন্ত এসব মামলা করা হয়েছিল। বিশেষ করে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে এসব মিথ্যা মামলা করা হয়। বেশির ভাগ মামলার বাদী পুলিশ আর গায়েবি জনগণ।’
শুধু রাজনীতি করার কারণে এসব মিথ্যা মামলার শিকার হতে হয়েছে বলে দাবি করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, বছরের পর বছর জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা–কর্মী মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছেন, রিমান্ডে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাকি রাজনৈতিক মামলাগুলোও প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক হয় ছ ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
কুমারখালী পৌরসভায় কিলঘুষিতে গাড়িচালকের মৃত্যুর অভিযোগ, অভিযুক্ত কর্মচারীর বাড়ি ভাঙচুর
কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভায় বকেয়া বেতন নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে কর্মচারীর কিলঘুষিতে এক গাড়িচালকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পৌর ভবনের একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। একপর্যায়ে পৌর ভবনের প্রধান ফটক আটকে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম শহিদুল আলম (৫৭)। তিনি পৌর এলাকার শেরকান্দি এলাকার বাসিন্দা। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ফিরোজুল ইসলাম। তিনিও পৌর এলাকার শেরকান্দির বাসিন্দা এবং পৌরসভার সার্ভেয়ার হিসেবে কর্মরত।
শহিদুলের মেয়ে সুবর্ণা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘পৌরসভায় বড় কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন হয়। আমার বাবা ছোট কর্মচারী। তাঁর বেতন হচ্ছিল না। আজ সকালে বেতন চাইতে গেলে পৌরসভার সার্ভেয়ার মো. ফিরোজুল ইসলাম বাবাকে ব্যাপক কিলঘুষি ও লাথি মেরে হত্যা করে। পরে লাশটি পৌরসভার ১০১ নম্বর কক্ষে আটকে রেখেছিল। আমি থানায় মামলা করব। আসামিদের ফাঁসি চাই।’
পুলিশ, পৌরসভা ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, প্রথম শ্রেণির কুমারখালী পৌরসভায় প্রায় ৫৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। তাঁরা ৪২ মাসের বকেয়া বেতন বাবদ ১০ কোটি টাকা বেতন পাবেন। আজ সকালে বেতনের দাবিতে পৌরসভার বিভিন্ন কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেন গাড়িচালক শহিদুল ইসলাম। ওই সময় সার্ভেয়ার ফিরোজুলের কক্ষটি (১১৫ নম্বর) বন্ধ করতে যান। তখন ফিরোজুলের সঙ্গে শহিদুলের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে কিলঘুষি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পৌরসভায় অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলে ফিরোজুলকে ১১৫ নম্বর এবং শহিদুলকে ১০১ নম্বর কক্ষে আটকে রাখেন। কিছুক্ষণ পর ১০১ নম্বর কক্ষে গিয়ে তাঁরা শহিদুলকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে সকাল ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শহিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার গাড়িচালক শহিদুলের মৃত্যুর খবরে জনতার বিক্ষোভ। আজ সকালে পৌরসভা চত্বরে