বরগুনায় চাঁদাবাজির অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৪
Published: 1st, July 2025 GMT
বরগুনার তালতলী উপজেলায় চাঁদাবাজির অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তালতলী উপজেলা শহরের সদর সড়কে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত চারজনকে বরিশালের শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো.
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে দুই পক্ষের নেতা–কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে নৌবাহিনীর সদস্যরা এসে লাঠিপেটা করে দুই পক্ষের নেতা–কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তালতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, শহিদুল হক ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি ও একজন ব্যবসায়ীকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা ব্যবসায়ীদের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করেন। এ কর্মসূচি চলাকালীন হামলা করা হয়। এতে ব্যবসায়ী ও বিএনপির নেতা–কর্মীরা আহত হন।
তবে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদে স্থানীয় সাধারণ মানুষের মানববন্ধন চলছিল। এ সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ও যুবদলের সদস্যসচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের নেতৃত্বে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আহত আমার চারজন সমর্থককে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।’
তালতলী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন গুরুতর আহত থাকায় বরিশালের শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে নৌবাহিনীর সহায়তায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরের দোকানপাট দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য় স ঘর ষ ত লতল উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: আখতার
জাতীয় পার্টিকে ‘দলদাস ও দালাল’ উল্লেখ করে দলটির বিরুদ্ধে রংপুরের মানুষকে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রংপুর নগরের ডিসি মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আখতার হোসেন এ আহ্বান জানান। এই সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র আজকের কর্মসূচি শেষ হয়।
আজ সকালে এই গণপদযাত্রা শুরু করেছে এনসিপি। রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর জাফরপাড়া গ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর পদযাত্রা যায় গাইবান্ধায়। পরে এনসিপির নেতারা রংপুরে ফিরে আসেন।
রংপুরের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আখতার হোসেন বলেন, ‘একটি দল আছে, যে দল বাংলাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে সবচেয়ে নগ্নভাবে ভূমিকা পালন করেছে। সেই গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টি রংপুরে বিভিন্ন ধরনের নাশকতা করছে। তারা আমাদের ভাইদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমরা রংপুরের মাটি থেকে হুঁশিয়ারি দিতে চাই, অবিলম্বে জাতীয় পার্টির গুন্ডা ও দালাল কর্তৃক আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে, সেই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’
রাত সাড়ে আটটার দিকে ডিসি মোড়ের এ সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন। সঞ্চালনা করেন দলের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
সমাপনী বক্তব্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা আগামীকাল কুড়িগ্রাম যাব এবং ধারাবাহিকভাবে দেশের ৬৪ জেলা অতিক্রম করে আগস্টে ঢাকায় ঢুকব। ঢাকায় ঢুকে আমরা আমাদের যে লক্ষ্য, জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ, আমরা আদায় করে নেব ইনশা আল্লাহ।’
বুধবার পদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে এনসিপি নেতারা কুড়িগ্রামে যাবেন। সেখানে কলেজ মোড়ের বিজয়স্তম্ভ চত্বর থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে ঘোষপাড়া মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিফলকে এসে পথসভা করবে। এরপর ফুলবাড়ী উপজেলায় আরেকটি পথসভায় অংশ নিয়ে লালমনিরহাটের উদ্দেশে যাত্রা করবে পদযাত্রা।