দ্বিতীয় ম্যাচে থাকছেন না তাসকিন, ফিরছেন রিশাদ
Published: 4th, July 2025 GMT
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শনিবার ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সিরিজে ফেরার এই ম্যাচে একাদশে নাও থাকতে পারেন দলের সেরা পেসার তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওয়ানডের একাদশে না থাকা লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ফিরতে পারেন দ্বিতীয় ম্যাচে।
দল সূত্রে জানা গেছে, ইনজুরি ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে তাসকিনকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। মেডিকেল বিভাগের চাওয়াতেই এমন সিদ্ধান্ত। সিরিজ শুরুর আগেই ঠিক করা হয়েছিল- তাসকিন সিরিজের প্রথম ও শেষ ওয়ানডে খেলবেন।
তাসকিন আহমেদ অনেকদিন ধরেই গোড়ালির ইনজুরিতে ভুগছিলেন। তার গোড়ালির হাড় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশে চিকিৎসক দেখিয়েছেন। ওই চিকিৎসক গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার না করে ইনজুরি ম্যানেজমেন্ট করে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন। ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরে প্রথম ম্যাচে তাসকিন ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে দলের পক্ষে সর্বাধিক ৪ উইকেট নিয়েছিলেন।
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের আগে পেটের অসুখে পড়েন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তাকে একাদশে পেতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। পেটের পীড়া থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়ায় ম্যাচের আগের ওয়ার্ম আপে তার ফিটনেস টেস্ট নেওয়া হয়। সেখানে ফিট হলে তাকে তাকে ম্যাচ খেলানো হতো।
শেষ পর্যন্ত রিশাদ খেলতে না পারায় প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে অভিষেক হয় বাঁ-হাতি অফ স্পিনার তানভীর ইসলামের। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট দুই স্পিনার নিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিলে অভিষেকের পরের ম্যাচে বেঞ্চে বসতে হবে তানভীরের।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’