কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শনিবার ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সিরিজে ফেরার এই ম্যাচে একাদশে নাও থাকতে পারেন দলের সেরা পেসার তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওয়ানডের একাদশে না থাকা লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ফিরতে পারেন দ্বিতীয় ম্যাচে। 

দল সূত্রে জানা গেছে, ইনজুরি ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে তাসকিনকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। মেডিকেল বিভাগের চাওয়াতেই এমন সিদ্ধান্ত। সিরিজ শুরুর আগেই ঠিক করা হয়েছিল- তাসকিন সিরিজের প্রথম ও শেষ ওয়ানডে খেলবেন। 

তাসকিন আহমেদ অনেকদিন ধরেই গোড়ালির ইনজুরিতে ভুগছিলেন। তার গোড়ালির হাড় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশে চিকিৎসক দেখিয়েছেন। ওই চিকিৎসক গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার না করে ইনজুরি ম্যানেজমেন্ট করে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন। ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরে প্রথম ম্যাচে তাসকিন ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে দলের পক্ষে সর্বাধিক ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। 

প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের আগে পেটের অসুখে পড়েন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তাকে একাদশে পেতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। পেটের পীড়া থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়ায় ম্যাচের আগের ওয়ার্ম আপে তার ফিটনেস টেস্ট নেওয়া হয়। সেখানে ফিট হলে তাকে তাকে ম্যাচ খেলানো হতো।

শেষ পর্যন্ত রিশাদ খেলতে না পারায় প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে অভিষেক হয় বাঁ-হাতি অফ স্পিনার তানভীর ইসলামের। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট দুই স্পিনার নিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিলে অভিষেকের পরের ম্যাচে বেঞ্চে বসতে হবে তানভীরের।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রথম ইনজ র

এছাড়াও পড়ুন:

আটক হয়নি কেউ আতঙ্কে এলাকা পুরুষশূন্য

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ী গ্রামে মা ও দুই সন্তানকে হত্যার পর এলাকা অনেকটা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। মরদেহ তিনটি গতকাল শুক্রবার রাতে দাফন করা হয়েছে। ঘটনার পর ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

ময়নাতদন্ত শেষে রাতে নিহতদের বাড়ির পাশের একটি কবরস্থানে পুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহ দাফন করা হয়। এদিকে ঘটনার পর থেকে নিহতদের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কড়ইবাড়ী গ্রামে একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ তুলে হামলা করে উচ্ছৃঙ্খল জনতা। ওই গ্রামের জুয়েল মিয়ার স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি, তাঁর ছেলে মো. রাসেল মিয়া ও মেয়ে জোনাকি আক্তারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। যদিও এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রুবির ছেলে নিহত রাসেলের স্ত্রী মীম আক্তার। তিনি বলেন, ‘একটি মোবাইল চুরির ঘটনার সূত্র ধরে আমাদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর হয়। বুধবার রাতে বাছির নামে এক যুবক আমার স্বামীকে ফোন করে সকালে পুরো পরিবারকে হত্যা করে ফেলার হুমকি দেয়। তিনজন পরিকল্পিত হত্যার শিকার।’

পালিয়েছেন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ঘটনার দিন সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল ও ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে নিহতদের পরিবারের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে মারধর বলে মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে জড়ো করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে গতকাল শুক্রবার রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহতদের বাড়িতে পুলিশের পাহারা ছিল। বাড়ির তিনটি আবাসিক ভবন তালাবদ্ধ। বাইরে পাহারায় ছিল পুলিশ।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, শুক্রবার ওই বাড়িতে গণমাধ্যমকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি। তারা আরও জানান, নিহতদের কবর খুঁড়তে পুলিশকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছে। অন্য এলাকা থেকে লোক এনে কবর খুঁড়তে হয়েছে। এর পর মরদেহ রাতে পুলিশের তত্ত্বাবধানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। এ সময় থানা পুলিশ ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শারমীন সুলতানা জানান, দুপুর ১২টার দিকে তিনজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শুরু করা হয়। বিকেলে সেগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

রাতে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নিহতদের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার গতকাল রাতে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে। তিনি আরও 
জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ