‘নারীর একাধিক পুরুষ বন্ধু থাকলে অনায়াসে তাকে চরিত্রহীন বলা যায়’
Published: 4th, July 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা সিনেমার দাপুটে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ৫৩ বছরের ঋতুপর্ণা এখনো সরব। বাহারি সব চরিত্র নিয়ে পর্দায় হাজির হচ্ছেন। তার নতুন সিনেমা ‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত’। এতে রাহুল বোসের সঙ্গে ফের জুটি বেঁধেছেন। সায়ন্তন ঘোষাল নির্মিত সিনেমাটি ৪ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে।
সিনেমাটির নাম পড়ে ধারণা হতে পারে—এটি ঋতুপর্ণার বায়োপিক; আদতে তা নয়। এটি থ্রিলার ঘরানার সিনেমা। সিনেমাটিতে কার্টুনিস্ট রঞ্জনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেতা রাহুল বোস। অন্যদিকে অনুরেখা সেনগুপ্তর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা। গল্পে রাহুল বোস ও বিবাহিত ঋতুপর্ণার বন্ধুত্বের সীমকরণ উঠে এসেছে।
সিনেমার গল্প বন্ধুত্ব নিয়ে। ফলে ঋতুপর্ণার কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিবাহিত নারী-পুরুষের বন্ধু হয়? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “সমাজ এখনো নারী-পুরুষের বন্ধুত্ব স্বীকার করতে চায় না।”
আরো পড়ুন:
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন অভিনেত্রীর স্বামী
ভাইকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ চিরঞ্জিৎ
পেশাগত জায়গার উদাহরণ টেনে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “আমাদের যে ধরনের কাজ, তাতে আমরা অনেক বেশি পুরুষের বৃত্তের মধ্যে থেকে কাজ করি। টেকনিশিয়ান, চিত্রগ্রাহকদের মধ্যে এখনো পুরুষের সংখ্যাই বেশি। আমার অনেক সম্পাদক পুরুষ বন্ধু আছে। আসলে বন্ধুত্বের কোনো লিঙ্গ হয় না।”
বন্ধুত্ব নিয়ে বিশদে বলতে গিয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “একজন নারীর একাধিক পুরুষ বন্ধু থাকলে অনায়াসে তাকে চরিত্রহীন বলে দেওয়া যায়। অন্যদিকে, একজন পুরুষের একাধিক নারী বন্ধু থাকলে সেই বিষয়টাকে গৌরবান্বিত করা হয়। সমাজ বদলায়নি। কোনো অভিনেত্রী অনেক সিনেমা করলে ধরেই নেওয়া হয়, পরিচালক বা প্রযোজকের সঙ্গে সেই নারীর বিশেষ সম্পর্ক আছে। প্রত্যেক নারী ও পুরুষের বন্ধুত্বেই শারীরিক সম্পর্ক থাকবে, এমনটা মনে করি না।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র বন ধ ত ব র বন ধ চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
শুল্ক ছাড়া বিদেশ থেকে ফেরার সময় বছরে আনা যাবে একটি ফোন
বিদেশ থেকে পণ্য আনার ক্ষেত্রে ব্যাগেজ বিধিমালায় আবারও কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাতে সোনার অলংকার, সোনার বার ও মুঠোফোন আনার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বুধবার নতুন এক নির্দেশনা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিদ্যমান ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায় একজন বিদেশফেরত যাত্রী শুল্ক পরিশোধ করে একটি নতুন মুঠোফোন আনার বিধান রয়েছে। বিধানটি সংশোধন করে এখন বলা হচ্ছে, একজন যাত্রী কোনো শুল্ক ছাড়াই বিদেশ থেকে ফেরার সময় বছরে একবার একটি নতুন মুঠোফোন আনতে পারবেন। আর যেসব প্রবাসীর ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) কার্ড আছে এবং যাঁরা অন্তত ছয় মাস বিদেশে ছিলেন, তাঁরা বছরে শুল্কমুক্ত সুবিধায় দুটি নতুন মুঠোফোন আনতে পারবেন।
এনবিআর গত ২ জুন নতুন ব্যাগেজ বিধিমালা (অপর্যটক যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালা, ২০২৫) জারি করেছিল। আজ বুধবার থেকে নতুন এ ব্যাগেজ বিধিমালা কার্যকর হয়। বিদ্যমান ব্যাগেজ বিধিমালা আরও কার্যকর ও যাত্রীবান্ধব করার উদ্দেশ্যে সেই বিধিমালায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর বলছে, বিভিন্ন অংশীজন ও মাঠপর্যায়ের দপ্তরগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায় বিদেশ থেকে মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার আনার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বিদেশফেরত একজন যাত্রী কোনো শুল্ক ছাড়াই বছরে একবার সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম সোনার অলংকার আনতে পারবেন। আর রুপার অলংকার আনতে পারবেন ২০০ গ্রাম। এ ছাড়া নতুন বিধিমালার আওতায় তোলা প্রতি ৫ হাজার টাকা শুল্ক দিয়ে একজন যাত্রী বছরে একবার সর্বোচ্চ ১০ তোলা ওজনের একটি সোনার বার আনতে পারবেন।
এখন থেকে বিদেশ থেকে আগত সব যাত্রীই অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাগেজ ঘোষণা ফরম পূরণ করতে পারবেন। তবে সুবিধার অপব্যবহার রোধে কাস্টমস হল বা এলাকা ত্যাগ করার আগে ব্যাগেজ ঘোষণা প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।