বাড়ছে চাল, সবজি ও মাছের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মাছ ও সবজির গড়ে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর নিউমার্কেট রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন বাজারে মানভেদে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮২ থেকে ৮৪ টাকা। যা গত সপ্তাহ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮২ টাকায়। সে হিসেবে মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে দুই টাকা। ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৮ থেকে ৬২ টাকা। সেই হিসেবে এই জাতের চালের দাম বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা।

এছাড়া এখন বাজারে নাজিরশাইল চাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, কাটারিভোগ ৭০ থেকে ৭৬ টাকা, স্বর্ণা গুটি চাল ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা এবং চিনি গুঁড়া পোলাও চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়।

আরো পড়ুন:

চাল-মাছের দাম বেড়েছে, কমেছে ডিম-মুরগির দাম

ট্যানারি মালিকদের অপেক্ষায় নাটোরের চামড়া ব্যবসায়ীরা

বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম
গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজির দাম বেড়েছে। এখন বাজারে বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০টাকা, প্রতিটি পিস লাউ ৫০, টমেটো ১৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০, দেশি শশা ৬০, বরবটি ৮০, ঢেড়শ ৫০, জালি কুমড়া ৫০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৩০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে এখন প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০, রসুন ১৮০ ও দেশি আদা ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের দামও বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ ভালো থাকলেও বাজারে মাছ কম থাকায় দাম বেড়েছে। বাজারে এখন এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকা। চাষের পাঙাস কেজি ১৯০ থেকে ২০০টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০, কৈ ২২০ থেকে ২৫০, দেশি শিং ৫০০ থেকে ৫৫০টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৫০০ থেকে ৬০০টাকা, এক কেজি ওজনের ওপরে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা।

কমেছে ডিম ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ ভালো থাকার কারণে গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ডিম ও মুরগির দাম কমেছে। এখন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। সোনালি মুরগির এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। এছাড়া বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।

রাজধানীর রায়েরবাজার কেনাকাটা করতে আসা চাকরিজীবী রাজিব সিকদার রাইজিংবিডিকে বলেন, “এখন বাজারের চালসহ সবজি ও মাছের দাম বেড়েছে। সরকারের কাছে অনুরোধ, সাধারণ মানুষের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।”

নিউমার্কেটের সবজি বিক্রেতা আজাদ হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, “দেশে বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টির জন্য কৃষকরা ঠিকমত সবজি সরবরাহ করতে পারছেন না। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজি দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরবরাহ বাড়লে আবার সবজি দাম স্বাভাবিক হবে।”

ঢাকা/রায়হান/সাইফ 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রগ এখন ব জ র সরবর হ ৫০ ট ক ম রগ র

এছাড়াও পড়ুন:

এসব খাবার আপনাকে সারা দিন চনমনে রাখবে

কাজের চাপে ক্লান্ত লাগলে বা দুপুরের পর অফিসে ঘুম পেলে অনেকেই কফি বা মিষ্টি কিছু খেয়ে ক্লান্তি কাটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো আপনাকে সারা দিন চনমনে রাখতে পারে, আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো উল্টো আপনাকে দুর্বল করে দেয়!

সকালের নাশতা বাদ দেওয়া আমাদের অন্যতম বড় ভুল। এতে ক্লান্তি ও মানসিক চাপ তুলনামূলক বেশি হয়। তাই সকাল শুরু হোক এমন খাবার দিয়ে, যা ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করবে; যেমন ওটস, চিড়া, ডিম ও পূর্ণ শস্যের টোস্ট, দুধ বা দইয়ের সঙ্গে ফল ও বাদাম—এই খাবারগুলো শরীরে শর্করা, প্রোটিন ও ফাইবার সরবরাহ করে, যা আপনাকে দীর্ঘ সময় সতেজ রাখবে।

সারা দিন শক্তি ধরে রাখার কৌশল

বাদাম, বীজ আর শস্যজাতীয় খাবার শক্তির অন্যতম বড় উৎস। এগুলোতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন ও ভিটামিন—যা রক্তে চিনির মাত্রা স্থির রাখে এবং হঠাৎ এনার্জি ড্রপ থেকে বাঁচায়। একমুঠো কাজু, আখরোট বা সূর্যমুখীর বীজের মতো স্ন্যাক হতে পারে আপনার দুপুরের ‘এনার্জি ব্রেক’।

প্রোটিন: ঠিকভাবে দেহের প্রতিটি কোষের কাজ চালাতে প্রোটিন অপরিহার্য। মাছ, মুরগি, ডিম, ডাল ও ছোলা হলো এমন কিছু প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, যা দ্রুত ক্লান্তি দূর করে। বিশেষ করে মাছ (যেমন ইলিশ, রুই, টুনা) শুধু প্রোটিন নয়, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও দেয়, যা মস্তিষ্ককেও সক্রিয় রাখে।

জটিল শর্করা: সাদা চাল বা পরিশোধিত ময়দা শরীরে দ্রুত শক্তি দেয়, কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি ফুরিয়েও যায়। এর পরিবর্তে বেছে নিন লাল চাল, ব্রাউন রাইস, গমের রুটি বা ওটস—এগুলো ‘কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট’, যা ধীরে হজম হয় এবং সারা দিন স্থিতিশীল এনার্জি দেয়।

শাকসবজি ও ফল: নিয়মিত রঙিন শাকসবজি ও ফল খান। আপেল, কলা, কমলা, পালংশাক, ব্রকলি, গাজর—এগুলোর ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে চাঙা রাখে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।

আরও পড়ুনকৈশোরে সঠিক পুষ্টি না পেলে যা হয়, যেসব খাবার খেতে হবে১৬ নভেম্বর ২০২৫যেগুলো এড়িয়ে চলা ভালো

অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টিজাত খাবার দ্রুত শক্তির জোগান দিলেও খুব দ্রুতই ক্লান্ত করে ফেলে।

অতিরিক্ত ক্যাফেইন সাময়িকভাবে মনোযোগ বাড়ায়, কিন্তু ঘুমের ছন্দ নষ্ট করে দেয়।

অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত বা ভারী খাবার। এগুলো হজমে সময় নেয়, ফলে ঘুম ঘুম লাগে।

ছোট ছোট টিপস

পানিশূন্যতা ক্লান্তি ডেকে আনে, নিয়মিত পানি পান করুন।

দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকবেন না।

পর্যাপ্ত ঘুম ও হালকা ব্যায়াম প্রাকৃতিকভাবে আপনার শক্তি বাড়াবে।

শক্তি ধরে রাখার কোনো ‘জাদুকরি খাবার’ নেই, তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাসই পারে আপনাকে সারা দিন প্রাণবন্ত রাখতে। তাই পরেরবার শক্তি কমে গেলে চিনি বা সফট ড্রিংকের দিকে না ছুটে, বেছে নিন প্রকৃতির দেওয়া সঠিক খাবারগুলো।

আরও পড়ুনএকবারে কতটা বাদাম খাওয়া নিরাপদ২১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছাত্র সংসদ নির্বাচন হঠাৎ স্থগিত, উপাচার্যের দপ্তরের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান  
  • সরকার কড়াইল বস্তির বাসিন্দাদের অধিকারের তোয়াক্কা করছে না: জোনায়েদ সাকি
  • মুক্তিযুদ্ধের সরল গল্পের বাইরের গল্প
  • এবার পদ্মা ও মেঘনা কোম্পানিতে ডিজেল ‘গায়েব’, দেড় লাখ লিটার গেল কোথায়
  • পোশাক, ইস্পাত, সারসহ শিল্প খাতে উৎপাদন ৩০–৫০% কমেছে: ঢাকা চেম্বার সভাপতি
  • এসব খাবার আপনাকে সারা দিন চনমনে রাখবে