দেশের বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার ফি পুনর্নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আরটি–পিসিআর পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার টাকা। অন্যদিকে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক মো.

হালিমুর রশিদের সই করা স্মারকে এ তথ্য জানানো হয়।

স্মারকে বলা হয়, ১ জুলাই কোভিড-১৯ রোগনির্ণয় ও ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিটির সভা হয়। সভায় বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোভিড-১৯ র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন ও আরটি–পিসিআর পরীক্ষার ফি পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

কোনো অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্ধারিত ফির বেশি আদায় করা যাবে না বলে স্মারকে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র ফ

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গায় মালবাহী ট্রেনের লাইনচ্যুত গার্ড রেক উদ্ধার, ট্রেন চলাচল শুরু

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী রেলস্টেশন এলাকায় মালবাহী ট্রেনের লাইনচ্যুত গার্ড রেক (ট্রেনের শেষের বগি, যেখানে বসে ট্রেনের পরিচালক ট্রেনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন) উদ্ধার করা হয়েছে। পাবনার পাকশী থেকে আসা রিলিফ (উদ্ধারকারী) ট্রেন দুর্ঘটনার সোয়া পাঁচ ঘণ্টা পর রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে রেকটি উদ্ধার করে। এরপর চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে সারা দেশে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

এর আগে শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে মালবাহী ট্রেনের গার্ড রেকের এই লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। এতে এই চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে খুলনার সঙ্গে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে চলাচলকারী ট্রেনগুলো বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে। খুলনার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, উথলী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মিন্টু কুমার রায় দুর্ঘটনার বিষয়টি বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী) পাকশি বিভাগীয় কার্যালয়ে জানান। সেখান থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে। টানা ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে দুর্ঘটনাকবলিত গার্ড রেকটি উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, খুলনার মোংলাবন্দর থেকে ৩২টি ট্যাংকারভর্তি মোলাসেস (চিটাগুড়) নিয়ে মালবাহী ট্রেনটি সিরাজগঞ্জ যাচ্ছিল। ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গার উথলী রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করার আগেই গার্ড রেক লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। এরপর সেখানে ট্রেন থামিয়ে লাইনচ্যুত গার্ড রেকটি উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ট্রেনের গার্ড রেক লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে খুলনা থেকে রাজশাহীর পথে চলচালকারী আন্তনগর সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন ঝিনাইদহের সাবদালপুর, ঢাকা থেকে খুলনাগামী কমিউটার ট্রেন নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস চুয়াডাঙ্গায় ও চিলাহাটী থেকে খুলনাগামী মেইল ট্রেন রকেট আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে আটকা পড়ে।

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে খুলনা পর্যন্ত ১২৬ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন হওয়ার কারণে খুলনা থেকে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলগামী এবং উত্তরাঞ্চল ও ঢাকা থেকে খুলনাগামী ট্রেনগুলো বিভিন্ন স্টেশনে থামিয়ে রাখা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ