ভোটাররা ২০০ টাকায় ভোট বিক্রি করেন: হাসনাত আব্দুল্লাহ
Published: 4th, July 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের দেশের ভোটাররা ২০০ টাকায় ভোট বিক্রি করেন। আপনারা যদি টাকা দিয়ে ভোট বিক্রি করেন, তাহলে যোগ্য নেতা কোনোদিনও ক্ষমতায় আসবে না। আপনি একদিন আপনার ভোটটা যদি বিক্রি করে দেন, তারা পাঁচ বছর ধরে নির্যাতন করবে। সেজন্য নেতা নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীকে প্রাধান্য দেবেন।’
শুক্রবার দুপুরে আটোয়ারী উপজেলা সদরে এনসিপির উপজেলা কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সেখানে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম উপস্থিত ছিলেন।
সারজিস আলমকে আটোয়ারীর যোগ্য সন্তান উল্লেখ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে তার যে অবদান রয়েছে, পরবর্তীতে আটোয়ারী উপজেলার প্রতি উনার যে আত্মত্যাগ, সব সময় আটোয়ারী নিয়ে উনার চিন্তাভাবনা। আমরা বিশ্বাস করি, আপনারা যদি সারজিস আলমকে আগলে রাখেন, সারজিসের হাতকে শক্তিশালী করেন, এই আটোয়ারী সারা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ভালো উপজেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমাদের প্রত্যাশা দেশটাকে আমরা নতুন করে ইনসাফের ভিত্তিতে, শান্তির ভিত্তিতে গড়ে তুলবো। চাঁদাবাজি সন্ত্রাসমুক্ত একটা দেশ হবে। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানে যে সকল তরুণরা নেতৃত্ব দিয়েছিলাম তারা মিলে এই নতুন রাজনৈতিক আপনাদের সাথে নিতে জনগণের কথা বলতে চাই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে জুলুমের বিরুদ্ধে রাজনীতি করতে চাই।
সারজিস আলমকে এলাকার গর্ব উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সারজিস আলম শুধু আটোয়ারীর নয়, তিনি এখন সারা বাংলাদেশের। বাংলাদেশের মানুষের জন্য তিনি কথা বলছেন, লড়াই করছেন। তাকে উত্তরাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া আছে। উত্তরাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন বৈষম্য ও অবহেলার শিকার। ফ্যাসিস্টের পতনের পরে নতুন করে এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও মাদক আবার শুরু হয়েছে। যুবসমাজকে আবার অধঃপতনের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা কি এজন্যই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম। শুধু আটোয়ারী নয়, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় একটা বৈষম্যহীন, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা গড়ে তুলবো।’
দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের সময় এনসিপি ও জাতীয় যুবশক্তির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে পদযাত্রা নিয়ে নেতারা ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে আটোয়ারী উপজেলা ছেড়ে যান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ত য ন গর ক প র ট এনস প এনস প উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।
গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।
রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।