এক বা দুই বছরের সংসার নয়, তাদের সংসার ছিলো চৌদ্দ বছরের। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা। কথা ছিলো একে অন্যের হাত ধরে সুখে, দুখে জীবন কাটাবেন। কিন্তু সে স্বপ্ন থেকে গেলো অধরা। স্ত্রী তালাক দিয়ে চলে গেছেন। তালাকের নোটিশ পেয়েই অস্থির হয়ে পড়েন স্বামী শাকিল মন্ডল।

শাকিল পেশায় চা বিক্রেতা। নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পূর্ব মাধনগর গ্রামে তার বাড়ি। অন্য যেকোনো পরিবারের মতোই তাদের পরিবারেও সুখ, দুখের গল্প ছিলো। শাকিলের শ্বশুর না থাকায় শাশুড়ি তাদের পরিবারের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। স্ত্রী একটি কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। একটা পর্যায়ে দুইজনের সম্পর্কে অবনতি তৈরি হয়।  

দিন দিন টানাপোড়েন আরও বাড়তে থাকে। দুইজনেই সংসার ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কে আগে তালাক দেবে, এই বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারছিলেন না। শেষে স্ত্রী তাকে তালাক দেয়।

আরো পড়ুন:

দাম্পত্য সম্পর্ক মধুর করতে পাঁচটি কাজ করতে পারেন

মায়ায় জড়িয়ে রাখুন প্রিয় মানুষকে

তালাকের নোটিশ পেয়েই অস্বস্তি বোধ করতে থাকেন শাকিল। যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বাজার থেকে তিনি এক মণ দুধ কিনে আনেন এবং সেই দুধ দিয়ে গোসল করেন।

শাকিলের ভাষ্য, ‘‘এরপর শান্তি পাইছি।’’

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নুরাল পাগলার দরবার থেকে চুরি হওয়া জেনারেটর উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবার থেকে চুরি হওয়া একটি জেনারেটর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মো. মিজানুর রহমান (২৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ। মিজানুরের বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার লক্ষ্মীকোল সোনাকান্দর গ্রামে।

আরও পড়ুননিহতের বাবার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ২, দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবি১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এ নিয়ে দুই মামলায় মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দের নুরাল পাগলার দরবারে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় মিজানুর রহমান জেনারেটর চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন—এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মিজানুরকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। মিজানুরকে দরবারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো ও হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে রাজবাড়ীর আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুননুরাল পাগলার দরবারে হামলায় হত্যা মামলা, মসজিদের ইমামসহ চারজন গ্রেপ্তার০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ওই দিন পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে প্রায় তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে ৬ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। এই মামলায় মোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে দরবারে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, হত্যা ও কবর থেকে লাশ তুলে মহাসড়কে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় নিহত ভক্ত রাসেল মোল্লার বাবা আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে ৮ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। ওই মামলায় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত মিজানুরসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ