সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদী থেকে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে ঝালকাঠির রাজাপুরে তিন জেলেকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আরা মৌরির নেতৃত্বে উপজেলার বিষখালী নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটকের পর সাজা দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

নদীতে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার, ৬ জেলেকে জরিমানা

বালিখলা বাজারে মাছের সংকট, বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে

সাজা পাওয়া জেলেরা হলেন- মো.

শাওন ইসলাম (১৯), মো. ফয়সাল হাওলাদার (২৭), এবং মো. শাহিন ফকির। 

অভিযানে জব্দকৃত ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান ইউএনও রিফাত আরা মৌরি। 

মা ইলিশ সংরক্ষণে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।

ঢাকা/অলোক/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দাকোপে বেড়িবাঁধ ভেঙে ৩ গ্রাম প্লাবিত

খুলনার দাকোপে জোয়ারের পানির তোড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানির নিচে চলে গেছে বসতবাড়ি ও ফসলের ক্ষেত। দ্রুত বাঁধ মেরামত করা না হলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকী নদীর জোয়ারের পানির চাপে দাকোপের ৩০ নম্বর পোল্ডারের অধীন তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া হরিসভা মন্দির এলাকার আনুমানিক ২০০ ফুট ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর কামিনীবাসিয়া, বটবুনিয়া ও নিশানখালী গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে বসতঘর, মাছের ঘের, পুকুর ও ৩ হাজার বিঘা জমির আমন ফসল। দ্রুত  বাঁধ মেরামত না করতে না পারলে দক্ষিণ কামিনীবাসিয়া, ভাদলা বুনিয়া, মশামারী, গড়খালী ও কাঁকড়া বুনিয়াসহ গোটা তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন গাজী। 

তিনি বলেছেন, ভোরবেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড আরো বেশি তৎপর হয়ে দুটি বালির টিউব দিয়ে চাপা দিলে বাঁধ আটকানো সম্ভব হত। কিন্তু, তারা সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, দাকোপ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমত হোসেন, দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম এবং স্থানীয় সেনা ক্যাম্প কমান্ডার প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

ইউএনও আসমত হোসেন বলেছেন, বালির টিউবসহ অন্যান্য সামগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সব উদ্যোগ নিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ পরিবারের মাঝে চিড়া, গুড়, চাল, ডাল, তেলসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত অন্য পরিবারগুলোকেও সহযোগিতা করা হবে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেড়িবাঁধের ওই অংশটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কিন্তু, পানি উন্নয়ন বোর্ড সময়মতো কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এমন ক্ষতি হলো।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দাকোপে বেড়িবাঁধ ভেঙে ৩ গ্রাম প্লাবিত
  • ‘প্রস্তুত থাকেন, প্রত্যেকটা মামলায় আপনি আসামি হবেন’, সাংবাদিককে বিএনপি নেতার হুমকি