দীর্ঘ যাত্রায় কেন নেক পিলো ব্যবহার করবেন
Published: 22nd, February 2025 GMT
যানবাহনে চড়ে দীর্ঘ যাত্রায় যাওয়ার সময় অনেকের হাতে নেক পিলো দেখা যায়। বিশেষ করে বিমানযাত্রা বা দীর্ঘ বাসযাত্রায় নেক পিলো ব্যবহার করে আরামে ঘুমিয়ে যাওয়া যায়। ভ্রমণসঙ্গী বলেই ‘ট্রাভেল পিলো’ নামেও এটি পরিচিত। তবে শুধু ভ্রমণের সময়ই নয়, অনেকে অফিসে দীর্ঘ সময় বসে কাজ করার সময়ও নেক পিলো ব্যবহার করেন।
নেক পিলো একধরনের কুশন, যা মূলত ইংরেজি ‘সি’ বা ‘ইউ’ বর্ণের মতো দেখতে। এর ব্যবহার মূলত ঘাড় ও মাথার আরামের জন্য। দীর্ঘ যাত্রায় ঝাঁকুনি হয় বা ঘুমানোর প্রয়োজনে সিটে কায়দা করে মাথা রাখা যায় না। ফলে অনেকের মাথা ও ঘাড়ব্যথা হয়। অসাবধানতায় পেশিতেও টান লাগার ঘটনা ঘটে। নেক পিলো মাথা ও ঘাড়ের বিন্যাস ঠিক রাখে এবং মাংসপেশিতে টান লাগা থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া ঘাড়ের স্বাভাবিক কারভেচার বা বক্রতা ঠিক রাখে।
আরও পড়ুনঘাড়ে কালো দাগ কেন হয়০২ জানুয়ারি ২০২৪যে ধরনের পিলোই ব্যবহার করুন না কেন, তা যেন ঘাড়ে সঠিকভাবে সেঁটে যায়, সেটি নিশ্চিত করুন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় বিশৃঙ্খলা করছেন নুরুল: ঢাকা উত্তর সিটি
হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছে গণ অধিকার পরিষদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নগরভবনের সামনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন।
বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ। এ অভিযোগ অস্বীকার করে নুরুল হক বলেন, সিটি করপোরেশনের এ দাবি ‘ভোগাস’ ও ‘ভিত্তিহীন’।
ঢাকা উত্তর সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফারজানা ববির দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক তাঁর পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার জন্য ১৮ মে মুঠোফোনে ফোন করেন। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তাঁকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালার আইনি বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেন। আইনের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই বলেও তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু নুরুল হক তাঁর কোনো কথা না শুনে তাঁকে কাজ দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন আর ডিএনসিসির অফিসে তালা লাগানোর হুমকি দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০ মে (গতকাল মঙ্গলবার) বেলা ৩টায় গুলশান-২–এ নগরভবনের সামনে কিছু লোক নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ডিএনসিসির প্রশাসকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। এতে ডিএনসিসির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপে এ–সংক্রান্ত দুটি স্ক্রিনশটও দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে নুরুল হককে ফোন করলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এগুলো ভোগাস কথাবার্তা না? ধরেন যদি কেউ কোনো কার্যক্রমের জন্য ফোন করতে পারে, কিন্তু তার জন্য আন্দোলন করবে, সেটা তো বিষয় না। তাঁর (প্রশাসক) বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সে হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে, কারাবরণ করেছে, আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে ফেসবুকে তাঁর অসংখ্য ছবি, এগুলো কি মিথ্যা?’ এই কর্মসূচিতে গণ অধিকার পরিষদ ছাড়াও বিএনপির লোকজন ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের বিষয়ে নুরুল হক বলেন, ‘তিনি কোন ক্রেডিটে প্রশাসক হবেন, তাঁর কী যোগ্যতা? তিনি আন্দোলনে ছিলেন নাকি নির্বাচন করেছেন। তাঁকে উপদেষ্টাদের পছন্দের কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা যখন জানতে পারলাম, তিনি জঙ্গিবাদী নিষিদ্ধ কার্যক্রমের সঙ্গে ইনভলভড, আমরা মনে করি, এটা সরকারের জন্যও থ্রেট, আমাদের জন্যও থ্রেট।’
ফোন করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো ভিত্তিহীন। আমাদের অনেক লোক ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য যায়।’
নুরুল হক আরও বলেন, ‘আমাদের দলের মুখপাত্র যেমন ফারুক হাসানের শ্বশুর, দীর্ঘদিন ধরে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে তাঁদের আগের মেয়র থেকে একটা মামলা ছিল প্রোপার্টি নিয়ে। সেবার জন্য যে কেউ যেতে পারেন, আমাদের দলের লোকজনও যেতে পারেন, সেটা যেকেউ। কিন্তু এটার জন্য তো আর পদত্যাগের আন্দোলন করবে, এটা তো ইস্যু না। বিএনপির লোকেরাও তো এটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। আর তিনি যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন, জেল খেটেছেন, তাঁর বাসা থেকে হিযবুতের লোক অ্যারেস্ট (গ্রেপ্তার) হয়েছেন, এগুলো তো মিথ্যা নয়।’
প্রশাসক এজাজকে অপসারণের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘ওটা কেন্দ্রীয় কর্মসূচিও নয়, আমিও যাই নাই। বলতে গেলে সিনিয়র নেতারাও যান নাই। মহানগরের নেতারা কর্মসূচি করেছেন, ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, সরকার পদক্ষেপ না নিলে যমুনার সামনে কর্মসূচি পালন করবেন। এটা থেকে তিনি (প্রশাসক) বাঁচার জন্য বলতে পারেন। অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির লোক।’
নুরের দাবি, প্রশাসক এজাজের ২০১৫ সালে হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন এমপি-মন্ত্রীর সঙ্গে সখ্য গড়ার ছবি রয়েছে। আবার যখন পটপরিবর্তন হয়েছে, তখন আবার দেখা গেছে, ছাত্রদের সঙ্গে মিশে নাগরিক কমিটিতে পোস্ট নিয়েছেন এবং পয়সাপাতি দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গেছেন।
আরও পড়ুন৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা উত্তরের প্রশাসককে অপসারণ না করলে যমুনা ঘেরাও২০ মে ২০২৫