যানবাহনে চড়ে দীর্ঘ যাত্রায় যাওয়ার সময় অনেকের হাতে নেক পিলো দেখা যায়। বিশেষ করে বিমানযাত্রা বা দীর্ঘ বাসযাত্রায় নেক পিলো ব্যবহার করে আরামে ঘুমিয়ে যাওয়া যায়। ভ্রমণসঙ্গী বলেই ‘ট্রাভেল পিলো’ নামেও এটি পরিচিত। তবে শুধু ভ্রমণের সময়ই নয়, অনেকে অফিসে দীর্ঘ সময় বসে কাজ করার সময়ও নেক পিলো ব্যবহার করেন।

নেক পিলো একধরনের কুশন, যা মূলত ইংরেজি ‘সি’ বা ‘ইউ’ বর্ণের মতো দেখতে। এর ব্যবহার মূলত ঘাড় ও মাথার আরামের জন্য। দীর্ঘ যাত্রায় ঝাঁকুনি হয় বা ঘুমানোর প্রয়োজনে সিটে কায়দা করে মাথা রাখা যায় না। ফলে অনেকের মাথা ও ঘাড়ব্যথা হয়। অসাবধানতায় পেশিতেও টান লাগার ঘটনা ঘটে। নেক পিলো মাথা ও ঘাড়ের বিন্যাস ঠিক রাখে এবং মাংসপেশিতে টান লাগা থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া ঘাড়ের স্বাভাবিক কারভেচার বা বক্রতা ঠিক রাখে।

আরও পড়ুনঘাড়ে কালো দাগ কেন হয়০২ জানুয়ারি ২০২৪যে ধরনের পিলোই ব্যবহার করুন না কেন, তা যেন ঘাড়ে সঠিকভাবে সেঁটে যায়, সেটি নিশ্চিত করুন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা দেখা দেবে না বলে আমরা আশা করি।” 

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। এ জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।” 

নিরাপত্তা ইস্যু—কার্গো অগ্নিকাণ্ড, অস্ত্র চুরির ঘটনা থেকে শুরু করে অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী পক্ষ এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উপদেষ্টা জানান, তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অতীতের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কিছু বিতর্কিত ওসিদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বীকার করলেও জানান, সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে একযোগে বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না। 

“যারা পরপর তিনটি নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে,” বলেন তিনি।

আলোচনায় উস্কানিমূলক বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও প্রশ্ন ওঠে। 

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কেউ আইনের বাইরে গেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ