Prothomalo:
2025-11-03@19:59:06 GMT

রোজা না-রাখার অনুমতি কার জন্য

Published: 28th, March 2025 GMT

আল্লাহ বলেন, ‘আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিনে সেই সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)

এ আয়াত অনুসারে সাত ধরনের মুসলমানের জন্য রমজানে রোজা না রাখা বৈধ। ১. অসুস্থ, ২. দূরে ভ্রমণকারী, ৩. ঋতুবতী বা প্রসূতি নারী, ৪. বার্ধক্য আক্রান্ত ব্যক্তি, ৫.

গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী, ৭. বিপদাপন্নকে বাঁচাতে গিয়ে রোজা ভাঙতে যিনি বাধ্য হয়েছেন, এবং ৭. যিনি ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে আল্লাহর পথে জিহাদে নিয়োজিত।

কে কাজা আদায় করবেন

১. রোগী, মুসাফির, মুজাহিদ ও বিপদাপন্নকে উদ্ধারকর্তা এবং ঋতুবতী ও প্রসূতি নারীর জন্য পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করতে হবে। তবে সাধারণ রোগী, মুসাফির, মুজাহিদ ও বিপদাপন্নকে উদ্ধারকারী যদি রোজা রাখেন, তাহলে তার রোজা হয়ে যাবে। কিন্তু ঋতুবতী ও প্রসূতি নারী রোজা রাখবেন না এবং পরে কাজা করবেন। (বুখারি, হাদিস: ৩২১ ও ৩৩৫)

২. একইভাবে দুগ্ধদায়ী মাতা রোজা রাখলে যদি সন্তান দুধ না পাওয়ার আশঙ্কা হয়, তবে তিনি রোজা ভাঙবেন এবং পরে কাজা করে নেবেন। (রদ্দুল মুহতার, ২/৪২২)

৩. যে বৃদ্ধ ব্যক্তি রোজা পালন করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে, রোজা তার জন্য বৈধ নয়। তিনি শক্তি ফিরে পেলে এবং আবার রোজা রাখতে সক্ষম হলে কাজা আদায় করে নেবেন। (আদ-দুররুল মুখতার (২/৪২৭)

আরও পড়ুনইতিকাফ অবস্থায় কী করা যায়, করা যায় না২১ মার্চ ২০২৫

একেবারে অপারগ হলে

যারা একেবারেই রোজা আদায়ে অপারগ—যেমন যারা বাধর্ক্যজনিত রোগে আক্রান্ত এবং আবার সবল হওয়ার আশঙ্কা নেই, তারা রোজার পরিবর্তে প্রতিদিনের জন্য একজন অভাবী মানুষকে খাবার দেবেন। একে বলা হয় ‘ফিদ্‌য়া’। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর যাদের কষ্ট হবে তাদের কর্তব্য মিসকিনকে ফিদ্‌য়া প্রদান করা।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৪)

তবে মনে রাখবেন

ইবনে উসাইমিন বলেছেন, যদি এমন রোগ হয়, রোজা পালনের কারণে যে রোগের ওপর প্রভাব পড়ে না—যেমন হালকা সর্দি, হালকা মাথাব্যথা, দাঁতে ব্যথা ইত্যাদি—তার জন্য রোজা রাখা বৈধ হবে না। (আশ্-শারহুল মুমতি, ৬/৩৫২)

আরও পড়ুনযেভাবে ইস্তিগফার করা যায়০৬ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য আল ল হ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ