আল্লাহ বলেন, ‘আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিনে সেই সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)
এ আয়াত অনুসারে সাত ধরনের মুসলমানের জন্য রমজানে রোজা না রাখা বৈধ। ১. অসুস্থ, ২. দূরে ভ্রমণকারী, ৩. ঋতুবতী বা প্রসূতি নারী, ৪. বার্ধক্য আক্রান্ত ব্যক্তি, ৫.
কে কাজা আদায় করবেন
১. রোগী, মুসাফির, মুজাহিদ ও বিপদাপন্নকে উদ্ধারকর্তা এবং ঋতুবতী ও প্রসূতি নারীর জন্য পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করতে হবে। তবে সাধারণ রোগী, মুসাফির, মুজাহিদ ও বিপদাপন্নকে উদ্ধারকারী যদি রোজা রাখেন, তাহলে তার রোজা হয়ে যাবে। কিন্তু ঋতুবতী ও প্রসূতি নারী রোজা রাখবেন না এবং পরে কাজা করবেন। (বুখারি, হাদিস: ৩২১ ও ৩৩৫)
২. একইভাবে দুগ্ধদায়ী মাতা রোজা রাখলে যদি সন্তান দুধ না পাওয়ার আশঙ্কা হয়, তবে তিনি রোজা ভাঙবেন এবং পরে কাজা করে নেবেন। (রদ্দুল মুহতার, ২/৪২২)
৩. যে বৃদ্ধ ব্যক্তি রোজা পালন করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে, রোজা তার জন্য বৈধ নয়। তিনি শক্তি ফিরে পেলে এবং আবার রোজা রাখতে সক্ষম হলে কাজা আদায় করে নেবেন। (আদ-দুররুল মুখতার (২/৪২৭)
আরও পড়ুনইতিকাফ অবস্থায় কী করা যায়, করা যায় না২১ মার্চ ২০২৫একেবারে অপারগ হলে
যারা একেবারেই রোজা আদায়ে অপারগ—যেমন যারা বাধর্ক্যজনিত রোগে আক্রান্ত এবং আবার সবল হওয়ার আশঙ্কা নেই, তারা রোজার পরিবর্তে প্রতিদিনের জন্য একজন অভাবী মানুষকে খাবার দেবেন। একে বলা হয় ‘ফিদ্য়া’। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর যাদের কষ্ট হবে তাদের কর্তব্য মিসকিনকে ফিদ্য়া প্রদান করা।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৪)
তবে মনে রাখবেন
ইবনে উসাইমিন বলেছেন, যদি এমন রোগ হয়, রোজা পালনের কারণে যে রোগের ওপর প্রভাব পড়ে না—যেমন হালকা সর্দি, হালকা মাথাব্যথা, দাঁতে ব্যথা ইত্যাদি—তার জন্য রোজা রাখা বৈধ হবে না। (আশ্-শারহুল মুমতি, ৬/৩৫২)
আরও পড়ুনযেভাবে ইস্তিগফার করা যায়০৬ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চায় জামায়াত: আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের
ছবি: প্রথম আলো