গত বছরের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা ছিল অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’। বক্স অফিসে ৮৩৭ কোটি রুপি আয় করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে ছবিটি। এই সাফল্যের পর শ্রদ্ধা কাপুরের চাহিদাও আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘স্ত্রী ২’-এর সফলতার পর নিজের পারিশ্রমিক দ্বিগুণ বাড়িয়েছেন শ্রদ্ধা, দিয়েছেন অতিরিক্ত কিছু শর্তও।
জানা গেছে, একতা কাপুর প্রযোজিত একটি নতুন থ্রিলারধর্মী সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন এই বলিউড অভিনেত্রী। চলতি বছরের শেষ দিকে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা।
শ্রদ্ধা কাপুর। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুরা কারিয়াতে কিয়ামতের ভয়াবহতার বর্ণনা
সুরা কারিয়া (মহাপ্রলয়) পবিত্র কোরআনের ১০১তম সুরা। কিয়ামতকে মহাপ্রলয় বলা হয়েছে, এ জীবনে যাদের সৎকর্মের পাল্লা ভারী হবে, সেদিন তারাই সুখের জীবন লাভ করবে। আর যার পাল্লা হালকা হবে, তার স্থান হবে গনগনে আগুন হাবিয়ায়।
সুরা কারিয়ার অর্থ আবার দেখে নিই
১. মহাপ্রলয়! ২. মহাপ্রলয় কী? ৩. মহাপ্রলয় সম্বন্ধে তুমি কী জান? ৪. সেদিন মানুষ বাতির পোকার মতো বিক্ষিপ্ত হবে। ৫. আর পাহাড়গুলো ধুনিত হবে রঙিন পশমের মতো। ৬. তখন যার পাল্লা ভারী হবে ৭. সে তো পাবে সুখ ও শান্তির জীবন, ৮. কিন্তু যার পাল্লা হালকা হবে ৯. তার জায়গা হবে হাবিয়া। ১০. সেটা কী, তুমি কি তা জান? ১১. (সে) এক গনগনে আগুন।
সুরার মূল বিষয়বস্তু
প্রথমেই আল্লাহ করিয়াহ শব্দটি ব্যবহার করেছেন এবং একটি শব্দেই প্রথম আয়াত শেষ করে দিয়েছেন। এর ফলে প্রশ্ন জাগে এই ‘করিয়াহ’ কী? আল্লাহ বলে দিচ্ছেন পরের আয়াতে। এরপর আবার আল্লাহ প্রশ্ন করে বললেন মহাপ্রলয় সম্বন্ধে তুমি কী জান? করিয়াহ শব্দটি বেশ অর্থবহ। করিয়াহ বলতে বিকট শব্দ বোঝায়, বিরক্তিকর, ভীতিকর, ধ্বংসাত্মক। আল্লাহ সুরার শুরুতে তিনবার (১ম, ২য়, ৩য় আয়াতে) এই শব্দ ব্যবহার করে এর গুরুত্ব তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনবার ফুৎকার দেওয়ার কথা জানা যায়, প্রথম ফুৎকারে কিয়ামত হবে, দ্বিতীয়তে সবাই মারা যাবে, তৃতীয় ফুৎকারে আবার সবাই জেগে উঠবে। এই তিনবার করিয়াহ বলার মাধ্যমে ওই তিন ফুৎকারের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনসুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের বিশেষ ফজিলত০৭ মার্চ ২০২৫চতুর্থ আয়াতে বলা হয়েছে, সেদিন মানুষ বাতির পোকার মতো বিক্ষিপ্ত হবে। তারা এদিক–সেদিক লক্ষ্যহীন ছুটতে থাকবে। এখানে আল্লাহ মানুষ বোঝাতে ‘নাস’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
পঞ্চম আয়াতে আছে, আর পাহাড়গুলো ধুনিত হবে রঙিন পশমের মতো। পাহাড় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে হালকা হয়ে যাবে যে উড়তে থাকবে। এরপরই ষষ্ঠ আয়াতে আল্লাহ বললেন, তখন যার ওজনের পাল্লা ভারী হবে, সে সুখী জীবন লাভ করবে। অপর দিকে কিন্তু যার পাল্লা হালকা হবে, তার জায়গা হবে হাবিয়া (৮ম ও ৯ম আয়াত)। এখানে হাবিয়াহকে তার মা হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে।
হাবিয়াহ জাহান্নাম ‘মা’ বলা হলো কারণ শিশু তার মায়ের দিকে এমনিতেই, নিজ ইচ্ছাতেই এগিয়ে যায়। তেমনি পাপী মানুষেরাও নিজেরাই তাদের মায়ের (হাবিয়াহ জাহান্নাম) দিকে এগিয়ে যাবে, নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। মা যেমন তার শিশুকে জন্মের আগে পেটের মধ্যে যত্নে রাখে, বড় হলেও বুকে আগলে রাখে, তেমনি হাবিয়াহ জাহান্নামও পাপীদের তার ভেতরে যত্নসহকারে আটকে রাখবে, বের হতে দেবে না। ১০ম আয়াতে সেটা কী, তুমি কি তা জানো? প্রশ্ন করার পর পরের (১১তম) আয়াতে আল্লাহই এর উত্তর দিয়েছেন। তা হলো (সে) এক গনগনে আগুন।
আরও পড়ুনমুসা (আ.)-এর বিয়ের শর্ত১৫ এপ্রিল ২০২৫