শান্ত কেন দলে, বিপিএল সেরা হয়েও মিরাজ কেন নেই?
Published: 4th, May 2025 GMT
নাজমুল হোসেন শান্ত টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব করতে চান না। এ সিদ্ধান্ত গত জানুয়ারিতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে জানিয়েছিলেন। বিসিবি তার কথা শুনেছে। তার পরিবর্তে নতুন অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছে লিটন দাসকে। শান্ত দল থেকে বাদ পড়েননি। টিকে গেছেন। কিন্তু বাদ পড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
সাবেক অধিনায়ক শান্তর টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স তার হয়ে কথা বলছে না। তার ব্যাটিং সামর্থ্য, অ্যাপ্রোচ নিয়েও আছে প্রশ্ন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪৯ ম্যাচ খেললেও গড় রান ২২.
পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাত টি-টোয়েন্টির জন্য আজ ১৬ সদস্যের যে দল ঘোষণা করেছে, সেখানে শান্ত বাদেও ওপেনার হিসেবে আছেন লিটন, সৌম্য, তানজিদ ও পারভেজ হোসেন। তাদের থাকার পরও শান্তকে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন বলেছেন, ‘‘শান্ত আমাদের সাবেক অধিনায়ক ছিলেন... আপনি দলটার দিকে তাকিয়ে দেখুন, আপনার অভিজ্ঞতাও দরকার। ওপরের দিকে সৌম্য (সরকার) ও লিটন আছে, যারা ৯০ বা এর আশেপাশে ম্যাচ খেলেছে। এরপর যদি আপনি তাকান, দেখবেন বিস্তর ফারাক রয়েছে। শান্তরও মনে হয় এখনও ৫০ ম্যাচ হয়নি, ৪০ বা এর আশেপাশে ম্যাচ খেলেছে। তো দলের সঙ্গে আপনার সব সময়ই কিছু অভিজ্ঞতা বহন করা দরকার।”
আরো পড়ুন:
লিটনকে অধিনায়ক করে সাত টি-টোয়েন্টির জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা
ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘ব্যক্তিগত ইস্যু’, ক্রিকেটের ইমেজ নষ্ট করা হচ্ছে: আমিনুল
মেহেদী হাসান মিরাজ বাদ পড়েছেন যা অনেককেই অবাক করেছে। সবশেষ ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মিরাজ ছিলেন দলের দ্বিতীয় টপ স্কোরার। উইকেট না পেলেও সিরিজ জয়ে তার অবদান ছিল। তারচেয়ে বড় বিষয়, সবশেষ বিপিএলে মিরাজ ফরচুন বরিশালের জার্সিতে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়। যা দেশের একমাত্র টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা।
১৩ উইকেট ও ৩৫৫ রান করেছিলেন স্পিন অলরাউন্ডার। মিরাজকে দলে না রাখার কারণ ব্যাখ্যা করে গাজী আশরাফ হোসেন বলেছেন, ‘‘মিরাজ আমাদের জাতীয় দলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। বিশেষ করে টেস্ট ও ওয়ানডেতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একজন ক্রিকেটার যদি চোটে পড়ে যান, তিন সংস্করণের জন্যই তিনি পিছিয়ে পড়েন। এখানে যে পাঁচ বোলার থাকবে, সবাইকে চার ওভার করে বোলিং করতে হবে। সেক্ষেত্রে শেখ মেহেদী কিছুটা এগিয়ে আছেন।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো সময় যুদ্ধবিরতি: জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি সম্ভব। তবে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে মস্কোর ওপর চাপ বাড়াতে মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় রোববার চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি এ আহ্বান জানান।
চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট পেতর পাভেলের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, চাপ না বাড়ানো পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সংঘাত শেষ করতে কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেবেন না।
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, রাশিয়া চাপ প্রয়োগ ছাড়া যুদ্ধ শেষ করার জন্য কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব রাশিয়ার উপেক্ষা করার আজ ৫৪তম দিন।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যে কোনো মুহূর্তেই যুদ্ধবিরতি সম্ভব। সেটা আজ থেকেও হতে পারে। আর এই যুদ্ধবিরতি অন্তত ৩০ দিন চলা উচিত, যাতে কূটনীতির জন্য প্রকৃত সুযোগ তৈরি হয়।’
সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৮ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ইউক্রেনে তিন দিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
জেলেনস্কি বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ অর্থহীন। তিনি গত মার্চ মাসে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুযায়ী অন্তত ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ৯ মে বিজয় দিবসের প্যারেডে ট্যাংকের প্রদর্শনী না করে পুতিনের উচিত ছিল, কীভাবে এই যুদ্ধ বাস্তবভাবে শেষ করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করা।
জেলেনস্কি বলেন, তিনটি বিষয় জরুরি। প্রথমত রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা, দ্বিতীয়ত ইউক্রেনকে সহায়তা অব্যাহত রাখা এবং তৃতীয়ত ইউরোপজুড়ে উল্লেখযোগ্য হারে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি।