নাজমুল হোসেন শান্ত টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব করতে চান না। এ সিদ্ধান্ত গত জানুয়ারিতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে জানিয়েছিলেন। বিসিবি তার কথা শুনেছে। তার পরিবর্তে নতুন অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছে লিটন দাসকে। শান্ত দল থেকে বাদ পড়েননি। টিকে গেছেন। কিন্তু বাদ পড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। 

সাবেক অধিনায়ক শান্তর টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স তার হয়ে কথা বলছে না। তার ব্যাটিং সামর্থ্য, অ্যাপ্রোচ নিয়েও আছে প্রশ্ন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪৯ ম্যাচ খেললেও গড় রান ২২.

৮৫। স্ট্রাইক রেট একশর ওপরে, ১০৮.৩৫। রান করেছেন কেবল ৯৬০। 

পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাত টি-টোয়েন্টির জন্য আজ ১৬ সদস্যের যে দল ঘোষণা করেছে, সেখানে শান্ত বাদেও ওপেনার হিসেবে আছেন লিটন, সৌম্য, তানজিদ ও পারভেজ হোসেন। তাদের থাকার পরও শান্তকে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন বলেছেন, ‘‘শান্ত আমাদের সাবেক অধিনায়ক ছিলেন... আপনি দলটার দিকে তাকিয়ে দেখুন, আপনার অভিজ্ঞতাও দরকার। ওপরের দিকে সৌম্য (সরকার) ও লিটন আছে, যারা ৯০ বা এর আশেপাশে ম্যাচ খেলেছে। এরপর যদি আপনি তাকান, দেখবেন বিস্তর ফারাক রয়েছে। শান্তরও মনে হয় এখনও ৫০ ম্যাচ হয়নি, ৪০ বা এর আশেপাশে ম্যাচ খেলেছে। তো দলের সঙ্গে আপনার সব সময়ই কিছু অভিজ্ঞতা বহন করা দরকার।” 

আরো পড়ুন:

লিটনকে অধিনায়ক করে সাত টি-টোয়েন্টির জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা

ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘ব্যক্তিগত ইস্যু’, ক্রিকেটের ইমেজ নষ্ট করা হচ্ছে: আমিনুল

মেহেদী হাসান মিরাজ বাদ পড়েছেন যা অনেককেই অবাক করেছে। সবশেষ ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মিরাজ ছিলেন দলের দ্বিতীয় টপ স্কোরার। উইকেট না পেলেও সিরিজ জয়ে তার অবদান ছিল। তারচেয়ে বড় বিষয়, সবশেষ বিপিএলে মিরাজ ফরচুন বরিশালের জার্সিতে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়। যা দেশের একমাত্র টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা। 

১৩ উইকেট ও ৩৫৫ রান করেছিলেন স্পিন অলরাউন্ডার। মিরাজকে দলে না রাখার কারণ ব্যাখ্যা করে গাজী আশরাফ হোসেন বলেছেন, ‘‘মিরাজ আমাদের জাতীয় দলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। বিশেষ করে টেস্ট ও ওয়ানডেতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একজন ক্রিকেটার যদি চোটে পড়ে যান, তিন সংস্করণের জন্যই তিনি পিছিয়ে পড়েন। এখানে যে পাঁচ বোলার থাকবে, সবাইকে চার ওভার করে বোলিং করতে হবে। সেক্ষেত্রে শেখ মেহেদী কিছুটা এগিয়ে আছেন।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ব মোটরসাইকেল দিবস আজ

মোটরসাইকেল ব্যয় ও সময়সাশ্রয়ী। তুলনামূলক পরিবেশবান্ধব। চলাচলে রয়েছে স্বাধীনতার সুখ। আছে তারুণ্যের উদ্দীপনা, নায়কোচিত অনুভূতি। ফলে এই বাহন যে অর্থ, সময় ও পরিবেশসচেতন ও স্বাধীনচেতা মানুষের কাছে অবিসংবাদিতভাবে সবচেয়ে প্রিয় বাহন হিসেবে বিবেচিত হবে, তা বলাই বাহুল্য।

মোটরসাইকেলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশের অংশ হিসেবে ২১ জুন বিশ্ব মোটরসাইকেল দিবস পালিত হয়। দিনটির সূচনা অবশ্য খুব বেশি আগে নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে ২০১৫ সালে প্রথম বৈশ্বিকভাবে মোটরসাইকেল দিবস পালনের ধারণা তৈরি হয়। ধারণাটি এসেছিল মূলত ইউরোপ ও আমেরিকার কিছু মোটরসাইকেলচালকের মাধ্যমে। এরপর ২০১৭ সালে বেছে নেওয়া হয় ২১ জুন তারিখটি এবং সে বছরই দিবসটি অনানুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয়।

বিশ্ব মোটরসাইকেল দিবস হিসেবে ২১ জুন তথা আজকের তারিখটি বেছে নেওয়ার কারণও খুব স্পষ্ট। আজ উত্তর গোলার্ধের দীর্ঘতম দিন। মোটরসাইকেল চালানোর জন্য সবচেয়ে বেশি দিনের আলো পাওয়া যাবে আজ। এ ছাড়া মোটরসাইকেলের চালকদের জন্য দীর্ঘতম এই দিনকে মুক্তি, স্বাধীনতা, রোমাঞ্চ ও উদ্যমের প্রতীক বলে মনে করা হয়।

ন্যাশনাল টুডে ডটকম অবলম্বনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ