কক্সবাজারের খুরুশকুলে আল্লাওয়ালা নামের একটি হ্যাচারিতে আলী আকবর নামে এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। রোববার (৪ মে) রাত ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তিনি স্থানীয় কুলিয়াপাড়ার বাসিন্দা।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সেদিন রাত ১টায় মরদেহ উদ্ধারের সময় উত্তেজিত জনতা হ্যাচারির মালিকের ছেলে রাইয়ান কাশেমকে মারধর করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

রাইয়ান কাশেম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কক্সবাজারের সক্রিয় নেতা। তিনি এবি পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কাশেমের ছেলে।

নিহত আলী আকবরের পরিবারের দাবি, মাছ চুরির অপবাদে আলী আকবরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে হামলার আগে গণমাধ্যমে এনসিপি নেতা রাইয়ান কাশেম দাবি করেন, তাদের হ্যাচারিতে চুরির করার সময় আলী আকবরকে হাতেনাতে ধরে নিরাপত্তা প্রহরীরা। পরে আলী আকবর আঘাত করলে আত্মরক্ষার্থে নিরাপত্তা প্রহরীরা পাল্টা আঘাত করে। এতে মারা যান তিনি। 

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, এই ঘটনায় হোসাইন ও মিজান নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, এনসিপি নেতা রাইয়ান কাশেমকে জনরোষ থেকে রক্ষা করার জন্য পুলিশ হেফাজতে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে এসে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচিতে ফেনীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচি পালনকালে সংঘর্ষে  জড়িয়েছে বিএনপির দুই পক্ষ। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হন।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিজয় র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি পৌর শহরের চৌমুহনী রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছায়। এসময় সেখানে অবস্থানরত পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন এবং জেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। তারা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করেন।

আরো পড়ুন:

গোবিপ্রবিতে ২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষসহ আহত ১৫

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

আহতদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইমুন হক রাজীব, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম মানিক, ইঞ্জিনিয়ার সোহেল, সরোয়ার জাহান, বেলাল, সিফাত, মিলন, সঞ্জিত দাস, জাহাঙ্গীর ও জাহানারা বেগমসহ অন্তত ১৫ জন।

দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ র‍্যালিতে অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা ফটিক ও কর্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসা আবুল হাসেম বাহাদুরের নেতৃত্বে হামলা হয়।”

পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপনের দাবি, “আমরা জিরো পয়েন্টে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন করি। আকবর গ্রুপের লোকজন সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে উসকানিমূলক স্লোগান দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের সাতজন কর্মী আহত হয়েছেন।”

দাগনভূঞা থানার ওসি মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।”

ঢাকা/সাহাব/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচিতে ফেনীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
  • সাড়ে ১১ বছরেও বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি, বেড়েছে কোন্দল