সুন্দরবনের দস্যু বাহিনীর ২ সদস্য আটক, অস্ত্র জব্দ
Published: 6th, May 2025 GMT
সুন্দরবনের দস্যু করিম শরীফ বাহিনীর দুই সদস্যকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। সোমবার (৫ মে) বিকেলে সুন্দরবনের শিবসা নদী সংলগ্ন আদাছগী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও দুইটি নৌকা জব্দ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের চিফ স্টাফ অফিসার কমান্ডার সঞ্জীব কুমার দে।
আটককৃতরা হলেন- মো.
আরো পড়ুন:
মাদারীপুরে ফেনসিডিলসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৮৫০০ কেজি আম জব্দ
জব্দকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- দুইটি একনলা বন্দুক, একটি শর্টগান, একটি খেলনা বন্দুক, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, ২৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২০৪ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ, ৯টি দেশীয় অস্ত্র, চারটি কুড়াল, সাতটি করাত, ১০টি রড, পাঁচটি হাতুড়ি, একটি সোলার প্যানেল, ২৮টি মোবাইল ফোন, ১১টি ওয়াকিটকি এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দুইটি কাঠের নৌকা।
কমান্ডার সঞ্জীব কুমার দে জানান, সোমবার (৫ মে) বিকেলে করিম শরীফ বাহিনীর দুই সদস্য মো. সাদ্দাম খান ও আব্বাস মোল্লাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দীর্ঘদিন ধরে করিম শরীফ বাহিনীর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তারা ডাকাতি ছাড়াও দস্যুর বাহিনীকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য রসদ সরবরাহে সহযোগিতা করতেন। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন ডিজাইনের ১০০ টাকার নোট বাজারে আসছে মঙ্গলবার
বর্তমান গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বাজারে ছাড়বে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নোটটি প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকে ইস্যু করা হবে।
রবিবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০x৬২ বর্গ মিলিমিটার। নোটের সম্মুখভাগে বামপাশে ষাট গম্বুজ মসজিদের ছবি ও মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি এবং নোটের পেছন ভাগে সুন্দরবন, বাংলাদেশের ছবি মুদ্রিত আছে। নোটে জলছাপ হিসেবে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ, এর নিচে উজ্জ্বল ইলেক্ট্রো টাইপ জলছাপে ‘100’ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম রয়েছে। নোটটিতে নীল রঙের আধিক্য রয়েছে।
আরো পড়ুন:
ব্যাংকের বেনামী ঋণ বন্ধ হয়েছে, আমানতকারীদের আস্থা ফিরছে
‘টাকা পে’ এর নামে ভুয়া ওয়েবসাইট, সতর্ক করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
১০০ টাকা মূল্যমান নোটটিতে মোট ১০ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটের সম্মুখভাগে ডানদিকে কোনায় মুদ্রিত মূল্যমান ‘১০০’ রঙ পরিবর্তনশীল উন্নতমানের নিরাপত্তা কালি দ্বারা মুদ্রিত। নোটটি নাড়াচাড়া করলে এর রঙ সোনালি থেকে সবুজ রঙে পরিবর্তিত হয়।
নোটটির সম্মুখভাগে বামপাশে ৪ মিলিমিটার চওড়া লাল রঙ এবং উজ্জ্বল রূপালি বারের সমন্বয়ে পেঁচানো নিরাপত্তা সুতা রয়েছে। নোটটি নাড়াচাড়াকরণে নিরাপত্তা সুতার রঙ লাল হতে সবুজ রঙে পরিবর্তিত হয়, যাতে ‘১০০ টাকা’ খচিত রয়েছে এবং উজ্জ্বল রংধনুর রঙের বারে রূপান্তরিত হয়ে উপর থেকে নীচে চলতে দেখা যাবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য নোটের সম্মুখভাগে ডানে নীচের দিকে তিনটি ছোট বৃত্ত রয়েছে, যা হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভূত হয়।
নোটটিতে ইন্টাগ্লিও কালিতে মুদ্রিত অংশগুলো হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভব করা যাবে। ইন্টাগ্লিও কালিতে মুদ্রিত অংশগুলোর মধ্যে রয়েছে- নোটের সম্মুখভাগের ষাট গম্বুজ মসজিদের ছবি, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রতিশ্রুত বাক্য, বাংলা ও ইংরেজিতে মূল্যমান নোটের ডানদিকে আড়াআড়িভাবে অবস্থিত ছয়টি লাইন এবং নোটের পেছন ভাগে সুন্দরবন, বাংলাদেশের ছবি, সব মূল্যমান (অংকে ও কথায়), বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম, BANGLADESH BANK ইত্যাদি।
নোটের সম্মুখভাগে নিরাপত্তা সুতা সংলগ্ন নকশাগুলো আই অ্যাবজরবেন্ট কালি দ্বারা মুদ্রিত, যা আইআর সনাক্ত যন্ত্র দ্বারা দৃশ্যমান হবে। নোটের সম্মুখভাগে নিরাপত্তা সুতার বামপাশে ও ‘BANGLADESH BANK’ লেখাটির নিচে মাইক্রোপ্রিন্ট হিসেবে উলম্বভাবে ‘BANGLADESH BANK 100 Taka’ পুনরায় মুদ্রিত রয়েছে।
এছাড়া, নোটের পেছন ভাগে বামপাশে নীচে ও ডানপাশে উলম্বভাবে ‘BANGLADESH BANK’ এবং বামপাশে উপরে ‘100 Taka’ মাইক্রোপ্রিন্ট হিসেবে পুনরায় মুদ্রিত রয়েছে, যা শুধু ম্যাগনিফাই গ্লাস দ্বারা দেখা যাবে।
নোটটিতে গভর্নর স্বাক্ষরের ডানপাশে See-Through image হিসেবে ‘১০০’ মুদ্রিত রয়েছে যা আলোর বিপরীতে ধরলে ‘১০০’ লেখা দৃশ্যমান হবে। নোটের সম্মুখভাগে নীচের দিকের বর্ডারের মাঝখানে নীল ডিজাইন অংশে গুপ্তভাবে ‘100’ লেখা আছে, যা নোটটি অনুভূমিকভাবে ধরলে দেখা যাবে। নোটের কাগজে লাল, নীল ও সবুজ রংয়ের অসংখ্য আঁশ রয়েছে, যা আল্ট্রা ভায়োলেট সনাক্ত যন্ত্র দ্বারা দৃশ্যমান হয়।
নোটটির উভয় পৃষ্ঠে ইউভি কিউরিং ভার্নিশ সংযোজন করা হয়েছে। এর ফলে নোটটি চকচকে অনুভূত হবে, নোটের স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি পাবে।
নতুন ডিজাইনের ১০০ টাকা মূল্যমানের নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সব কাগুজে নোট এবং ধাতব মুদ্রাও যথারীতি চালু থাকবে। এছাড়া, মুদ্রা সংগ্রাহকদের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনা করে নিয়মিত নোটের পাশাপাশি ১০০ টাকা মূল্যমান নমুনা নোট (যা বিনিময়যোগ্য নয়) মুদ্রণ করা হয়েছে, যা মিরপুরের টাকা জাদুঘর থেকে নির্ধারিত মূল্যে সংগ্রহ করা যাবে।
ঢাকা/নাজমুল/মেহেদী