অভিনেত্রীকে মারধর ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ, জবাব দিলেন শামীম
Published: 7th, May 2025 GMT
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা শামীম হাসান সরকারের বিরুদ্ধে মারধর, গালিগালাজ, ধর্ষণের হুমকির মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা প্রিয়া। শুধু তাই নয়, শুটিং সেটে মাদক সেবন করে তার সঙ্গে বাজে ব্যবহারের অভিযোগও করেন এই অভিনেত্রী।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে এক টিভি সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “শুটিংয়ের সময় শামীম হাসান সরকার আমার গায়ে হাত তুলেছেন। প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন। একটানা গাঁজা খেয়ে ফিরে এসে সিন করতেন। একজন অভিনেত্রীর জন্য এর চেয়ে অপমানজনক আর কী হতে পারে?”
রাত পোহানোর আগেই পাল্টা জবাব দেন শামীম হাসান সরকার। সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগগুলোকে ‘মিথ্যা, মনগড়া ও সম্মানহানিকর’ বলে মন্তব্য করেন। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে শামীম হাসান সরকার বলেন, “মাদক সেবনের অভিযোগ খুব গুরুতর। শুটিং হাউজের সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। কেউ প্রমাণ দিতে পারলে আমি মিডিয়া ছেড়ে দেব। আজ পর্যন্ত কোনো মানুষের গায়ে হাত তুলি নাই।”
আরো পড়ুন:
অহনার সেই ‘জানোয়ার’ প্রাক্তনের নাম প্রকাশ করলেন শামীম হাসান
সিদ্দিককে মারধর, পোশাক বিতর্ক নিয়ে যা বললেন মিম
প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ঘটা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শামীম হাসান সরকার বলেন, “প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। আগেও কাজ করেছি। কিন্তু এবার শুটিং সেটে এসে রিলস আর টিকটক বানাতে ব্যস্ত ছিলেন। আমি শুধু রাগ করে বলেছিলাম— বাইরে গিয়ে করেন, শুটিং সেটে না। এটাকে এখন জঘন্যভাবে বড় করে মিথ্যা অভিযোগ বানানো হয়েছে।”
প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে শামীম হাসান সরকার বলেন, “একটা মিথ্যা অভিযোগ আমাকে বসে দেখতে হবে? আমার পরিবার ও শিল্পী সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে এই অপবাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। আমি মিথ্যার কাছে হার মানব না।”
এই ঘটনা নিয়ে শোবিজ অঙ্গনে তীব্র আলোচনা চলছে। কে সত্য, কে মিথ্যা— তা প্রমাণ করবে সময়। তবে অভিযোগের ধরন এবং পাল্টা চ্যালেঞ্জ দুটিই এই বিতর্ককে আরো জটিল করে তুলেছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক শ ম ম হ স ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মানব উন্নয়ন সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার প্রকাশিত ইউএনডিপির প্রতিবেদন অনুসারে, মানব উন্নয়ন সূচকে এবার ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩০তম। এর আগের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ছিল ১৩১তম।
মাথাপিছু আয়, শিক্ষা এবং জন্মের সময় প্রত্যাশিত গড় আয়– এই তিনটি প্রধান সূচকের ওপর ভিত্তি করে মূলত হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স বা মানব উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই) গণনা করে থাকে ইউএনডিপি। এবারের তথ্য-উপাত্ত ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। এর আগে প্রতিবেদনটি ছিল ২০২২ সালের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে।
ইউএনডিপির এবারের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ৭ বছর। গড় স্কুল শিক্ষা ৬ দশমিক ৮ বছর। ১৯৯০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর মানব উন্নয়ন সূচকের প্রবৃদ্ধি হয়েছে গড়ে ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তবে প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখনও দরিদ্র ৪০ ভাগ মানুষের হাতে আছে মাত্র ২০ দশমিক ৪ শতাংশ আয়। ধনী ১০ ভাগ মানুষের কাছে আছে ২৭ দশমিক ৪ ভাগ আয়। সর্বোচ্চ ধনীদের ১ শতাংশের হাতে আছে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ আয়।
প্রতিবেদনে থাকা দেশগুলোকে মানব উন্নয়নের ভিত্তিতে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে– অতি উচ্চ, উচ্চ, মাঝারি ও নিম্ন পর্যায়ের মানব উন্নয়ন। মাঝারি মানব উন্নয়ন ক্যাটেগরিতে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশ ভারতও এবার বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ১৩০তম অবস্থানে আছে। এর আগের প্রতিবেদনে ভারত ছিল ১৩৩তম স্থানে।