প্রথম ধাপের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন গণঅভ্যুত্থানে আহত খোকন
Published: 7th, May 2025 GMT
গণঅভ্যুত্থানে গুরুতর আহত হওয়া খোকন চন্দ্র বর্মণ রাশিয়ায় চিকিৎসার প্রথম ধাপ শেষ করে দেশে ফিরেছেন।
বুধবার (৭ মে) কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে ঢাকায় পৌঁছান খোকন চন্দ্র বর্মণ এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান।
৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত হওয়া খোকন চন্দ্র বর্মণের মুখের রিকনস্ট্রাকশন সার্জারির প্রথম ধাপের জন্য তাকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল।
খোকনের চিকিৎসার বিষয়ে রাশিয়ায় প্রশিক্ষিত চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, গত ২২ এপ্রিল রাশিয়ার একটি হাসপাতালে খোকন চন্দ্র বর্মণের প্রথম ধাপের অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়। খোকনের মুখে রিকনস্ট্রাকশন সার্জারির লক্ষ্যে প্রথমে তার মুখের থ্রিডি মডেল তৈরি করা হয়। পরে তার নিচের চোয়ালে টাইটেনিয়ামের পাত বসানো এবং অস্টিওসিন্থেসিস করা হয়। অপারেশনের সময় তার মুখ থেকে তিন-চারটি বুলেটের (ছররা বুলেটের) অংশ বের করা হয়। দ্বিতীয় ধাপের অপারেশনে ওপরের চোয়াল (ম্যাক্সিলা) রিকনস্ট্রাকশন নিয়ে কাজ করা হবে। পুরো অপারেশনের দ্বিতীয় ধাপটি হবে সবচেয়ে জটিল। এর ওপর খোকনের মুখের অবয়ব নির্ধারিত হবে। এ জটিল অপারেশন রাশিয়ার এক জন জাতীয় অধ্যাপক ও দুই জন অধ্যাপক করবেন। জুলাই মাসের প্রথমে সেই অপারেশন করা হতে পারে।
তিনি আরো জানান, খোকনের বাম চোখের এনুক্লেশন করা হবে। এনুক্লেশন একটি অস্ত্রোপচার পদ্ধতি, যার মাধ্যমে চোখ (চোখের বল) এবং এর বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ অপসারণ করা হয়। তৃতীয় ধাপে খোকনের নাকের রিকনস্ট্রাকশন সার্জারি করা হবে। এ সার্জারিতে বুকের পাঁজরের হাড় থেকে নাক তৈরি করা হবে। সর্বশেষ ধাপের অপারেশন হতে পারে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ও বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা.
ঢাকা/এএএম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কনস ট র কশন প রথম ধ প র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক ও জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
রবিবার (৪ মে) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করা হয়। মিছিলটি ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘হাসনাত ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’; ‘জুলাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’; ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ’, ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ গণঅভ্যুত্থানে অনেক জাতীয় নেতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ ও ভারত প্রশ্নে কঠোর অবস্থান ধরে রেখেছেন।
এ সময় তারা অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান। হাসনাতের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রোজোয়ান আহমেদ রিফাত বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। আমরা তাদেরকে চাঁদাবাজ, লুটেরা হিসেবে জানি। তারা এই জুলাই অভ্যুত্থানে ২ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। তারা সন্ত্রাসী সংগঠন। নির্বাচন তো দূরে থাক, আমরা কোনো সন্ত্রাসীকে বাংলাদেশের মাটিতেই দেখতে চাই না।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব আল ইসলাম বলেন, হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর যে হামলা, এটা পুরো জুলাই অভ্যুত্থানের ওপর হামলা। জুলাই বিপ্লবীদেরকে এই সরকার নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারেনি। তারা প্রোক্লেমেশন দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে এই জুলাই বিপ্লবীদেরকে হাইকোর্ট দেখাবেন না।
তিনি বলেন, আমরা বলে দিতে চাই, দিল্লির প্রেসক্রিপশনে এ দেশে কোনো রাজনীতি হবে না। যদি আপনারা অবিলম্বে জুলাই প্রোক্লেমেশন ঘোষণা করতে না পারেন, তাহলে জুলাই অভ্যুত্থানের মতো আবারও ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে আসবে।
ঢাকা/সৌরভ/রফিক