এক রাতে ভারতের ১২ ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
Published: 8th, May 2025 GMT
বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ভারতের ১২টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ভারত গত রাতে “বিভিন্ন স্থানে হেরাপ ড্রোন পাঠিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরো একটি স্পষ্ট সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছে। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সতর্কতার উচ্চ পর্যায়ে থাকা অবস্থায় এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ১২টি হেরাপ ড্রোন ধ্বংস করেছে।”
আইএসপিআরের মহাপরিচালক জানান, ১৩তম ভারতীয় ড্রোন ‘লাহোরের কাছে একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আংশিকভাবে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে।’ এতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চার সদস্য আহত হয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তানের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে: দার
ট্রাম্প চান, ভারত-পাকিস্তান থেমে যাক
তিনি বলেন, “লাহোরের কাছে এই হামলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চার সদস্য আহত হয়েছেন এবং সরঞ্জামের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।”
লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানান, ভারতের এই হারোপ ড্রোন পাঠানোর প্রক্রিয়াটি ‘গুরুতর উস্কানি।’
তিনি বলেন, “এই নগ্ন আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী উচ্চ মাত্রার সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং আমরা যখন কথা বলছি তখন তাদের নিষ্ক্রিয় করছে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকাসহ সারা দেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৯
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ৮ দিনে ২৯ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ম্যাগাজিন, দেশীয় অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১১ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, অবৈধ অস্ত্রধারী, মাদক ব্যবসায়ী, চোর, প্রতারক, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য, মাদকাসক্তসহ ২৯ জনকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আটক হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১টি ম্যাগাজিন, ১০টি গুলি, দেশীয় অস্ত্র, মাদক, জাল পরিচয়পত্র, সামরিক বাহিনীর ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার পরিচয়পত্র, জাল ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড, রুপা, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ছাড়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত রয়েছে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সাধারণ মানুষকে যেকোনো সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কাছের সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।