সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী এবং বেনজীর কন্যার সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
Published: 8th, May 2025 GMT
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খানের নামে রাজধানীতে থাকা বাড়ি, জমি প্লট, ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।এছাড়া তার নামে ৬ ব্যাংক হিসাবে থাকা ৭ কোটি ৫৮ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৬ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে দুবাইয়ে থাকা একটি ফ্ল্যাট জব্দ ও দুটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ওই ফ্ল্যাটের মূল্য ৪০ লাখ দিরহাম। আর দুই ব্যাংক হিসাবে রয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার দিরহাম।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
লুৎফুল তাহমিনার জব্দ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে-রাজধানীর তেজগাঁও জেলায় মনিপুরি পাড়ায় ৫ দশমিক ৫৭ কাঠা প্লটের ওপর ৩ হাজার ৪০০ বর্গফুটের চার তলা ভবন। একই এলাকায় ৫ দশমিক ৭৬ শতক জায়গার আলাদা দলীলের ২টি প্লট ও দুই ইউনিট বিশিষ্ট পুরাতন ভবন, একই এলাকায় এক দশমিক ৩৪ শতক জমি, পল্লবী এলাকায় ১৮৭২ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। এসব সম্পদের মূল্য ৬ কোটি এক লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা দেখানো হয়েছে দুদকের আবেদনে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। দুদকের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন লুৎফুল তাহমিনার সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, লুৎফুল তাহমিনা খান ১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুদক আইনে অপরাধ করেছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লুৎফুল তাহমিনাকে অপরাধে সহায়তা করেন। লুৎফুল তাহমিনা নিজ নামে এবং তার আংশিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে একাধিক ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত মোট ৪৩ কোটি ৭৭ লাখ ৭৪৫ টাকা টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
এসব অর্থের স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২, এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মামলার তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আসামিরা এ মামলা সংশ্লিষ্ট অপরাধলব্ধ সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে মামলার মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। আদালতের বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তির সুবিধার্থে তার বিভিন্ন সম্পত্তির মধ্যে আপাতত এসব স্থাবর সম্পদ ক্রোক, অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক জয়নাল আবেদীন।
আবেদনে বলা হয়েছে, তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে অর্জিত অর্থ অবৈধভাবে পাচার করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে অপরাধের অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য অভিযুক্ত তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজিরের স্থাবর সম্পত্তির হস্তান্তর বা হস্তান্তর বন্ধ করার জন্য স্থাবর সম্পত্তি জব্দ এবং অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা একান্ত আবশ্যক।
ঢাকা/এম/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হ স ব অবর দ ধ কর ছ ন অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ঝুঁকি নিয়ে সড়ক বিভাজক পার
২ / ৮সড়ক বিভাজকের গ্রিল ভেঙে রাখা হয়েছে। সেই ফাঁকা দিয়ে বিভাজক টপকে যাচ্ছেন এক প্রবীণ