রাত পেরিয়ে সকাল, যমুনার সামনে অনড় ছাত্র-জনতা
Published: 9th, May 2025 GMT
রাত পেরিয়ে এখন সকাল। ঘড়ির কাটায় ৬টা বেজে ২৫ মিনিট। উঠেছে সূর্য। রমনার ওপরে চিকচিকে রোদ। ধীরে ধীরে বাড়ছে রোদের তেজ। তবু প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে ছাত্র-জনতার অবস্থান। আওয়ামী লীগের বিচার ও তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে তখনো অনড় ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই অবস্থান কর্মসূচি চলমান রয়েছে সকালেও। কখনো গান, কখনো কবিতা, আবার কখনো স্লোগানে স্লোগানে উজ্জীবিত রাখা হচ্ছে কর্মসূচিকে।
রাত ১০টা থেকে সকাল ছয় ২৫ মিনিট পর্যন্ত ১ মিনিটের জন্যও থামেনি স্লোগান, গান, কবিতা। ক্লান্ত হয়ে পড়েননি জুলাই যোদ্ধারা। শেষ রাতে তাদের কণ্ঠ যেন আরো বজ্রময়, শানিত হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ না করে তারা ঘরে ফিরবেন না; সরবেন না যমুনার সামনে থেকে- এমন প্রতিজ্ঞার কথা বারবার বলতে শোনা যায় জুলাই যোদ্ধাদের।
আরো পড়ুন:
সংস্কার নিয়ে যেসব বিষয় তুলে ধরলেন এনসিপি নেতারা
হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার মতো ঘটনায় ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
গভীর রাত পেরিয়ে ফজর আজান হলে নামাজের জন্য বিরতি দেওয়া হয়। তবে, সবাই একসাথে নামাজে যাননি। পর্যায়ক্রমে তারা গেছেন। রাজপথ ধরে আছেন তারা। তবে কাউকে কাউকে দেখা গেছে, রমনা পার্ক ঘেষা ফুটপাতের গাছের গোড়ায় বসে বা শুয়ে বিশ্রাম নিতে। আবার কেউ ফুটপাতে বা কেউ রাস্তায় শুয়ে পড়েছেন। তবুও ছাড়ছেন না রাজপথ।
বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যমুনার সামনে সবাইকে আসার আহ্বান জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলাম। তাকে সমর্থন জানিয়ে পোস্ট দেন দলটির শীর্ষ দুই সংগঠক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। তার কিছু সময়ের মধ্যে যমুনার সামনে দেখা যায় ভিড়, রাত যত বেড়েছে উপস্থিতি তত বেড়েছে সেখানে।
ঢাকা/সুকান্ত/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট
এছাড়াও পড়ুন:
আঞ্চলিক বাহিনীকে সক্রিয় করেছে ভারত
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আঞ্চলিক বাহিনীর ৩২টি পদাতিক ব্যাটালিয়নের মধ্যে ১৪টি ব্যাটালিয়নকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত দেশজুড়ে মোতায়েনের জন্য সক্রিয় করেছে। শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ‘উচ্চতর প্রস্তুতি এবং কৌশলগত শক্তিবৃদ্ধির’ জন্য আঞ্চলিক বাহিনীকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
টেরিটোরিয়াল আর্মি বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী ভারতের নিয়মিত সেনাবাহিনীর একটি অংশ। এর বর্তমান ভূমিকা হচ্ছে নিয়মিত সেনাবাহিনীকে স্থির দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেওয়া এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় এবং সম্প্রদায়ের জীবন প্রভাবিত হয় বা দেশের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয় এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পরিষেবা রক্ষণাবেক্ষণে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করা। এছাড়া প্রয়োজনে নিয়মিত সেনাবাহিনীর জন্য ইউনিট সরবরাহ করাও এর কাজ।
আরো পড়ুন:
ভারতের ২৫ সেনা নিহত হয়েছে: পাকপ্রতিরক্ষামন্ত্রী
৭ পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে হত্যার দাবি ভারতের
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতে, ভারতের প্রায় ১৪ লাখ ৭৫ হাজার সক্রিয় সামরিক কর্মী রয়েছে। এছাড়া এর আধাসামরিক বাহিনীতে ১৬ লাখেরও বেশি সদস্য রয়েছে। এদিকে, পাকিস্তানের সক্রিয় সামরিক সদস্যের সংখ্যা সাত লাখেরও কম। দেশটির আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২ লাখ ৯০ হাজার।
গত সপ্তাহে ভারত পাকিস্তানের কয়েকটি এলাকায় সামরিক হামলা চালায়। এর জবাবে পাকিস্তানও ভারতের সীমান্ত রেখায় হামলা চালায়। দুই দেশের মধ্যেই প্রতিদিন সামরিক উত্তেজনা বাড়ছে। সংঘাত যেকোনো সময় বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঢাকা/শাহেদ