যারা আ.লীগ নিষিদ্ধ চায় না, তারা ফ্যাসিবাদের পক্ষের শক্তি: হাসনাত
Published: 10th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন নির্দিষ্ট কোনো দলের নয়, ফাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের আন্দোলন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। শনিবার বিকেলে শাহবাগে শাহবাগ মোড়ে গণজমায়েতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের ঐক্য বিনষ্টের জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে৷ এটা নির্দিষ্ট কোনো দলের নয়, এটা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের আন্দোলন। বাংলাদেশ আজকে দুই ভাগে বিভক্ত। বাংলাদেশপন্থি আর ফ্যাসিবাদপন্থি। যারা আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ চায়, তারা বাংলাদেশপন্থি। আর যারা চায় না, তারা ফ্যাসিবাদের পক্ষের শক্তি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গত পরশু দিন রাত থেকে আমি রাস্তায় আছি। যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। আমি বলতে চাই, কোনো ষড়যন্ত্রে বা চাপে যদি আমার মুখ থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণাও দেওয়ানো হয়, আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পরবর্তী সময়ে আমি যদি কোনো ঘোষণা নাও দিই, মনে রাখবেন আপনাদের মঞ্জিলে মকসুদ হচ্ছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আপনারা রাজপথ ছাড়বেন না।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ২০১৩ সালে এই শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা গিয়েছিল, আমরা এখান থেকে ফ্যাসিবাদের পতনধ্বনির শেষ পেরেকটা মারব। আমাদের মত-পথ আলাদা হতে পারে, কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় বিস্ফোরণ ও গুলিতে ইসরায়েলি ৫ সেনা নিহত
ফিলিস্তিনের গাজার উত্তরাঞ্চলে গতকাল সোমবার রাতভর অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলের পাঁচ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
গাজায় যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য বর্তমানে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস এ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরের মধ্যে ইসরায়েলি সেনাদের নিহত হওয়ার এ খবর এল।
আরও পড়ুনগাজায় ‘ফ্রেন্ডলি ফায়ারে’ ৩১ ইসরায়েলি সেনা নিহত০৫ জুলাই ২০২৫এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও গাজায় ইসরায়েলের হামলা থামেনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গতকাল দিবাগত রাত থেকে আজ ভোর পর্যন্ত গাজার দুটি স্থানে ইসরায়েলের হামলায় ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, গাজার উত্তরের বেইত হানুন এলাকায় অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই এ এলাকা ইসরায়েলি সেনাদের অভিযানের প্রধান লক্ষ্যবস্তুগুলোর একটি ছিল। সেখানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের পুনর্গঠিত হওয়া ঠেকাতে ইসরায়েল বারবার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজায় ইসরায়েলের ৭ সেনাসদস্য নিহত২৫ জুন ২০২৫হামলায় দুই সেনা গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজায় ইসরায়েল তাণ্ডব শুরু করার পর এ নিয়ে এ উপত্যকায় ইসরায়েলি ৮৮৮ সেনা নিহত হলেন।
গাজায় দুই সপ্তাহ আগেই সাঁজোয়া যানে বিস্ফোরণে ইসরায়েলি সাত সেনা নিহত হয়েছিলেন। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের একটি সাঁজোয়া যানে আগে থেকে বোমা পেতে রেখে ওই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন।
সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করে দেওয়া এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, সেনারা হামাসকে পরাজিত করা ও সব জিম্মিকে মুক্ত করার অভিযানে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন।
আরও পড়ুনগাজায় ৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত০৬ জুন ২০২৫