আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
Published: 11th, May 2025 GMT
ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে গণহত্যা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের দায়ে বিচারিক কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শনিবার (১০ মে) রাতে আসা এ সিদ্ধান্তে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা আনন্দিত। তবে দলটিকে চিরতরে নিষিদ্ধ করার পক্ষেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে না প্রতিক্রিয়া। এ ব্যাপারে রাইজিংবিডি ডটকমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকাই উচিত নয়
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে গবেষণা পদ্ধতিবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি
আওয়ামী লীগের সব অপরাধের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা খুবই ভালো কথা। কিন্তু এর মধ্যেও কিন্তু রয়েছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা মানে দলকে নিষিদ্ধ করা না। আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছে, তার জন্য এই দলের কোনো অস্তিত্ব থাকাই উচিত নয়। নির্বাহী আদেশে সম্ভব না হলেও বিচারিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
(লেখক: এইচ এম খালিদ হাসান, শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ)
আওয়ামী লীগের তিন গণহত্যার বিচার হয়নি
আওয়ামী লীগ যে তিন তিনটা গণহত্যা (শাপলা, পিলখানা, জুলাই অভ্যুত্থানে) চালিয়েছে, তার দৃশ্যমান কোনো বিচার কার্যক্রম চোখে পড়েনি। তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে এগুলোর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে আমি মনে করি।
(মাহির কাইয়ুম, শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ)
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়নি
আমাদের যে মূল দাবি, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে; সেটি হয়নি। সরকার অতি দ্রুত বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। সে পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি। সরকার নিঃসন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপ্লবী রূপ দেখেছে। এ সিদ্ধান্ত না হলে বিপ্লবী রূপ আরো বিপ্লবী হয়ে উঠবে।
(আরিফ জাওয়াদ, শিক্ষার্থী, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ)
আওয়ামী লীগ আগাগোড়া সন্ত্রাসী দল
আওয়ামী লীগ কোনো সাধারণ রাজনৈতিক দল না। এটা একটা আগাগোড়া সন্ত্রাসী দল। তাদের নিষিদ্ধ আরো আগেই হওয়া উচিত ছিল। অবশেষে আমরা জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে সেটার বাস্তবায়ন দেখতে পেলাম। আলহামদুলিল্লাহ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর।
(এ বি জুবায়ের, শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ)
ঢাকা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ শ ক ষ বর ষ ন ষ দ ধ কর গণহত য
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণ: এবি পার্টির ৩৬ দিনের কর্মসূচি
অনুপ্রেরণা, আত্মপর্যালোচনা ও প্রত্যয়দীপ্ত অঙ্গীকারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ৩৬ দিন উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাজধানীর বিজয় নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তনের মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা সবসময় নির্বাচন ছাড়া জোর করে তাদের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চেয়েছে। পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৭০ এর নির্বাচন আদায় করা সম্ভব হয়েছিল কিন্তু তারা গণহত্যা চালিয়ে সে নির্বাচনের ফল বাস্তবায়ন করতে দেয়নি।ফলে অনিবার্য হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ। যা দেশের মানচিত্র, পতাকা ও ভূখণ্ড নতুন করে নির্ধারণ করেছিল।”
আরো পড়ুন:
ছাত্রশিবির ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে: রাকিব
নাটোরে পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রদল নেতা, সচিবকে শোকজ
“৯০ এর গণআন্দোলনের পর ৯১-এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল যা সংবিধানে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়েছে। নব্বইয়ে তিন জোটের রূপরেখা ঘোষণা করে রাষ্ট্র পরিচালনার অঙ্গীকার করা হয়েছিল।”
শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলসহ সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন হয়নি মন্তব্য করে মঞ্জু বলেন, “হাজার হাজার মানুষের রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে সিংহাসন ছেড়ে পালাতে হয়েছে। সুতরাং শুধু একটা নির্বাচন করে ক্ষমতায় নতুন সরকার বসলেই গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার পূর্ণ হবে না, বরং একাত্তর, নব্বই ও চব্বিশের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সকলে ঐকমত্যে পৌঁছার মাধ্যমে একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে নতুন মাত্রায় উপনীত করতে হবে।”
তিনি সবাইকে সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ঐকমত্যে পৌঁছার আহ্বান জানান। কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
সময়: ১ জুলাই ২০২৫, শনিবার, সকাল ১১ টা। স্থান: জাতীয় প্রেসক্লাব।
‘কোটা না মেধা: এক রক্তস্নাত অধিকারের সংগ্রাম' শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী। ২ জুলাই ২০২৫ হতে ১৩ জুলাই। স্থান: বিজয়-৭১ চত্ত্বর।
স্মৃতিতে স্মরণে-১৪ জুলাই: প্রতিকী মিছিল
"আমি কে তুমি কে রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার; শেখ হাসিনা পালায় না, গুষ্টিশুদ্ধ পালায়’।
১৪ জুলাই ২০২৫, সোমবার, বিকাল ৪ টা। স্থান: বিজয় ৭১ চত্ত্বর।
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনে স্মারকলিপি।
১৫ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার।
রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবরে দোয়া ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং ফেনীতে ছাত্রলীগ ও পুলিশের যৌথ হামলার নৃশংসতা স্মরণে কালো পতাকা মিছিল।
১৬ জুলাই ২০২৫, বুধবার
দুস্থদের খাবার বিতরণ-রংপুর
কালো পতাকা মিছিল-ফেনী ও ঢাকা
‘ইন্টারনেট বন্ধ করে আন্দোলন ও গণহত্যা ব্ল্যাকআউট' স্মরণে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সংহতি জ্ঞাপন। ঢাকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাস গুলোতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ।
১৭ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার।
কফিনবাহী প্রতীকী রোড মার্চ ও পথসভা: যাত্রাবাড়ী-ঢাবি-রামপুরা-মোহাম্মদপুর-উত্তরা
১৮ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার।
হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে নির্বিচারে মানুষ হত্যার বীভৎসতা স্মরণে মৌন মিছিল।
১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার।
প্রবাসীদের রেমিট্যান্স শাট ডাউন কর্মসূচি স্মরণে আলোচনা সভা।
লন্ডন, দুবাই, মালোয়েশিয়া শাখা সংগঠন এটা পালন করবে।
২০ জুলাই ২০২৫, রবিবার।
গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী আলেম-ওলামাদের প্রতীকী সম্মাননা প্রদান ও সংবর্ধনা।
২১ জুলাই ২০২৫, সোমবার। স্থান: বিজয় ৭১ চত্বর।
চট্টগ্রামে শহীদদের স্মরণে সমাবেশ ও মিছিল।
২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার। স্থান: চট্টগ্রাম
দায়িত্ব: চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা কমিটি।
গণহত্যকারী দল আওয়ামী লীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা
ও মিশনে চিঠি প্রেরণ।
২৩ জুলাই ২০২৫, বুধবার-
গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী নারীদের প্রতীকী সম্মাননা প্রদান ও সম্বর্ধনা।
২৪ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, সকাল ১১টা। স্থান: জাতীয় প্রেস ক্লাব।
গণঅভ্যুত্থানে শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্তি ও অনুপ্রেরণা স্মরণে শ্রমিক সমাবেশ
২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার। স্থান: গাজীপুর।
রায়েরবাজার গণকবরে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও দোয়া ২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার, সকাল ১১টা। স্থান: রায়েরবাজার।
গণঅভ্যুত্থানে নিবেদিত আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় ও সংবর্ধনা ২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার
গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সেবা দানকারী চিকিৎসকদের সংবর্ধনা
২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার।
আহত-পঙ্গুদের সাথে মতবিনিময় ও সংবর্ধনা।
৩০ জুলাই ২০২৫, বুধবার।
গণঅভ্যুত্থানে নিবেদিত শিল্পী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম কর্মীদের সম্মানে চা-চক্র ৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার।
কারারুদ্ধ নেতৃবৃন্দের সংবর্ধনা।
১ আগস্ট ২০২৫, শুক্রবার।
গণঅভ্যুত্থানে অবদান রাখা সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়
২ আগস্ট ২০২৫, শনিবার।
শহীদ মিনারে কর্মসূচি ঘোষণা দিবসকে স্মরণ করে প্রেস ব্রিফিং ও পদযাত্রা
৩ আগস্ট ২০২৫, রবিবার।
গণপ্রতিরোধ স্মরণে জাতীয় পতাকা মিছিল
৪ আগস্ট ২০২৫, সোমবার, বিকাল ৪ টা, বিজয়-৭১ চত্বর।
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে সংহতি সমাবেশ, ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় জেয়াফত।
৫ আগস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, সকাল ১১ টা। স্থান: বিজয়-৭১ চত্ত্বর।
উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, আনোয়ার সাদাত টুটুল, ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, এবিএম খালিদ হাসান ও ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাসেত মারজান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শাহ আব্দুর রহমান, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফারাহ নাজ সত্তার, কেন্দ্রীয় সহকারী দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরণ চৌধুরী, আব্দুল হালিম নান্নু, মশিউর রহমান মিলু, সহকারী প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, রিপন মাহমুদ, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান ব্যাপারী, সহকারী স্বেচ্ছা সেবা বিষয়ক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, কেফায়েত হোসেন তানভীর, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব আহমাদ বারকাজ নাসি প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ