সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া জঙ্গলে ফেলে যাওয়া ৭৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে কোস্টগার্ড। তারা সবাই বাংলাদেশি। সবার শরীরে কমবেশি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তাদের জাহাজ ও স্পিডবোটে ৯ মে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবনের চরে ফেলে যায় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) ও ভারতীয় কোস্টগার্ড। পরে তারা হেঁটে মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়িতে আশ্রয় নেন।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির জানান, তারা সবাই খুলনা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও যশোরের বাসিন্দা। অনেকে দীর্ঘদিন ধরে, কেউ কয়েক বছর বা মাস ধরে ভারতে বাস করছেন। এর মধ্যে ৭০ জন আহমেদাবাদ থেকে এবং আটজন সুরাট থেকে আটক হন। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মাধবপাশা গ্রামের মো.

হারুন (৫৪) ৩৭ বছর সুরাটে ছিলেন। কালিয়ার বিষ্ণুপুর গ্রামের রউফ শেখ (৭৬) আহমেদাবাদে ছিলেন ২২ বছর। আর বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বরাকোঠা গ্রামের রুমান মোল্লা (৩২) আহমেদাবাদে গেছেন এক মাস আগে।
ওসি আরও জানান, তাদের জন্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স ভবনে পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাত ১০টার দিকে তাদের এখানে পৌঁছার কথা।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রনী খাতুন জানান, হঠাৎ করে ৭৮ জনকে বঙ্গপোসাগর তীরবর্তী নির্জন এলাকায় ফেলে যাওয়ার ঘটনা সবাইকে বিস্মিত করেছে। পরে বন বিভাগ ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সহায়তায় তাদের মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়। এ সময় তাদের নাম, পরিচয় ও ঠিকানা শনাক্ত করা হয়। তাদের সুস্থ রাখার জন্য শুকনা খাবারসহ চাল, ডাল, পানিসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়।
কোস্টগার্ড সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে সমুদ্রপথে মোংলায় নেওয়া হয়। সহকারী বন সংরক্ষক মশিউর রহমান জানান, সবার শরীরে কমবেশি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ১৪ জনকে আটক করে বিজিবি। রোববার ভোরে জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। এর মধ্যে দুই শিশু, তিন নারী ও ৯ পুরুষ রয়েছেন।
বিজিবি জানায়, অভিযুক্তরা স্বীকার করেন, ছয় মাস আগে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে গিয়েছিলেন। জীবননগর থানার ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, বিজিবি সদস্যরা রোববার দুপুরে ১৪ জনকে থানায় সোপর্দ করেছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন দরবন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মধু পরিবহনের বাক্সে পাচার হচ্ছিল সুন্দরবনের গরান কাঠ, গ্রেপ্তার ৩

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় সুন্দরবনের গরান কাঠ পাচারের সময় তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সুন্দরবনসংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ এলাকা তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬৫০ টুকরা গরান কাঠ জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার পানিয়া গ্রামের আল আমিন (৩৫), মনিরুল ইসলাম (২৬) ও মীর আলী (৭৫)। এ ছাড়া দুজন কিশোরকে আটক করা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।  

আরও পড়ুনসুন্দরবনের গরান কাঠ কাটার অনুমতি চেয়ে বাওয়ালিদের সংবাদ সম্মেলন০৬ জানুয়ারি ২০২৫

বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, গতকাল রাত ৯টার দিকে খবর আসে, একটি চক্র সুন্দরবন থেকে গরান কাঠ কেটে পাচার করছে। বন বিভাগ ও কমিউনিটি পেট্রলিং গ্রুপের (সিপিজি) সদস্যরা মুন্সিগঞ্জ এলাকায় রাত ১১টার দিকে দুটি পিকআপ ভ্যান আটক করেন। পরে তল্লাশি চালিয়ে মধু পরিবহনের বাক্স থেকে ৬৫০ টুকরা গরানের কাঁচা কাঠ জব্দ করা হয়। সাধারণত মধুর খামারিরা এ ধরনের বাক্স ব্যবহার করে থাকেন।

জিয়াউর রহমান জানান, আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে আল আমিন, মনিরুল ও মীরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি
  • গুজরাট থেকে উড়োজাহাজ-লঞ্চে করে চোখ বেঁধে আনা হয়েছে, জানালেন ভুক্তভোগীরা
  • ভারতের রেখে যাওয়া ৭৮ জন শ্যামনগর থানায়, আজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
  • তরুণকে কুপিয়ে হত্যা
  • বিএসএফ রেখে যাওয়া ৭৮ জনকে নেওয়া হচ্ছে শ্যামনগর থানায়
  • বিএসএফের রেখে যাওয়া ৭৮ জনকে নেওয়া হচ্ছে শ্যামনগর থানায়
  • বিএসএফের ফেলে যাওয়া ৭৮ জনকে নেওয়া হচ্ছে শ্যামনগর থানায়
  • মধু পরিবহনের বাক্সে পাচার হচ্ছিল সুন্দরবনের গরান কাঠ, গ্রেপ্তার ৩
  • ৭৮ জনকে সুন্দরবনে ফেলে গেল বিএসএফ ও ভারতীয় কোস্টগার্ড