Samakal:
2025-08-15@22:18:57 GMT

যন্ত্রমানবের আজব দুনিয়া

Published: 11th, May 2025 GMT

যন্ত্রমানবের আজব দুনিয়া

যন্ত্রমানব বলতে যা দৃশ্যমান হয়, তা হলো খুদে আকৃতির রোবট। দরজা খোলা বা ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে পরিবেশন– এমন কাজের প্রয়োজন মেটাবে মানবিক রোবট।
অনেকেই উন্নত দেশের এমন রোবটের সঙ্গে পরিচিত। অভিজ্ঞরা অবশ্য সিলিকন ভ্যালির কথা বলতে পারেন। যেখানে দরজা খুলে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে রোবট। অতিথিকে ঘরে স্বাগত জানাল। কথা বলছে চোখের দৃষ্টিতে। যেন কী মানবিক। কারণ সম্পূর্ণ মানুষের অবয়ব, কিন্তু আদতে মানুষ নয়। এমনকি হাত এগিয়ে অভ্যর্থনা জানাবে, এমন অভিজ্ঞতা অবাক করবে না!
বিশ্বে প্রতিদিন রোবট নিয়ে চলছে হৈ-হুল্লোড় আর উন্মাদনা। সব ক্ষেত্রে রোবটের দৃশ্যায়ন যেন বেড়ে চলেছে। শিল্প ক্ষেত্রে নয়, বাড়ির প্রতিদিন কাজের বড় অংশে রোবট এখন দাপুটে সহযোগী।
এআই এখন গাড়ি চালাচ্ছে, গল্প লিখছে, মুহূর্তেই তৈরি করছে কম্পিউটার কোড। বলতে গেলে, কিনা করছে তারা। কৃত্রিম বুদ্ধির সমন্বয় কীভাবে রোবটে যুক্ত হয়, তা নিয়ে চলছে গবেষণা। বিশ্বের শতাধিক এআই স্টার্টআপ এমন রোবট তৈরি, গবেষণা ও উন্নয়নে কাজ করছে। ইতোমধ্যে এ খাতে বিনিয়োগ ৭২০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট উন্নয়ন এতটাই আকর্ষণীয় হয়েছে যে, ইলন মাস্কের সংস্থা টেসলা এমন রোবট তৈরিতে গবেষণা করছে। টেসলা উদ্ভাবিত মানবিক রোবটের নাম অপটিমাস, যা টেসলা বট নামে পরিচিত। এআই পরিচালিত এমন রোবট তৈরি করা হয়েছে, যা মানুষের অসাধ্য সব কাজ করে দেবে নিমেষেই।
মানবিক রোবট ব্যবহারের বড় ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে ইতোমধ্যে। ঘরের যে কোনো কাজ, যেমন পরিষ্কার করা বা নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ, মানুষের বিকল্প হতে চলেছে এমন সব রোবট নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। ঘরের কাজ কেন, শিল্পকারখানায় দিন-রাত শ্রমিকের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে এমন রোবটকে। বহু কঠিন কাজ করানো যায় রোবট দিয়ে।
অদেখা অন্য দিকও কিন্তু রয়েছে। রোবট যখন পুরোদস্তুর মানুষের কাজ করে দেবে, মানুষ তখন দ্রুত কর্মহীন হবে! মানবিক কর্মক্ষম রোবট নির্মাতারা বলছে, মানুষের কাজের ওপর এমন রোবট আদৌ কোনো প্রভাব ফেলবে না। যদিও এমন কথা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
২০২৬ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় পৌঁছাবে টেসলা উদ্ভাবিত প্রি-অর্ডারের রোবট; যার সম্ভাব্য দাম ২০ হাজার ডলার। বৈশিষ্ট্যভেদে দাম বাড়বে। এমন রোবট করে দেবে ঘরের যাবতীয় কাজ। অন্যদিকে, সুনির্দিষ্ট কিছু পেশাদারি কাজ দক্ষতার সঙ্গে সামলে নেবে। সে জন্য প্রয়োজন হবে বিস্তর ডেটা প্রসেস, যা ছাড়া রোবট কিন্তু অচল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি যেভাবে রোবট শিল্পে জুড়ে যাচ্ছে, তাতে সবখানে পারদর্শী হবে এমন প্রযুক্তি।
ফাঁকা বাসার নিরাপত্তায় থেকে দরজা খুলে স্বাগত জানিয়ে তালিকা অনুযায়ী আতিথেয়তা আর খাবার পরিবেশন করবে রোবট, এমনটা হতে খুব বেশি দেরি নেই আর বলে মন্তব্য করেছেন এআই প্রযুক্তির গবেষকরা।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শুভ জন্মাষ্টমী আজ

অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ—এই বিশ্বাস পোষণ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাব তিথি শুভ জন্মাষ্টমী হিসেবে উদ্‌যাপন করা হয়।

সনাতন ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেন, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। আজ শনিবার শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি।

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শুক্রবার এক বাণীতে তিনি বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আজ সকাল আটটায় দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় শ্রীশ্রী গীতাযজ্ঞ, বেলা তিনটায় ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল ও রাতে শ্রীকৃষ্ণপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, রাজধানীর পলাশীর মোড়ে আজ বেলা তিনটায় কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন করবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ও নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ