Samakal:
2025-06-26@20:29:47 GMT

বিদেশে পড়াশোনা

Published: 11th, May 2025 GMT

বিদেশে পড়াশোনা

উন্নত ক্যারিয়ার ও উত্তম জীবনযাত্রার উৎকৃষ্ট নির্ণায়ক হলো বিদেশে উচ্চশিক্ষা। আর সে জন্য প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান তাদের স্বপ্নের দেশে। প্রথমেই একজন শিক্ষার্থীকে ঠিক করতে হবে তিনি কোন দেশে পড়তে চান। কারণ একেকটি দেশের পড়াশোনা, খরচ, ভর্তির রিকোয়ারমেন্টে পার্থক্য আছে। দেশ বাছাইয়ের পর ঠিক করতে হবে, সাবজেক্ট ও আর্থিক সামর্থ্যের সঙ্গে মিলিয়ে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রেও একেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বা চাহিদা, টিউশন ফির সঙ্গে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য থাকে। 
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আবেদন করার ধরন ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে একটু আলাদা। দেশের বাইরে পড়ালেখার পরিকল্পনা থাকলে তাই আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়গুলো ইন্টারনেট থেকে বিস্তারিত জেনে নিন। আবেদনের শেষ দিন, কী কী কাগজপত্র পাঠাতে হবে, খরচ কেমন– জেনে নিন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোন বিষয়টি আপনার জন্য মানানসই। কয়েকটি সেশনে ভর্তি করা হয়; এ ক্ষেত্রে কোন সেশনে ভর্তি হতে চান সে পরিকল্পনাও করে ফেলুন। যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশেই কয়েকটি সেশনে ভর্তি করা হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ, আবেদন ইত্যাদি অন্তত এক বছর আগে থেকে শুরু করতে হবে। যে বিষয়ে পড়তে চান, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে। সে সঙ্গে দেখতে হবে আপনার আর্থিক সামর্থ্য এবং পছন্দের সঙ্গে মিলছে কিনা। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ ও স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার। কোথায় পড়াশোনা করবেন, তা ঠিক করার আগে চারটি বিষয় মাথায় রাখুন। 
l আপনি দেশে কীভাবে পড়াশোনা করেছেন এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে আপনি কী চান? 
l আপনার পছন্দের বিষয় অথবা গবেষণার বিষয়। 
l পছন্দ অনুযায়ী আপনার বেশ কিছু ইউনিভার্সিটির প্রোফাইল। 
l ব্যক্তিগত লক্ষ্য, কোর্স খরচ এবং ভর্তির যোগ্যতা। 
এ চারটি বিষয় নিয়ে ভাবলে কোথায় পড়াশোনা আপনার জন্য ভালো হবে সে বিষয়ে পরিপূর্ণ একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে চাইলে প্রথমেই ভাবতে হবে আপনি কেন বিদেশে পড়তে যেতে চান। তারপর ভাবতে হবে আপনি যে কোর্সটি করার জন্য বিদেশে যেতে চাচ্ছেন, সেই কোর্সটি বিদেশে গিয়ে করলে আপনি কী কী সুবিধা ও অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন। প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগ ও সেশন ঠিক করে নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আবেদন করার ধরন ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে একটু আলাদা। সাধারণত মার্চ ও অক্টোবর মাসের মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করতে হয়। প্রথমেই সব পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র ও সনদ সংগ্রহ করে রাখুন।  
ভাষা দক্ষতা :  যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য অবশ্যই আপনার প্রয়োজন হবে আইইএলটিএস, টোফেল, স্যাট অথবা জিআরই। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে এসব রিকোয়ারমেন্টের পার্থক্য থাকতে পারে। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় দেশগুলোর বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএসে ব্যান্ড স্কোর অন্তত ৬ থাকা দরকার। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এর চেয়ে বেশিও চাইতে পারে। তবে আমেরিকাসহ আরও কিছু দেশের কোনো কোনো বিষয়ে টোফেল, স্যাট বা জিআরই দরকার হতে পারে। জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন, নরওয়ের মতো ইউরোপীয় দেশে পড়তে গেলে যেমন ইংরেজিতে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে, আবার অনেক ক্ষেত্রে সেই দেশের ভাষার দক্ষতা দরকার হতে পারে। বিশেষ করে জার্মানির মতো দেশে পড়ার সুযোগ নিতে হলে জার্মান ভাষা জানতে হবে। 
ভর্তি প্রক্রিয়া : বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় বাছাই করার পর অনলাইনের মাধ্যমে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। সেখানে পড়াশোনার সব সনদ স্ক্যান করে পাঠাতে হবে। সাধারণত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আবেদন গ্রহণ বা বাতিলের সিদ্ধান্ত ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হয়। আবেদনপত্র গ্রহণ করা হলে ভিসা আবেদনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। 
আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণপত্র : ভিসা আবেদনের সময় আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ দেখাতে হবে।  প্রায় সব দেশেই শিক্ষার্থী ভিসার ক্ষেত্রে দূতাবাস কর্মকর্তারা দেখতে চাইবেন, শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ও থাকা-খাওয়ার খরচ সে বহন করতে সক্ষম কিনা। দেশভেদে টিউশন ফি একেক রকম। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীর থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, হাত ও চিকিৎসা খরচ যোগ করতে হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেমিস্টারের ফি অগ্রিম পরিশোধ করতে হয়। অনেক দেশে স্বাস্থ্যবীমা থাকা বাধ্যতামূলক। 
বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা প্রকাশের জন্য স্যাট, জিআরই বা জিম্যাট স্কোরকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া ভাষা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে আইইএলটিএস ও টোফেল স্কোরের গুরুত্ব অনেক। এই পরীক্ষাগুলোর জন্য সময় দিয়ে, পরিশ্রম করে, যত বেশি সম্ভব স্কোর তুলতে হবে। 
বৃত্তি : ভারত, তুরস্ক, জার্মানি, জাপান, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারিভাবেই নানা ধরনের বৃত্তি রয়েছে। এ রকম বিখ্যাত কয়েকটি বৃত্তি হলো– জাপানের মনবুশো বৃত্তি ও মনবুকাগাকুশো বৃত্তি, এমএইচটিটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম, জার্মানির ডিএএডি, অস্ট্রেলিয়ার ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ, যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ স্কলারশিপ, শেভেনিং স্কলারশিপ, 
যুক্তরাষ্ট্রের ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্টস প্রোগ্রাম, কানাডার হাম্বার ইন্টারন্যাশনাল এন্ট্রান্স স্কলারশিপ ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থীদের পূর্ণ বা আংশিক বৃত্তির সুযোগ রয়েছে। v 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর থ ক স ন র জন য প রথম ই ঠ ক কর দরক র আপন র ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

কৃষি ক্যাডারের তিন কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

কৃষি ক্যাডারের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) সাবেক উপপরিচালক (প্রশাসন) ও সদ্য মেহেরপুর হর্টিকালচার সেন্টারে বদলিকৃত ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ, মৌলভীবাজার জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এবং ডিএই হবিগঞ্জের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. রেজাউল ইসলাম (মুকুল)।

মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর ৩০ (ক), (খ), (গ) ও (ঘ) এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) ও ৩(ঙ)-এর আওতায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮–এর ধারা ৩৯(১) অনুযায়ী তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন তাঁরা বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাসহ আরও কিছু কর্মকর্তা গত ৫ আগস্টের পর থেকে নিজেদের ‘বিএনপিপন্থী পরিচয়’ তুলে ধরে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়ান। ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদের বদলির আদেশকে কেন্দ্র করে তাঁরা রাজধানীর খামারবাড়ি এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি, সংবাদ সম্মেলন এবং এমনকি সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করেন।

এই কর্মকর্তাদের একাংশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে বিশৃঙ্খল করে তোলে বলে দাবি করেছে মন্ত্রণালয়। এতে সেখানে কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বদলির প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই এই কর্মকর্তারা নতুন পদায়ন হওয়া একজনকে নানা হুমকি দেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে খামারবাড়ির অভ্যন্তরে স্বাভাবিক দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। একাধিক কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলন করে নিজের বদলি নিয়ে প্রকাশ্যে আপত্তি জানান। এতে সরকারি কর্মচারীদের নিরপেক্ষতা ও আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।

কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য ও দালিলিক প্রমাণ অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলবে। বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মে জড়িত অন্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা রক্ষা ও দাফতরিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেউই ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক পরিচয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনাকে অস্থিতিশীল করতে পারেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা উদাহরণস্বরূপ ব্যবহৃত হবে, যেন ভবিষ্যতে আর কেউ প্রশাসনিক আদেশকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা না করেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ