পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আরও ৪০ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত ৮ মে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে জামিন শুনানি ও মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন এ মামলায় সাক্ষ্য দেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.

) জায়েদী। পরে ৪০ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জামিন মঞ্জুর করেন তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পারভেজ হোসেন।

জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন- রেজাউল করিম, শাজাহান, রফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, রেজাউল করিম, মো. শামীম, ওয়ালি উল্লাহ, হাবিবুর রহমান, তারিকুল ইসলাম, বনি আমিন চৌধুরী, মো. এ বারিক, ইমতিয়াজ আহমেদ নবীন, মোয়াজ্জেম হোসেন, মিজানুর রহমান, সিদ্দিকুর জামান জোয়ার্দার ওরফে লিটন, মো. এ মোনাফ, আকিদুল ইসলাম, খলিলুর রহমান, মিজানুর রহমান, কৌতুক কুমার সরকার, মো. সালাউদ্দিন, সোহরাব হোসেন, কামাল হোসেন, মো. ইশহাক, দারুল ইসলাম, শ্রী সুমন চক্রবর্তী, আবু সাঈদ, সেজান মাহমুদ, মো. সেলিম, বিধান কুমার সাহা, মাসুম হাসান, ফিরোজ মিয়া, শ্রী তাপস কুমার বিশ্বাস, রফিকুল ইসলাম, কামাল মিয়া, নূর-এ-আলম মিয়া, এনামুল হক, শফিকুল ইসলাম, রবিউল আলম এবং আল আমিন।

তার আগে গত ১৯ জানুয়ারি নিম্ন আদালতে খালাসপ্রাপ্ত ১৭৮ বিডিআর সদস্যের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল না থাকায় একই আদালত তাদের জামিনের আদেশ দেন।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর বর্তমানে বিজিবি সদরদপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ড আর ব দ র হ ক ল ইসল ম র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার চট্টগ্রাম সফর ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফরে আসছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী বুধবার (১৪ মে) সকালে তিনি নিজ জন্মস্থান চট্টগ্রামে পৌঁছাবেন। 

চট্টগ্রাম সফরে প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম নগরীতে যেসব সড়ক দিয়ে চলাচল করবেন, সেগুলো সংস্কার, সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি ফুটপাত থেকে অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। 

চট্টগ্রামে প্রধান উপদেষ্টার সফরসূচির মধ্যে রয়েছে, সকালে চট্টগ্রাম পৌঁছে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে এক সভায় যোগ দেবেন। সেখানে বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। 

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজার পরিস্থিতি উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার ৫ নির্দেশনা

এলডিসি উত্তরণে জরুরি ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান

বন্দরের কর্মসূচি শেষে মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আসবেন। সেখানে তিনি কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন। এছাড়া এখানে তিনি চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের দলিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন। এরপর তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উদ্দেশে সার্কিট হাউস ত্যাগ করবেন। দুপুর ২টা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে। 

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) প্রকৌশলী মো. সবুক্তগীণ জানান, প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এ ব্যাপারে রেলওয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার জানান, বুধবার দুপুর ২টায় প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে যোগ দিবেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। ৫ম সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টাকে ডি লিট ডিগ্রি দেয়া হবে। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচন ও শান্তিপ্রতিষ্ঠার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এ ডিগ্রি দেয়া হবে। 

সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর চৌধুরী রফিকুল আবরার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম, ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর এস. এম. এ. ফায়েজ।

প্রধান উপদেষ্টার চট্টগ্রাম সফর ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। চট্টগ্রাম নগরীতে প্রধান উপদেষ্টা যেসব সড়ক দিয়ে চলাচল করবেন সেগুলো সংস্কার, সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি ফুটপাত থেকে অবৈধ সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। 

ঢাকা/রেজাউল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ