স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলছেন, ‘সংস্কার আগে নিজের ভেতরে করতে হবে। তারপর স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে উদ্যোগ নিতে হবে, না হলে শুধু রাজা বদল হবে, অবস্থা বদলাবে না।’

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির ৫২তম বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘চক্ষু চিকিৎসকদের মধ্যে যারা ভালো কাজ করছেন তাদের দায়িত্ব দিতে হবে। পেরিফেরিতে ভালো ডাক্তার নেই, কাজেই তাদেরকে যেখানে যেতে বলা হবে সেখানে থাকতে হবে। প্রয়োজনে বেতন বেশি দিতেও আমরা সম্মত। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, তাহলে চিকিৎসা খাতে আমরা ভালো করতে পারব। না হলে শুধু রাজা বদল হবে, অবস্থা বদলাবে না।’

তিনি বলেন, ‘৭ হাজার চিকিৎসককে প্রমোশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চিকিৎসক, সার্জনদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে, দ্রুতই কার্যকর হবে বলে আশা করছি। তাই বলে বেতন না বাড়া পর্যন্ত কী চিকিৎসা বন্ধ থাকবে? চিকিৎসকরা সময়মত হাসপাতালে যাচ্ছেন না, রোগী ভর্তিসহ বেশিরভাগ কাজেই মানুষের জন্য সহজলভ্য না।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্যসচিব সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.

মো. আবু জাফর, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. শাহাব উদ্দিন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব স থ য উপদ ষ ট উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের তামিলনাড়ুতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৬

ভারতের তামিলনাড়ুতে এক বাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার ভোরে তামিলনাড়ুর শিবকাশিতে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও অনেকে। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এদিন ভোরে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় স্থানীয়দের। তাঁরা বেরিয়ে দেখেন দাউ দাউ করে জ্বলছে কারখানাটি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ঘন কালো ধোঁয়া। একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

জানা যায়, প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ রূপ নেয়। ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে।

উল্লেখ্য, শিবকাশি এলাকাকে 'ফায়ারওয়ার্কস ক্যাপিটাল অব ইন্ডিয়া' বলা হয়। এখানকার বাজির কারখানাগুলো ছাড়াও ম্যাচ ও প্রিন্টিং শিল্পও সমানভাবে সক্রিয়। এই জেলার অর্থনীতির একটা বড় অংশ নির্ভরশীল এই শিল্পগুলোর ওপর। মাত্র একদিন আগেই তেলঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলায় একটি ওষুধ তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ হারান অন্তত ৪২ জন। তামিলনাড়ুর ঘটনাতেও মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ