বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এখন যারা সংস্কারের তালিম দিচ্ছে, গত ১৭ বছর তাদের কাউকে রাস্তায় দেখা যায়নি। শেখ হাসিনা পালানোর পরবর্তী বাংলাদেশ কেমন হবে, সেই সংস্কারের কথা মাথায় রেখেই বিএনপি ৩১ দফা দাবি দিয়েছিল।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এ কথাগুলো বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা ফেরাতে গেলে যে কাজগুলো শুরু হওয়া প্রয়োজন, সেগুলোর কিছুই হচ্ছে না। তিনি মনে করেন, ভিন্নরূপে নানা ভঙ্গিতে পুরোনো কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মানুষের কাছে এর আগে কেউ যায়নি। বিএনপি সেটা করছে। কারণ, যেকোনো সংস্কারের জন্য মানুষের সমর্থন দরকার। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া কোনো সংস্কার সম্ভব নয়।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে মৌলিক কাজগুলো করে গেছেন উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তিনি কোনো প্রচার–প্রচারণায় ছিলেন না। প্রচারণা থাকলে তিনি বিশ্বব্যাপী একজন ভালো মানুষ হতে পারতেন।

শেখ হাসিনার পতনের পেছনে অনেকে কৃতিত্ব নিচ্ছে উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পেছনে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ৪২ দলকে ঐক্যবদ্ধ করে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। এটাই হাসিনার পতনের মূল কারণ ছিল। অথচ তাঁকে কেউ স্মরণ করছে না।

শেখ হাসিনা মানুষের মাঝে কিছু স্বৈরাচারী মনোভাব রেখে গেছেন উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সবাই সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, সরকার সেটা জানাচ্ছে না। তারা কেন জানাচ্ছে না? কেউ যদি মনে করে হাসিনার মালিকানা অন্য কারও হাতে গেছে, দেশে কী হবে, সেটার বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবে—এই দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়নি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র মালিক দেশের জনগণ।

দেশকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ করা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, একটি অনির্বাচিত সরকার মানবিক করিডর দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের মতামত নেই, মানুষের মতামত নেই। এর পেছনে কারা জড়িত, সেটা তাঁরা জানতে চান।

স্থিতিশীলতা ছাড়া বিনিয়োগ সম্ভব নয় উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, যত দিন নির্বাচিত সরকার না আসবে তত দিনে বাংলাদেশে কোনো বিনিয়োগ আসবে না। বিনিয়োগ সম্মেলনে বিনিয়োগকারীদের শেষ প্রশ্ন ছিল, দেশের নির্বাচন কবে হবে? কারও চেহারা দেখে দেশি-বিদেশি কোনো বিনিয়োগকারী দেশে বিনিয়োগ করবেন না।

বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য ঐক্যবদ্ধ আছে উল্লেখ করে আমীর খসরু আরও বলেন, একটি ছোট গোষ্ঠী তাদের স্বার্থে প্রভাব সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টির আকাঙ্ক্ষা কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে হবে, এটাই শেষ কথা।

এখন পর্যন্ত কী সংস্কার হয়েছে প্রশ্ন তুলে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, পুলিশ এখনো আগের মতো ধান্দাবাজ রয়ে গেছে। সিভিল সার্ভিস এবং পুলিশে আগের লোক রয়ে গেছে। কাউকে বদলানো যায়নি। তিনি বলেন, সরকারের অবস্থা হলো, তাদের চাপ দিলেই দাবি মেনে নেয়। জাতীয় সংগীত গাইতে বাধা দেওয়া হয়েছে; কিন্তু সরকার কি কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে? মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমেছে; কিন্তু এখন আবার সেটা বাড়ছে।

সরকারপ্রধানকে সবাই ভালো মানুষ বলছে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রশ্ন হলো, সরকার কি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে? দলগুলোর মধ্যে বিভাজন বেড়েছে। নতুন একটি দল হয়েছে এনসিপি, তারাও অন্যদের সমালোচনায় মুখর। তারা কি সরকারি নাকি আধা সরকারি নাকি অন্য কিছু, সেটা বোঝা যায় না।

পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এগুলো ঠিক হলেই প্রকৃত সংস্কার অর্জিত হবে। দক্ষ প্রশাসক হলে তিন মাসের মধ্যেই এই সংস্কার সম্ভব।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের কথা এই সরকার জানত না, এটা বিশ্বাস করা যায় না। জুলাই–আগস্টের আন্দোলনের শরিকেরা এখন প্রায় বিভক্ত। এখন সবাইকে আরেকবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যেতে হবে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমৃত্যু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সংগ্রাম করে গেছেন উল্লেখ করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশে দেখা গেছে, অনেকের মাঝে প্রতীকী জাফরুল্লাহ চৌধুরী লুক্কায়িত ছিলেন। তাঁদের সবার আকাঙ্ক্ষা ছিল, বাংলাদেশের প্রকৃত মালিকানা তার সাধারণ নাগরিকদের হবে। হাসিনারা প্রতিষ্ঠা পায় দেশের কাঠামো এবং দুর্বল ভিত্তির কারণে। সেই কাঠামো মেরামতকে সংস্কার বলা হচ্ছে। কিন্তু অনেকের বক্তব্য শুনলে মনে হয়, যারা নির্বাচন চায়, তারা সংস্কার চায় না। আবার যারা সংস্কার চায়, অন্যরা মনে করে, তারা সম্ভবত নির্বাচন চায় না। এই মুহূর্তে একক কোনো ব্যক্তি নেই, যিনি সব সমস্যার সমাধানের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেন।

দেশপ্রেমের পরীক্ষায় শতভাগ নম্বর পেতে হয় উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী সেই শতভাগ নম্বর প্রাপ্ত নায়ক। প্রতিটি জনপদে যাঁদের জন্ম বিরল। দেশের শিক্ষা কারিকুলামে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবনী সংযুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সাইফুল হক আরও বলেন, সরকার গঠনের নয় মাস পরও তারা কোন পথে হাঁটছে, সেটা কেউ বলতে পারছে না। পুরোনো ফ্যাসিবাদী পথে কেউ হাঁটতে চায় না। সবাই পরিবর্তন চেয়েছে। তিনি মনে করেন, সরকার দ্রুত সময়ে সবার সম্মতিক্রমে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করতে পারে। যেটা দেশের ‘ম্যাগনাকার্টা’ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।

সরকার প্রতিদিন নতুন নতুন প্রসঙ্গ উত্থাপন করছে উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, এখনো কেন নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে মানুষের মনে সংশয় কাজ করছে? এর কারণ, সরকারের নীতিনির্ধারণী স্তরের ব্যক্তিদের অতিকথন। রাজনৈতিক দলগুলোকে তাঁরা এখন বিরোধী শিবিরে পরিণত করেছে।

যাঁরা জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করতে চান তাঁদের হুঁশিয়ার করে ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, দেশকে নিয়ে যাঁরা ছিনিমিনি খেলতে চান, তাঁদের সাবধান হতে হবে। জামায়াতে ইসলামী চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের অংশ ছিল, তাই তাদের ধন্যবাদ। কিন্তু একাত্তরের ইস্যুতে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, তাঁরা নতুন বন্দোবস্ত ও সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু বিভাজনের রাজনীতি দিয়ে সেই আকাঙ্ক্ষা শেষ হয়ে যাচ্ছে। সংস্কার ও নির্বাচনের একটি নিবিড় পথনকশা খুঁজে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেন, আজকের বাংলাদেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অনেক বেশি প্রয়োজন ছিল। তাঁকে কোথাও পরিচিত করাতে হতো না। তিনি সবার বন্ধু ছিলেন। তবে কেউ কেউ তাঁকে সম্মান ও মর্যাদা দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে অনেক নির্যাতন ও কষ্ট দিয়েছিলেন। অথচ তাঁর পরিবারের সঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নিবিড় সম্পর্ক ছিল। তিনি এই দেশের ‘চে গুয়েভারা’ ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী ও নারী নেত্রী শিরীন হক। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষে বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যানসার হাসপাতালের প্রকল্প সমন্বয়কারী ও ক্যানসার প্রতিরোধ বিভাগের প্রধান মো.

হাবিবুল্লাহ তালুকদার। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের নাগালে ওষুধ পৌঁছে দিতে পেরেছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। যিনি চিকিৎসাকে জনস্বাস্থ্য বলে পরিচয় করিয়েছেন। প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতেই তাঁর সারা জীবনের কর্মতৎপরতা ছিল। সরকারিভাবে যে স্বাস্থ্যবিমা এখনো সৃষ্টি হয়নি, জাফরুল্লাহ চৌধুরী সেই কাঠামো তৈরির চেষ্টা করে গেছেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা আবু ইউসুফ সেলিমের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও ভাসানী জনশক্তি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন। স্মরণসভার সভাপতিত্ব করেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ফর ল ল হ চ ধ র র জনশক ত র জন ত র র জন সরক র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানে দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন, বাংলাদেশ এ সুযোগ নিতে পারে

বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকি বৈঠক করেছেন।

রবিবার (১১ মে) দুপুরে ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫ এর ভেন্যুর জাপান প্যাভিলিয়নে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময় জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী, জাপানের ট্রেড পলিসি ব্যুরোর দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক পরিচালক শিমানো তোশিয়ুকি, ট্রেড পলিসি ব্যুরোর ইকোনমিক পার্টনারশিপ ডিভিশনের পরিচালক উচিনো হিরুতো এবং জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোরারজী দেশাই বর্মনসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন:

জাপান সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে জাপানি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি

সভায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ জাপানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো গভীর ও সুদৃঢ় করতে আগ্রহী। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরের জন্য পঞ্চম রাউন্ডের আলোচনা ফলপ্রসূ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।”

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বৃহৎ অংশ তরুণ শ্রেণির-যাদের বয়স ১৬- ৩০ বছরের মধ্যে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষ ও যোগ্য জনশক্তিতে রুপান্তর করে জাপানের শ্রম বাজারে পাঠাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।তার অংশ হিসেবে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জাপানি ভাষা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

এ সময় তিনি বাংলাদেশে আরো কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তৈরি ও আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণ দানের সুযোগ তৈরিতে জাপান সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে সার কারখানায় বিনিয়োগ করেছে যা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

এ সময় তিনি বাংলাদেশে আরো বেশি জাপানি বিনিয়োগের জন্য জাপান সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

জাপানের প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে জাপান সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি বাস্তবায়নে দুই দেশের মধ্যে যেসব মতপার্থক্য রয়েছে আলোচনার মাধ্যমে দূর করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

জাপানের প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকি বলেন, “জাপানে দক্ষ শ্রমিকের খুব প্রয়োজন। বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি এদেশের শ্রমবাজারে আসলে বাণিজ্যের একটি নতুন দিক উন্মোচন হতে পারে যা দুই দেশের জন্যই সুখকর হবে।”

এ সময় তিনি দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে জাপানের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহবাগে হঠাৎ করে এই নাটক কেন: মির্জা আব্বাস
  • দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস জাপানের
  • জাপানে দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন, বাংলাদেশ এ সুযোগ নিতে পারে