জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ দাবি
Published: 13th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগ শাসনামলে দীর্ঘদিন সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রাখার অভিযোগ এনে ১৪ দলীয় জোট ও জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিল এবং স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছে ‘জুলাই ঐক্য’ প্ল্যাটফর্ম।
মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মটি।
সংগঠনের অন্যতম সংগঠক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, “এই রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে জবাবদিহির বাইরে রাখা যায় না। আমরা তাদের নিবন্ধন বাতিল, আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরুর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার পথে এগিয়ে যাব।”
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে বৈদ্যুতিক শাটল গাড়ি চালু
নেতিবাচক মন্তব্য করায় ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের নিন্দা
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ এবং দলটির রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানায় জুলাই ঐক্য। এছাড়া আওয়ামী লীগের অনুসারী সব রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গসংগঠনও নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ওপর তথাকথিত ‘ফ্যাসিবাদী নিয়ন্ত্রণ’ বন্ধ করা, জুলাই বিপ্লবকে জাতীয় শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি টেলিভিশনে প্রতিদিন এ সম্পর্কিত প্রামাণ্যচিত্র সম্প্রচার, গত ১৬ বছরে সংঘটিত গণহত্যা ও অন্যান্য অপরাধের দ্রুত বিচার এবং ২০২১ সালে মোদিবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচারের দাবিও জানায় জুলাই ঐক্য।
পরবর্তী কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে সংগঠনটি দ্রুত সচিবালয়ের অভ্যন্তরে থাকা কথিত ষড়যন্ত্রকারীদের একটি তালিকা প্রমাণসহ প্রকাশ করবে এবং তালিকাটি প্রধান উপদেষ্টা ও জনপ্রশাসন সচিবের কাছে জমা দেবে বলে জানিয়েছে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বুধবার যমুনার উদ্দেশে লংমার্চ করবেন জবি শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাজেট বৃদ্ধি ও আবাসন ভাতাসহ চার দফা দাবিতে বুধবার ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে ‘জবি ঐক্য’ প্ল্যাটফর্ম এ ঘোষণা দেয়।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, মঙ্গলবার আমরা ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছি। সেখানে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে ৩০৫ কোটি টাকার বাজেটের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে, তা কাটছাঁট করা যাবে না- এ দাবি জানিয়েছি। তবে ইউজিসি আমাদের আশানুরূপ উত্তর দেয়নি। শুধু আশ্বস্ত করেছে। তাই বুধবার সকাল ১১ টায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা করেছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
শাখা ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আগেও টালবাহানা করা হয়েছে, এখানও করা হচ্ছে। আমাদের আর আশ্বাস দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। অধিকার আদায়ের জন্য আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লংমার্চে অংশ নেব। অধিকার আদায় করেই ফিরবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনভাতা, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেট বৃদ্ধিসহ চার দাবিতে টানা কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাদের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ইউজিসিতে যান আলোচনার জন্য। তবে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।