গাজীপুরের চন্দ্রায় দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স এবং প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের কারখানা পরিদর্শন করেছেন জাম্বিয়ার উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল।

মঙ্গলবার (১৩ মে) জাম্বিয়ান কমার্স, ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ক্রুসিভিয়া সি.

হিসিকুম্বা’র নেতৃত্বে ১২ সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনে আসেন। প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন দিল্লিস্থ জাম্বিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্সি প্যাটসন চান্দাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সদস্যরা।

অতিথিরা কারখানায় পৌঁছানোর পর তাদেরকে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি হেডকোয়ার্টার্সের অ্যাডমিন বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) জাহিদুল হাসান, ডেপুটি অব এ.এম.ডি নাজমুস সায়াদাত ও গ্লোবাল বিজনেস প্রতিনিধি আবু সালেহ মো. কায়সার প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

ওয়ালটনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফায়ার সেইফটি প্রশিক্ষণ

৯ মাসে ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৬৯৬.৪৪ কোটি টাকা

এরপর ফ্যাক্টরির কনফারেন্স রুমে অতিথিদের উদ্ধেশ্যে স্বাগত বক্তব্য দেন হেডকোয়ার্টার্সের অ্যাডমিন বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) জাহিদুল হাসান।

পরে অতিথিরা ওয়ালটনের ভিডিও ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন। পরবর্তীতে অতিথিরা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টারসহ ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর এবং মোল্ড অ্যান্ড ডাই ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টস ও কারখানার আউটসাইড এরিয়া পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে জাম্বিয়ান কমার্স, ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ক্রুসিভিয়া বলেন, “ওয়ালটনের সুবিশাল অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্টস দেখে আমরা অভিভূত।আজকের এই ভিজিটের মাধ্যমে জাম্বিয়া ও বাংলাদেশ তথা ওয়ালটনের সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণের পারস্পরিক দ্বার উন্মোচন হলো। এটি শেষ নয় বরং নতুন সম্পর্ক ও বাণিজ্য সম্ভাবনা শুরু হলো।”

ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনের জন্য অতিথিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন হাই-টেক পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। 

ঢাকা/পলাশ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় চলচ্চিত্র সংসদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘জাতীয় চলচ্চিত্র সংসদ সম্মেলন-২০২৫’। গত শনিবার বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সেমিনারকক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়। সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের (চলচ্চিত্র সংসদ বা ফিল্ম ক্লাব) সংগঠনগুলো এ সম্মেলনে অংশ নেয়।

সম্মেলনে সারা দেশের ৪০টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনলাইনে যুক্ত হয় আরও ৫টি সংগঠন। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের প্রেসিডেন্ট জন পাওলো অনলাইনে যুক্ত হন।

আলোচনায় ফেডারেশনের আহ্বায়ক ও প্রবীণ চলচ্চিত্র সংসদকর্মী অধ্যাপক আবদুস সেলিম বলেন, ‘চলচ্চিত্র সংসদগুলো দেশের চলচ্চিত্র রুচিকে উন্নত করতে এবং একটি সুস্থ চলচ্চিত্র সংস্কৃতি গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।’

ফেডারেশনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল মারুফ ফেডারেশনকে গতিশীল ও চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।

সম্মেলন থেকে সর্বসম্মতিক্রমে জহিরুল ইসলামকে সভাপতি, মোহাম্মদ নূরউল্লাহকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের ১৫ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সভাপতির দায়িত্ব নেওয়া জহিরুল ইসলাম বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে প্রান্তিক কণ্ঠস্বর শোনা হয়েছে। শিগগিরই তা বাস্তবায়ন করা হবে।

মোহাম্মদ নূরউল্লাহ বলেন, এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য দেশের চলচ্চিত্র সংসদগুলোকে একটি প্ল্যাটফর্মে একত্র করা এবং তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া।

সম্পর্কিত নিবন্ধ