Prothomalo:
2025-11-17@11:17:57 GMT

কৃষ্ণগহ্বরের শব্দ কেমন হয়

Published: 14th, May 2025 GMT

ভোরে বা সন্ধ্যায় প্রকৃতিতে কান পাতলেই নানা ধরনের শব্দ কানে ভেসে আসে। মহাকাশেও এমন শব্দ শোনা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সনিফিকেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষ্ণগহ্বরের (ব্ল্যাকহোল) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নতুন তিনটি শব্দ প্রকাশ করেছে। নাসার তথ্যমতে, চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ও ইমেজিং এক্স-রে পোলারিমেট্রি এক্সপ্লোরারের ধারণ করা তথ্যকে সনিফিকেশন পদ্ধতির মাধ্যমে শব্দে রূপান্তরিত করে অডিও ক্লিপগুলো তৈরি করা হয়েছে।

কৃষ্ণগহ্বর আসলে স্থির বা বৈচিত্র্যহীন নয়। কৃষ্ণগহ্বরের আকার ও পরিবেশ পরিবর্তিত হয়। নাসার তথ্যমতে, প্রকাশ করা প্রথম শব্দটি কৃষ্ণগহ্বরের সম্ভাব্য জন্মের সময়কার অবস্থা প্রকাশ করেছে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের ইনফ্রারেড ছবিতে পৃথিবী থেকে প্রায় ২৮ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ডাব্লিউআর১২৪ নামের একটি স্বল্পস্থায়ী দৈত্যাকার তারার দর্শনীয় কাঠামোগুলো ধারণ করা হয়েছে। সেখানে কিছুটা বাঁশির মতো শব্দ হয়ে থাকে। একটু মনোযোগ দিলে ঘণ্টার মতো শব্দ শোনা যায়।

ডাব্লিউআর১২৪ তারার একটি উত্তপ্ত কেন্দ্র রয়েছে, যা ভবিষ্যতে একটি সুপারনোভাতে বিস্ফোরিত হতে পারে। তরঙ্গ কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে  শব্দে রূপান্তরিত করে। নাসার ভাষ্যে, প্রাথমিকভাবে তারাটি থেকে চিৎকারের মতো শব্দ ধারণ করা গেছে।

নাসার বিজ্ঞানীরা এসএস ৪৩৩ নামক একটি বাইনারি তারকার একটি যুগলবন্দী তথ্যও ধারণ করেছে। প্রায় ১৮ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই বাইনারি তারকা। এখন থেকে যে রেডিও তরঙ্গ ধারণ করা হয়েছে, তা পানির ফোঁটা পড়ার মতো শব্দ। এ ছাড়া পৃথিবী থেকে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ আলোকবর্ষ দূরে সেন্টোরাস নামের একটি দূরবর্তী ছায়াপথ রয়েছে। এই ছায়াপথের কেন্দ্রে একটি বিশাল কৃষ্ণগহ্বর রয়েছে। কৃষ্ণগহ্বরটি থেকে শক্তিশালী জেট বা তরঙ্গছটা দেখা যাওয়ার পাশাপাশি বারান্দায় ঝোলানো উইন্ড চাইমের মতো শব্দ শোনা গেছে।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র একট

এছাড়াও পড়ুন:

সাত বছর আগে সাংবাদিক খাসোগি হত্যার পর প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ

যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আগামীকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকের লক্ষ্য তেল ও নিরাপত্তা খাতে দুদেশের বহু দশকের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও গভীর করা। একই সঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক জ্বালানি খাতে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করা।

২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক এবং সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটাই যুবরাজ সালমানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।

আরও পড়ুনসৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করলেন ট্রাম্প১৩ মে ২০২৫

সৌদি আরবের গোয়েন্দারা ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসের ভেতর খাসোগিকে হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এ হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পেছনে যুবরাজ সালমানের হাত রয়েছে।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল, যুবরাজই খাসোগিকে অপহরণ বা হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন।

যুবরাজ সালমান খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি সৌদি আরব সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে এ হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন।

খাসোগি হত্যার পর সাত বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং সবচেয়ে বেশি তেল উত্তোলনকারী দেশ সৌদি আরব নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নতুন করে এগিয়ে নিতে চাইছে।

আরও পড়ুনসৌদি আরবের সঙ্গে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বিক্রির চুক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রের১৩ মে ২০২৫

ট্রাম্প গত মে মাসে সৌদি আরবে তাঁর সফরের সময় দেওয়া ৬০ হাজার কোটি ডলারের সৌদি বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন।

মে মাসের ওই সফরে ট্রাম্প সৌদি আরবে মানবাধিকার–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা স্পষ্টভাবে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এবারও তিনি একই পথে হাঁটবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে যুবরাজ মোহাম্মদ আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যে নিজ দেশের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইছেন। একই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই) এবং বেসামরিক খাতে একটি পারমাণবিক প্রকল্প চুক্তির পথে অগ্রসর হতে চাইছেন।

আরও পড়ুনখাসোগি হত্যা সবচেয়ে জঘন্য ধামাচাপার ঘটনা: ট্রাম্প২৪ অক্টোবর ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরেই এমন একটি সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যেখানে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের পছন্দমতো দামে তেল বিক্রি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে নিরাপত্তা দেবে।

আরও পড়ুনখাসোগিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে: সৌদি আরব২৬ অক্টোবর ২০১৮

সম্পর্কিত নিবন্ধ