ছয় দফার ‘ওয়ান্টেড’ থেকে ‘মিয়াভাই’—ফারুকের জীবনটাই ছিল যেন এক সিনেমা
Published: 15th, May 2025 GMT
অভিনয় দিয়ে তিনি কাঁদিয়েছেন দর্শকদের, আবার হাসিয়েছেনও। কখনো ছিলেন প্রতিবাদী, কখনো নিঃশব্দ প্রেমিক, কখনো সাদামাটা এক কৃষক। তাঁর চোখের ভাষা বলত অনেক কথা, সংলাপের ভঙ্গি ছিল হৃদয়ের কাছাকাছি, আর চরিত্রে মিশে যাওয়ার দক্ষতায় তিনি হয়ে উঠেছিলেন রূপালি পর্দার এক বাস্তবতা। শুধু পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনেও ছিলেন গর্বিত, আত্মমর্যাদাশীল এক মানুষ—যিনি কষ্টকে লুকিয়ে রাখতে পারতেন হাসিমুখে। তিনি ছিলেন আকবর হোসেন পাঠান ফারুক—ঢাকাই চলচ্চিত্রের চিরন্তন ‘মিয়াভাই’। ২০২৩ সালের এই দিনে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসার পর নিঃশব্দে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যান তিনি। আজ ১৫ মে তাঁর চলে যাওয়ার দিন।
চলচ্চিত্রে ফারুকের যাত্রা শুরু ১৯৭১ সালে, এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ দিয়ে। তবে আলোচনায় আসেন খান আতাউর রহমানের ‘সুজন সখী’ (১৯৭৫) সিনেমার মাধ্যমে। সুজন চরিত্রে তাঁর আবেগঘন ও নির্ভার অভিনয় তাঁকে নিয়ে আসে মানুষের ঘরের অন্দরমহলে।
কবরীর সঙ্গে তাঁর রসায়ন যেন পর্দা পেরিয়ে বাস্তবের সম্পর্কের অনুভব তৈরি করেছিল। এরপর আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’তে নয়ন চরিত্রে তাঁর সংবেদনশীল অভিনয় তাঁকে পৌঁছে দেয় আরেক উচ্চতায়। ১৯৭৮ সালে ‘সারেং বউ’-এ কদম সারেং হয়ে তিনি শুধু একটি চরিত্র নন, হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশি সিনেমার ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সারেং বৌ ছবিতে কবরী ও ফারুক.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
নিজের খেলার উন্নতির জন্য লেভেল-২ কোচিং কোর্স কমপ্লিট আকবরের
যুব বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাংলাদেশ ‘এ’ দল গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে। এর আগে তাদের ক্যাম্প হয়েছে চট্টগ্রামে। সঙ্গে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ক্যাম্পও চলেছে। কোথাও ছিলেন না আকবর।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত ছবি পোস্ট করে আকবর ধারনা দিয়েছিলেন, স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তাই ক্রিকেট থেকে দূরে। তবে ক্রিকেট থেকে তিনি দূরে ছিলেন না।
ফাঁকা সময়ে নিজের ক্রিকেট দক্ষতা বাড়ানো এবং খেলার গভীরতা সম্পর্কে ধারণার জন্য ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীনে লেভেল-২ কোচিং সার্টিফিকেশন সম্পন্ন করেছেন আকবর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আকবর এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
লেভেল-২ সার্টিফিকেটের ছবি পোস্ট করে আকবর লিখেছেন, ‘‘আমি সবসময়ই খুব ছোটবেলা থেকেই এটা করতে চেয়েছিলাম। কারণ আমি বিশ্বাস করি এটি আমাকে একজন খেলোয়াড় হিসেবে এবং একজন মানুষ হিসেবেও বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে। এই কোর্সটি সম্পন্ন করার জন্য বিসিবি এবং ইসিবির সহযোগিতার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’’
আগামী মাসে শুরু হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টি আসর। এর আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট হবে। ২২টি প্রথম শ্রেণি, ৯২টি লিস্ট ‘এ’ ও ৬৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা আকবরকে দেশে ফিরতে হবে শিগগিরিই।
ঢাকা/ইয়াসিন