ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রতিবাদ করে বিশ্বখ্যাত আইসক্রিম কোম্পানির সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্রেপ্তার
Published: 15th, May 2025 GMT
বিশ্বখ্যাত আইসক্রিম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেন অ্যান্ড জেরির সহপ্রতিষ্ঠাতা বেন কোহেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মার্কিন সিনেটের শুনানিতে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে তিনি গ্রেপ্তার হন। একই অভিযোগে কোহেনের পাশাপাশি আরও ছয় বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেটে ফেডারেল স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর পুনর্গঠন নিয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
কোহেনকে পুলিশ যখন নিয়ে যাচ্ছিল তখন তিনি বলেন, ‘বোমা কেনার মধ্য দিয়ে গাজার নিরীহ শিশুদের হত্যা করছে কংগ্রেস। আর এর খরচ মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি স্বাস্থ্যবীমা কর্মসূচির আওতা থেকে শিশুদের বাদ দেওয়া হচ্ছে।’
বেন কোহেন ও বেন অ্যান্ড জেরির আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা জেরি গ্রিনফিল্ড তাঁদের প্রগতিশীল আন্দোলনের জন্য সুপরিচিত। তাঁরা গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার।যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই সাতজনের বিরুদ্ধে জটলা করা, প্রতিবন্ধকতা বা বিঘ্নতা তৈরি এবং এক পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা এবং গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, বেন কোহেনের বিরুদ্ধে শুধু ‘জটলা করা, প্রতিবন্ধকতা বা বিঘ্নতা সৃষ্টির’ অভিযোগ করা হয়েছে। এগুলো লঘু অপরাধ। এই অভিযোগে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জেল বা ৫০০ ডলার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হতে পারে।
বেন কোহেন ও বেন অ্যান্ড জেরির আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা জেরি গ্রিনফিল্ড তাঁদের প্রগতিশীল আন্দোলনের জন্য সুপরিচিত। তাঁরা গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
কোহেনকে পুলিশ যখন নিয়ে যাচ্ছিল তখন তিনি বলেন, ‘বোমা কেনার মধ্য দিয়ে গাজার নিরীহ শিশুদের হত্যা করছে কংগ্রেস। আর এর খরচ মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আওতা থেকে শিশুদের বাদ দেওয়া হচ্ছে।’চলতি মাসের শুরুতে ফক্স নিউজের সাবেক উপস্থাপক টাকার কার্লসনকে সাক্ষাৎকার দেন কোহেন। মার্কিন এ ইহুদি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এমন এক ‘অদ্ভুত সম্পর্ক’ আছে, যার খাতিরে জাতি হত্যা চালাতে ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র সরবরাহ করে ওয়াশিংটন।’
কোহেন বলেন, ‘এ মুহূর্তে, মার্কিন হওয়ার মানে হলো আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র রপ্তানিকারক। আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনী আছে। আমরা গাজায় মানুষের হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করি। যে কেউ গাজায় মানুষের হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে, আমরা তাদের গ্রেপ্তার করি। আমাদের দেশ তাহলে কিসের জন্য আছে?’
২০২১ সালে বেন অ্যান্ড জেরি ঘোষণা দেয়, তারা তাদের ইসরায়েলি লাইসেন্সধারীকে পশ্চিম তীর এবং গাজায় আর আইসক্রিম বিক্রি করতে দেবে না। কারণ, সেটি তাদের মূল্যবোধের সঙ্গে ‘সংগতিপূর্ণ নয়’।
আরও পড়ুনইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা০৪ মে ২০২৪আরও পড়ুনভিয়েতনাম যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ ২৯ এপ্রিল ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র র হত য র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
গরমে শিশুর যত্নে এসব ভুল করছেন না তো?
প্রচণ্ড গরমে বড়দের চেয়ে অনেকটাই বেশি ঝুঁকিতে থাকে শিশুরা। তাপপ্রবাহে সহজেই পানিশূন্য হয়ে পড়তে পারে তাদের ছোট্ট দেহ। তৃষ্ণা পেলে অনেক সময় তারা তা ঠিকভাবে প্রকাশ করতে সক্ষম না-ও হতে পারে। শিশুরা যদি বোঝার মতো বয়সী হয়, তাহলে গরমের সময় কী খাওয়া উচিত, কী খাওয়া উচিত নয়—এসব বিষয়ে শিশুকে জানিয়ে রাখা ভালো। পোশাক বা খেলাধুলার মতো রোজকার সাধারণ ব্যাপারেও যত্নবান হোন। নিত্যদিনের জীবনযাপনে যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল হয়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. তাসনুভা খান বলেন, ‘গরমে শিশুর পানির চাহিদা মেটানোর অর্থ কিন্তু এই না, তাকে বারবার জবরদস্তি পানি পান করাতে হবে। বরং তার দেহের চাহিদা বোঝার চেষ্টা করুন। শিশু প্রস্রাব করার সময় রং ও পরিমাণ খেয়াল করুন। শিশু যদি পর্যাপ্ত প্রস্রাব করে এবং প্রস্রাবের রং যদি হয় হালকা হলুদ খড়ের মতো, তাহলে বুঝতে হবে, তার পানির চাহিদা মিটছে। পানিশূন্যতার অন্যান্য লক্ষণও জানা থাকতে হবে।’
আরও পড়ুনশিশুর জন্য গ্রোথ হরমোন কেন, কখন২৭ এপ্রিল ২০২৫এই চিকিৎসকের কাছ থেকে এই সময়ে শিশুর যত্নে কিছু ভুল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।পানি নিয়ে জোরাজুরি
বয়স ছয় মাস পার হলে শিশুকে পানি পান করানো শুরু করতে হয়। দুই বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ থেকেই পানির চাহিদা অনেকটা মিটে যায়। পানি, অন্যান্য তরল ও ফলমূল থেকেও সে পানি পায়। সারা দিনই মাঝেমধ্যে শিশুকে পানি বা তরল খাবার খেতে উৎসাহ দিন। ফলের রস বা স্মুদি করে দিতে পারেন। তবে খুব বেশি চিনি দেওয়া পানীয় দেবেন না। তার সঙ্গে নিজেও পানি পান করুন। স্কুলে গেলেও যাতে পর্যাপ্ত পানি পায়, সে ব্যবস্থা রাখুন। তবে পানিশূন্যতার লক্ষণ না থাকলে শিশুকে পানি পান করানোর ব্যাপারে জোর করবেন না। অকারণ বিরক্তি ভাব বা জেদ, খানিকটা নিস্তেজ ভাব, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, গাঢ় হলুদ বা কমলা রঙের প্রস্রাব হওয়া, মুখ বা জিব শুকিয়ে যাওয়া, চোখ বসে যাওয়া প্রভৃতি হতে পারে পানিশূন্যতার লক্ষণ।
যা খুশি তা–ই খাওয়া
গরমে পানি ও খাবারের মাধ্যমে বহু মারাত্মক রোগ ছড়ায়। অস্বাস্থ্যকর উপায়ে তৈরি করা পানীয় ও খাবারের মাধ্যমে জীবাণু সংক্রমণ হয়। এগুলো এড়িয়ে চলার ব্যাপারে শিশুকে বুঝিয়ে বলুন, স্কুলের পথে একলা সুযোগ পেলেও যেন সে এসব খাবার না খায়। রসনার তৃপ্তি মেটাতে বাড়িতে তার পছন্দের খাবার ও পানীয় তৈরি করে দিন। আইসক্রিম খাওয়া নিয়ে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করবেন না, যদি না ঠান্ডায় তার খুব বেশি অ্যালার্জি থাকে। মাঝেমধ্যে আইসক্রিম বা হালকা ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার সুযোগ দিন, তবে তা যেন নিরাপদভাবে তৈরি করা হয়। তাকে এটাও বুঝিয়ে বলুন, কড়া রোদ থেকে ঘরে বা ক্লাসে ঢোকামাত্রই ঠান্ডা কিছু খাওয়া উচিত নয়। একটু রয়েসয়ে তারপর সে খেতে পারে হালকা ঠান্ডা পানীয় বা খাবার।
আরও পড়ুনদাবদাহের সময় শিশুর যত্ন২৮ এপ্রিল ২০২৪ফুলহাতা জামা-পায়জামা পরালে শিশু সুরক্ষিত থাকবে।