ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দুইটি ব্রোকারেজ হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেশন পেয়েছে। এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালুর লক্ষ্যে ব্রোকারেজ হাউজ দুইটিকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দেওয়া হয়।

ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো-শ্যামল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও শার্প সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

বৃহষ্পতিবার (১৫ মে) ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদানের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশহিসেবে ব্রোকারেজ হাউজ দুইটিকে এ সনদ প্রদান করা হয়।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজারে পতন অব্যাহত

পুঁজিবাজারে সূচকের পতন, কমেছে লেনদেন

ডিএসইর জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো.

শফিকুর রহমান স্বক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএসই বোর্ডরুমে সার্টিফিকেশন প্রদান করেন ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্ত্বিক আহমেদ শাহ্। শ্যামল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাজেদুল ইসলাম ও শার্প সিকিউরিটিজ লিমিটেড এর পরিচালক অসরপ্রাপ্ত মেজর মোস্তফা জামাল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ, মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ছামিউল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. তারিকুল ইসলামসহ আইসিটি এবং মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস) ভিওিক বিএইচওএমএস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ২০২০ সাল থেকে। এরই প্রেক্ষিতে ৬৫টি ব্রোকারেজ হাউজ নাসডাক ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআই সংযোগ নিয়ে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য ডিএসইতে আবেদন করে। আজকের ২টি ব্রোকারেজ হাউজ নিয়ে মোট ৩০টি ব্রোকারেজ হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১টি ব্রোকার হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেশন পাওয়ার পর তারা এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করেছে।

ঢাকা/এনটি/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত ব যবস থ ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

ওএমএসের চাল-আটা কিনতে কেউ রাত ১২টা, কেউ ভোররাত থেকে লাইনে

বাজারের উচ্চ মূল্যের বিপরীতে অর্ধেক দামে চাল ও আটা কিনতে রাজশাহীতে সরকারি খোলাবাজারের (ওএমএস) ট্রাকের সামনে ভিড় করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। সকাল ৯টায় ট্রাক এলেও অনেকেই পণ্যের আশায় রাত ১২টা বা ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। রাজশাহী নগরের চৌদ্দপাই এলাকায় এমনই এক চিত্র দেখা গেছে, যেখানে দীর্ঘ অপেক্ষার পরও অনেকে পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরেছেন।

রাজশাহী নগরের ৩০টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে সাপ্তাহিক ছুটি বাদে পাঁচ দিন প্রতি ট্রাকে এক টন চাল ও এক টন আটা বিক্রি করা হয়। একজন প্রতি কেজি ৩০ টাকায় সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল এবং প্রতি কেজি ২৪ টাকায় একই পরিমাণ আটা কিনতে পারেন।

রাত তিনটার দিকে এসে লাইন ধরে অবস্থান করছিলেন নগরের বুধপাড়া এলাকার বাসিন্দা রোজেনা বেগম। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে চাল ও আটা কেনার সুযোগ পান। তিনি বলেন, ‘অ্যাকটা মানুষ কাইজ করেন। চাইরটা-পাঁচটা মানুষ খায়। কী করব, ওই একজনের আয়ে কিছু হয় না। আইসতে তো হবেই। তা ছাড়া তো বুদ্ধি নাই। আমরা গরিব মানুষ। অনেক দিন পাওয়া যায় না। তাই রাতে আসি।’

রাত দুইটার দিকে লাইনে দাঁড়ান নগরের মির্জাপুর এলাকার সোনাবান বেগম। তিনি লাঠিতে ভর করে চলাফেরা করেন। দুই ছেলে মারা গেছেন। তিনি বলেন, ‘গতকালকে সকাইলে আইছিলাম। আইসা পাইনি। পরে আজ দুইটায় আইসিছিলাম। এখানে আইসে বসেছিলাম।’

ফজরের আজানের পর লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন হনুফার মোড়ের চায়না বেগম। কথা বলতে গিয়ে তাঁর চোখ ছলছল করে ওঠে। তিনি বলেন, ‘একটু বেশি করে বাড়ায় দিক। আমরা একা খেতে চাইনি। আমরা কারও হক মারতে চাইনি। বাংলাদেশের সবাই খাব। কেউ খাবে, কেউ খাবে না, এটা তো আমরা চাইনি। আল্লাহকে স্মরণ করলে কেউ কারও হক মারতে পারে না। কিন্তু হক মারছে। সবাই আমরা খেতে চাই।’

লাইনে দাঁড়ানো অধিকাংশ ব্যক্তিই পরিবারের বয়স্ক বা প্রবীণ সদস্য। বেশির ভাগ মানুষের হাতে টুল, পিঁড়ি বা ইট-পাথরসহ ব্যাগ দেখা গেছে। এসব রেখে বা এসবে বসে তাঁরা রাত পার করেন সকালের অপেক্ষায়। তবে লাইনে প্রবীণ নারীদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম দেখা গেছে প্রবীণ পুরুষদের।

ওএমএসের ট্রাক থেকে একজন প্রতি কেজি ৩০ টাকায় সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল এবং প্রতি কেজি ২৪ টাকায় একই পরিমাণ আটা কিনতে পারেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরের চৌদ্দপাই এলাকায় তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওএমএসের চাল-আটা কিনতে কেউ রাত ১২টা, কেউ ভোররাত থেকে লাইনে