দুই ব্রোকারেজ হাউজ পেল ডিএসইর ফিক্স সার্টিফিকেশন
Published: 15th, May 2025 GMT
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দুইটি ব্রোকারেজ হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেশন পেয়েছে। এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালুর লক্ষ্যে ব্রোকারেজ হাউজ দুইটিকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দেওয়া হয়।
ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো-শ্যামল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও শার্প সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
বৃহষ্পতিবার (১৫ মে) ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদানের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশহিসেবে ব্রোকারেজ হাউজ দুইটিকে এ সনদ প্রদান করা হয়।
আরো পড়ুন:
পুঁজিবাজারে পতন অব্যাহত
পুঁজিবাজারে সূচকের পতন, কমেছে লেনদেন
ডিএসইর জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো.
ডিএসই বোর্ডরুমে সার্টিফিকেশন প্রদান করেন ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্ত্বিক আহমেদ শাহ্। শ্যামল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাজেদুল ইসলাম ও শার্প সিকিউরিটিজ লিমিটেড এর পরিচালক অসরপ্রাপ্ত মেজর মোস্তফা জামাল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ, মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ছামিউল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. তারিকুল ইসলামসহ আইসিটি এবং মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস) ভিওিক বিএইচওএমএস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ২০২০ সাল থেকে। এরই প্রেক্ষিতে ৬৫টি ব্রোকারেজ হাউজ নাসডাক ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআই সংযোগ নিয়ে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য ডিএসইতে আবেদন করে। আজকের ২টি ব্রোকারেজ হাউজ নিয়ে মোট ৩০টি ব্রোকারেজ হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১টি ব্রোকার হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেশন পাওয়ার পর তারা এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করেছে।
ঢাকা/এনটি/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত ব যবস থ ড এসই
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক পতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৭০০ পয়েন্টের ঘরে নেমেছে।
এ দিনে আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। সাড়ে চার মাস আগের অবস্থানে নেমে এসেছে লেনদেন ও সূচক। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বাড়লেও সিএসইতে কমেছে।
আরো পড়ুন:
বেক্সিমকো সিকিউরিটিজের সনদ নবায়ন বাতিল
প্রথম প্রান্তিকে প্রাণের মুনাফা কমেছে ১.১৬ শতাংশ
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। রবিবার সকালে ডিএসইএক্স সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর ১০ মিনিট পর থেকে সূচকের পতন দেখা যায়। এক পর্যায়ে সূচক ৮০ পয়েন্টের বেশি পতন ঘটে। তবে, লেনদেনের শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরে আসে, যা লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। কয়েক মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন অনেক কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৯.৪৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৩২ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮.১৬ পয়েন্ট কমে ৯৮৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৯.২৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৮৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৩৬টি কোম্পানির, কমেছে ১১৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ২৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৮৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৫০.৮৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ২৬৮ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৪.৩৭ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩২৬ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৩.৯৬ পয়েন্ট কমে ৮৪০ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৩৮.৯৮ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৪৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪৭টি কোম্পানির, কমেছে ৮২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৭টির।
সিএসইতে ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক