সিন্দাবাদের বুড়োর মতো এই সরকার ঘাড়ে চেপে বসেছে : মির্জা আব্বাস
Published: 15th, May 2025 GMT
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বর্তমান সরকারের হাতে নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘‘আগে ছিলাম কুকুরের মুখে, এখন পড়েছি বাঘের মুখে। সিন্দাবাদের বুড়োর মতো এই সরকার আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে, নেমে যেতে চায় না। তাই আমাদের ঘাড় থেকে তাদের ঝাকি দিয়ে নামাতে হবে।’’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকারের বিরুদ্ধে লুটপাট ও ব্যাংক ডাকাতির অভিযোগ তুলে মির্জা আব্বাস বলেন, “সরকারের সাঙ্গপাঙ্গরাই এসব অপকর্ম করছে। গত আট মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এখন আমরা পাচারকারিদের পাল্লায় পড়ে গেছি।”
মিডিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এই সরকারের বিরুদ্ধে কোনো মিডিয়ায় কোনো কথা নেই। মিডিয়ার কোনো স্বাধীনতা নেই। পত্রপত্রিকায় লিখতে দেওয়া হয় না। লজ্জায় আরও অনেক কিছু বলছি না।”
সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্তে ‘মানবিক করিডোর’ প্রসঙ্গে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, “এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। করিডোর দিলে তার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।”
সরকারঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের পরিবারের দুর্নীতি নিয়েও অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, “উপদেষ্টাদের অনেকের বাবা-চাচারা ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে, ঘুষ খাওয়ার অভিযোগও উঠেছে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় নেতা জাকারিয়া তাহের সুমন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো.
রুবেল//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র স সরক র র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে