পুতিন ও আমি একসঙ্গে না বসা পর্যন্ত কিছুই হবে না: ট্রাম্প
Published: 15th, May 2025 GMT
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তাঁর নিজের একসঙ্গে বসা ছাড়া ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ বৃহস্পতিবার কাতার থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) যাওয়ার পথে এ কথা বলেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে করে ইউএইতে যাওয়ার পথে সেখানে থাকা বিবিসির সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, রাশিয়া তুরস্কে যে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে, তা নিয়ে আপনি কি হতাশ?
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘দেখুন, পুতিন ও আমি একসঙ্গে না বসা পর্যন্ত কিছুই হবে না, ঠিক আছে?’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘স্পষ্টত তাঁর (পুতিন) সেখানে যাওয়ার কথা ছিল না। তিনি যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন, ধারণা করেছিলেন আমিও সেখানে (তুরস্কে) যাচ্ছি।’
‘আমি না গেলে তিনি যাচ্ছিলেন না। আপনি পছন্দ করুন বা না করুন, আমি মনে করি, তিনি ও আমি একসঙ্গে না বসা পর্যন্ত কিছুই ঘটছে না। তবে আমাদের এটা সমাধান করতেই হবে। কারণ, অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।’
এদিকে তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও তুরস্কের প্রতিনিধিদল আজ ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছে। রাশিয়া-তুরস্কের প্রতিনিধিদলের মধ্যে আজ একটি বৈঠক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বৈঠক চূড়ান্ত হয়নি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা করে রাশিয়া। এর পর থেকে তিন বছরের বেশি সময় ধরে এই যুদ্ধ চলছে। ২০২২ সালে রাশিয়ার হামলার পরপরই দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে কয়েক দফা সরাসরি বৈঠক হয়। তুরস্কেও তারা বৈঠক করেছিল। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে এই সংলাপ বন্ধ হয়ে যায়।
আজ তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, ‘পক্ষগুলোর অবস্থানে যদি সামঞ্জস্য তৈরি করা যায় এবং বিশ্বাস স্থাপন করা যায়, তাহলে তা শান্তির পথে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে গণ্য হবে।’ আজ তুরস্কের আনাতলিয়া শহরে ন্যাটোর একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
হাকান ফিদান জানান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বর্তমানে আঙ্কারায় রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য তিনি এখানে এসেছেন।
হাকান ফিদান বলেন, ‘এই সফরগুলোই প্রমাণ করে, অবশেষে শান্তির জন্য প্রয়োজনীয় সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে।’ আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পুতিন বলেছিলেন, তিনি ইউক্রেনের নেতার সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে প্রস্তুত। প্রাথমিক গড়িমসির পর জেলেনস্কিও রুশ নেতার সঙ্গে বৈঠকে সম্মত হয়েছিলেন।
আজ তুরস্কের আঙ্কারায় এসেনবোগা বিমানবন্দরে পৌঁছে রানওয়েতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে তিনি রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের উপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার প্রতিনিধিত্বের স্তর সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। তবে যেটুকু শুনেছি, তাতে তাদের লোকদেখানো বলে মনে হচ্ছে।’ তিনি জানান, আলোচনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইউক্রেন নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত রস ক র ইউক র ন একসঙ গ
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।