ব্রাজিলকে কেউ বিশ্বকাপ জেতাতে পারলে আনচেলত্তিই পারবেন
Published: 15th, May 2025 GMT
২০২২ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল। ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বাদ পড়ে ব্রাজিল। হারের পরের দিন ফিফার সঙ্গে কথা বলেন জিকো। রিয়াল মাদ্রিদে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের উন্নতি নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে কার্লো আনচেলত্তির প্রসঙ্গ টানেন ‘সাদা পেলে’, ‘জিদানের অধীনে ভিনিসিয়ুস খুব বেশি সুযোগ পায়নি...আনচেলত্তি আসার পর সে নিজেকে মেলে ধরেছে। যদি আমাকে তিতের (২০২২ বিশ্বকাপে ব্রাজিল কোচ) জায়গায় কাউকে বেছে নিতে বলা হয় তাহলে সেটা হবে একজন বিদেশি কোচ এবং আমার তালিকায় তার নামটাই প্রথমে থাকবে। আনচেলত্তি ব্রাজিলিয়ান ফুটবল পছন্দ করেন এবং ব্রাজিলের ফুটবল সম্পর্কে তার জানাশোনাও ভালো।’
আরও পড়ুনআর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, ইংল্যান্ডের কোচরা কে কত টাকা বেতন পান৩ ঘণ্টা আগেব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনই (সিবিএফ) নাকি প্রথম আনচেলত্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে জাতীয় দলের জন্য। ২০২৩ সাল থেকে সিবিএফ এই ইতালিয়ান কোচের পেছনে ছুটছে—সে কথা সত্যি হলেও জিকো তার আগেই ব্রাজিলের দুর্দশা কাটাতে ‘ডন কার্লো’র কথা বলেছিলেন। সেটা শুধু ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে তাঁর থরে–বিথরে সাফল্যের কারণে নয়। খেলোয়াড় আনচেলত্তির দর্শনও কিন্তু জিকোর জানা ছিল তাঁর এক সতীর্থের কল্যাণে।
আনচেলত্তির সঙ্গে ফ্যালকাও.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি হীরার খনির ৫টিই এক দেশে
১আইখাল, রাশিয়া
রাশিয়ার সাখা অঞ্চলে আইখাল খনির অবস্থান। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরার খনি। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে এই খনিতে মজুতের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার ক্যারেট। ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত এটি ওপেন-পিট বা উন্মুক্ত খনি ছিল। এরপর এটিকে ভূগর্ভস্থ খনিতে রূপান্তর করা হয়।
আইখাল হীরার খনি থেকে প্রতিবছর প্রায় ১৩ লাখ ক্যারেট হীরা উত্তোলন করা হয়। বিশ্বের অপরিশোধিত হীরার এক-তৃতীয়াংশ এখান থেকেই উত্তোলন করা হয়ে থাকে। রাশিয়ার আংশিক রাষ্ট্রায়ত্ত হীরা কোম্পানি আলরোসার অধীনস্থ আইখাল মাইনিং কোম্পানি এই খনি পরিচালনা করে।
২জোয়ানেং, বতসোয়ানাবতসোয়ানার কালাহারি মরুভূমিতে জোয়ানেং খনির অবস্থান। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হীরার খনি। ডি বিয়ার্স ও বতসোয়ানা সরকারের যৌথ উদ্যোগ হিসেবে পরিচিত ডেবসওয়ানা ডায়মন্ড কোম্পানি খনিটি পরিচালনা করে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুসারে, এ খনিতে হীরার সম্ভাব্য মজুতের পরিমাণ ১৬ কোটি ৬৬ লাখ ক্যারেট। বর্তমানে খনিটির ৪০০ মিটার গভীরে খননকাজ চলছে। ২০৩৪ সাল পর্যন্ত এ খনি থেকে হীরা উত্তোলন করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৩উদাচনি, রাশিয়াউদাচনি খনির অবস্থান রাশিয়ার ইয়াকুতিয়া অঞ্চলের সাখা রিপাবলিকে। রুশ ভাষায় ‘উদাচনি’র অর্থ ‘ভাগ্যবান’। আলরোসা কোম্পানি এ খনি পরিচালনা করে।
১৯৭১ সালে এ খনিতে হীরা উত্তোলন শুরু হয়। তখন এটি উন্মুক্ত খনি ছিল। বর্তমানে, খনিটি থেকে ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে হীরা উত্তোলন করা হয়। এ খনিতে সম্ভাব্য মজুতের পরিমাণ ১৬ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার ক্যারেট।
৪জুবিলি, রাশিয়াজুবিলি খনির অবস্থানও রাশিয়ার ইয়াকুতিয়া অঞ্চলের সাখা রিপাবলিকে। এটি উন্মুক্ত পদ্ধতির হীরার খনি। ২০১৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত হিসাব অনুসারে এই খনিতে সম্ভাব্য মজুতের পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি ৩০ লাখ ক্যারেট। এর মধ্যে ৫ কোটি ১০ লাখ ক্যারেট হীরা ভূগর্ভে মজুত আছে।
১৯৮৬ সাল থেকে এটি আলরোসার আইখাল মাইনিং ও রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হীরা কোম্পানি আলরোসার প্রসেসিং ডিভিশনের যৌথ মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে। ২০২২ সালে এ খনি থেকে প্রায় ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ক্যারেট হীরা উত্তোলন হয়।
৫নিউরবা, রাশিয়ানিউরবা খনি রাশিয়ার সাখা অঞ্চলে অবস্থিত। এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম হীরার খনি। এ খনি থেকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে হীরা উত্তোলন করা হয়। ২০১৮ সালের জুলাই মাসের হিসাব অনুসারে এ খনিতে মজুতের পরিমাণ ১৩ কোটি ৩০ লাখ ক্যারেট।
৬ওরাপা, বতসোয়ানাবতসোয়ানার ফ্রান্সিসটাউন থেকে ২৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট এলাকায় ওরাপা খনির অবস্থান। ডি বিয়ার্স ও বতসোয়ানা সরকারের যৌথ মালিকানার কোম্পানি ডেবসওয়ানা এ খনি পরিচালনা করে থাকে। ১৯৭১ সাল থেকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে এখান থেকে হীরা উত্তোলন করা হচ্ছে।
২০১৮ সালের হিসাব অনুসারে এ খনিতে সম্ভাব্য মজুতের পরিমাণ প্রায় ১৩ কোটি ১২ লাখ মেট্রিক টন। ২০২২ সালে ওরাপা খনি থেকে প্রায় ৮ কোটি ৮৫ লাখ ক্যারেট হীরা উত্তোলন করা হয়েছে।
৭কাটোকা, অ্যাঙ্গোলাকাটোকা খনি