রিও ডি জেনিরোর একটি আদালত বৃহস্পতিবার ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেজকে সরিয়ে দিয়েছেন। অপসারণ করা হয়েছে বোর্ড সদস্যদেরও। অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে ফার্নান্দো সারনিকে দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন আদালত।

সারনি সিবিএফের সহসভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই এদনালদো রদ্রিগেজকে অপসারণের আবেদন করেছিলেন। তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয় সিবিএফের সঙ্গে যোগাযোগ করলে রয়টার্স কোনো মন্তব্য পায়নি।

রদ্রিগেজকে অপসারণের নির্দেশনাটি এসেছে সিবিএফের সাবেক সভাপতি আন্তোনিও কার্লোস নুনেস দে লিমার সই জাল করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে। এ বছরের শুরুতেই নুনেস দে লিমা ও রদ্রিগেজ এমন একটি চুক্তি করেন, যা রদ্রিগেজকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সিবিএফ প্রধান পুনর্নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।

রিও ডি জেনিরো আদালতের বিচারক গ্যাব্রিয়েল দে অলিভেইরা জেফিরো তার রায়ে বলেন, নুনেসের পক্ষে যে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে, তা হলো স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে তিনি শুনানিতে হাজির হতে পারেননি। বিচারক আরও জানান, ওই সাবেক সভাপতির মানসিক সক্ষমতা ২০১৮ সাল থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ, যেহেতু সে সময় তার মস্তিষ্কে ক্যানসার ধরা পড়ে।

বিচারক বলেন, ‘আমি ঘোষণা করছি যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত এবং পূর্বে উচ্চ আদালত কর্তৃক অনুমোদিত চুক্তিটি বাতিল ও অকার্যকর। কারণ আন্তোনিও কার্লোস নুনেস দে লিমার মানসিক অক্ষমতা এবং তার সইয়ে সম্ভাব্য জালিয়াতি রয়েছে। এর ফলে যৌক্তিক পরিণতি হচ্ছে বর্তমান সিবিএফ প্রশাসনের বৈধতা স্বীকার না করা। সংগঠনটি নেতৃত্বশূন্য থাকতে পারে না এবং আইনের অধীনে বৈধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া এখন অত্যাবশ্যক।’

রদ্রিগেজ এর আগেও ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রিও ডি জেনিরোর কোর্ট অব জাস্টিসের এক রায়ের সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হয়েছিলেন। তখন সিবিএফের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ঘিরে বিরোধের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছিল। তবে এক মাস পরই ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক গিলমার মেন্ডেস তাকে পদে পুনর্বহাল করেন। যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, রদ্রিগেজ না থাকলে ব্রাজিল জাতীয় দলকে ফিফা নিষিদ্ধ করতে পারে।

রদ্রিগেজ এ বছরের মার্চে পুনর্নির্বাচিত হন। তবে কার্লো আনচেলত্তিকে ব্রাজিলের নতুন কোচ হিসেবে ঘোষণার দেওয়ার তিন দিনের মধ্যেই আবার অপসারিত হলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব এফ র ব চ রক অপস র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউটিউবে ভিডিও নির্মাতাদের আয় ও ভিউ কমে যাওয়ার আশঙ্কা

ইউটিউব এখন বিনোদনের অন্যতম উৎস। আর তাই শখের বসে বা অনলাইনে আয়ের জন্য অনেকেই ইউটিউবে চ্যানেল খুলে নিয়মিত ভিডিও প্রকাশ করেন। তবে ভিডিওর মান ভালো হলেও ভিউ ও লাইকসংখ্যা কম থাকলে আয়ের পরিমাণ কমে যায় ভিডিওগুলোর নির্মাতাদের। আর তাই নিজেদের তৈরি ভিডিওর ভিউ ও লাইকের সংখ্যা বাড়াতে নানা ধরনের চেষ্টা করেন নির্মাতারা। কিন্তু এবার ইউটিউবের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সার্চ ফলাফলের কারণে নির্মাতাদের আয় ও ভিডিওর ভিউ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইউটিউব সার্চে এআই সার্চ ফলাফল চালুর ফলে ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন নির্মাতাদের ভিডিওতে থাকা তথ্যের সারাংশসহ ভিডিওর থাম্বনেইল দেখা যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ভিডিওর থাম্বনেইলে ট্যাপ করলেই তা সরাসরি চালু হয়ে যায়। এর ফলে ইউটিউব ব্যবহারকারীরা ভিডিও না দেখেই সেখানে থাকা তথ্য সরাসরি জানতে পারায় সার্চ ফলাফলে থাকা সব ভিডিওতে ক্লিক করতে হয় না। এতে ইউটিউবে ভিডিও নির্মাতাদের আয় ও ভিউ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুনইউটিউব চ্যানেল জনপ্রিয় করার ৭ কৌশল১৪ জানুয়ারি ২০২৩

নতুন এই সুবিধা প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ইউটিউব প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য চালু করা হয়েছে। সুবিধাটি চালুর মাধ্যমে গুগল তাদের সার্চ ও কনটেন্ট ডিসকভারি ব্যবস্থায় জেনারেটিভ এআইয়ের ব্যবহার আরও শক্তিশালী করল। গুগল সার্চে ‘এআই ওভারভিউ’ যেভাবে প্রচলিত লিংকের আগে সারাংশ দেখায়, ইউটিউবেও এখন ঠিক তেমনভাবেই সার্চ ফলাফলের শীর্ষে দেখানো হবে এআই সারাংশ। এক ব্লগ বার্তায় জানিয়েছে ইউটিউব, ইতিমধ্যে প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীরা এটি পছন্দ করছেন। শিক্ষামূলক ভিডিওর ক্ষেত্রে তারা বাড়তি তথ্য পাচ্ছেন, সুপারিশ পাচ্ছেন, এমনকি ভিডিও দেখে নিজেরাই নিজেদের জ্ঞান যাচাই করছেন।

আরও পড়ুনইউটিউব ভিডিও নির্মাতাদের জন্য সুখবর০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা, নতুন এই সুবিধা ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাজনক হলেও ভিডিও নির্মাতাদের জন্য কিছুটা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। ইউটিউব ভিডিওর সারাংশ সার্চ ফলাফলে দেখা যাওয়ায় অনেক ব্যবহারকারী পুরো ভিডিও না দেখেই প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন। এতে ভিডিওর ভিউ কমে যাওয়ার পাশাপাশি কমে যেতে পারে মন্তব্য, লাইক বা চ্যানেলের নতুন নিবন্ধনকারীর সংখ্যা। এর প্রভাব পড়তে পারে আয়েও।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ