আওয়ামী লীগের বিচার ছাড়া সরকারের বড় কোনো সংস্কার নেই: হাসনাত আবদুল্লাহ
Published: 16th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগের বিচার ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের বড় কোনো সংস্কার নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। শুক্রবার রাত আটটার দিকে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত ‘জুলাই সমাবেশে’ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। জুলাই অভ্যুত্থানে কুমিল্লার আহত ও শহীদদের সম্মানে এ সমাবেশের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সরকারের উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যদি মনে করে থাকেন আওয়ামী লীগের বিচার ছাড়া অন্য কোনো বড় সংস্কার রয়েছে, তাহলে আপনারা ভুলের মধ্যে রয়েছেন। খুনিদের বিচার হচ্ছে এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান এবং প্রথম সংস্কার। আমরা এই সংস্কারটিকেই প্রথমে দেখতে চাই।’
বক্তব্যের শুরুতে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আজকে একজন শহীদের স্ত্রী আমার কাছে এসে বলেছেন, “আমার স্বামীকে তো আর ফিরিয়ে দিতে পারবেন না; কিন্তু যাদের ধরা হয়েছে কোর্ট তাঁদের জামিন দিয়ে দিচ্ছেন। হত্যাকারীরা ৫ আগস্টের আগে যেভাবে ঘুরত, ঠিক একইভাবে আমাদের বাড়ির সামনে গিয়ে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়।” আমি মনে করি এটা আমাদের ব্যর্থতা, এটা আসিফ নজরুল স্যারেরও ব্যর্থতা।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আসিফ নজরুল স্যারের কাছে জানতে চাই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কোন কোন বিচারক জামিন দেয়। এসবের পেছনে কাদের ইন্ধন রয়েছে। আপনার প্রতি শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। আপনি সেটার মূল্য দেবেন।’
নির্বাচন কমিশন নিয়ে হাসনাত বলেন, ‘আমরা প্রস্তাবনা দিয়েছি, যারা ফেরারি আসামি আছে, যারা গণহত্যার আসামি আছে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইলে সশরীর এসে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেটার বিরোধিতা জানিয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই, আপনারা কাদের পারপাস সার্ভ করছেন?’
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও তাদের অর্থদাতারা এখনো অক্ষত আছে মন্তব্য করে হাসনাত বলেন, ‘আমি এখন যেহেতু কুমিল্লা রয়েছি, তাই কুমিল্লাকে দিয়ে উদাহরণ দিতে চাই। কুমিল্লার অনেক উপজেলা রয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতিও আওয়ামী লীগের টাকায় চলে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, অতি দ্রুত আওয়ামী লীগের অর্থকাঠামো ধ্বংস করে দিতে হবে। আওয়ামী লীগের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তাদের অর্থকাঠামো ঠিক রেখে আপনি কখনোই যথাযথ সংস্কার করতে পারবেন না।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা শুধু আওয়ামী লীগ নিয়ে কথা বলি। কিন্তু তাদের সহযোগী যেই ১৪ দল রয়েছে, তাদের নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী চিন্তা করছে, তা-ও আমাদের স্পষ্ট করতে হবে। আওয়ামী লীগের সহযোগী জাপা ভারত থেকে এসে বলত, আমরা কি সরকারি দল হব, না বিরোধী দল হব, সেটা আপার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।’
মানবিক করিডরের বিষয়ে হাসনাত বলেন, ‘আমাদের দেশকে আমরা কোনো পরাশক্তির কাছে বন্ধক রাখব না। মানবিক করিডর নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্পষ্ট বক্তব্য দিতে হবে। এখানে আমরা কোনো ধোঁয়াশা দেখতে চাই না। দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা কোনো আপস দেখতে চাই না।’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে সব সময় মুলা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। আমরা সরকারকে বলব, টালবাহানা না করে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিন। কারণ তাঁদের দাবিগুলো মৌলিক দাবি।’
জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রসঙ্গ টেনে হাসনাত বলেন, ‘আপনারা এক মাসের সময় নিয়েছেন, সেটির বাকি আগামী ২৬ কর্মদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র সরকারকে দিতে হবে, যেখানে আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। যদি তা না হয়, তাহলে আমরা আবারও রাজপথে নেমে আসব।’
ফ্যাসিবাদবিরোধী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরলে কাদের লাভ, সেটা সবারই জানা। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সব রাজনৈতিক দলকে কুমিল্লার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ যদি একবার ফিরে আসতে পারে, তাহলে কুমিল্লাতে আলাদা স্টেট করে দেবে। কারণ, শেখ হাসিনা ও তাঁর বাবার দিবারাতের দুঃস্বপ্ন ছিল এই কুমিল্লা।’
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা ছিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার। তবে শেষ পর্যন্ত ‘অনিবার্য কারণবশত’ তাঁর সফর বাতিল হওয়ায় সমাবেশে আসতে পারেননি তিনি। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ শাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব রিফাত রশিদ ও জয়নাল আবেদীন, ফেস দ্য পিপলের সম্পাদক সাইফুর সাগর।
সমাবেশে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ (ওয়াসিম), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কুমিল্লা মহানগরের সভাপতি এম এম বিল্লাল হুসাইন, এবি পার্টির কুমিল্লা মহানগরের সভাপতি জি এম সামদানী, সচেতন রাজনৈতিক ফোরাম কুমিল্লার প্রধান সমন্বয়ক শাহ্ মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র র র জন ত আম দ র আপন র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
বাঙালি মুসলিমদের নিশানা করেই কি আসামে আদিবাসীদের অস্ত্র দিচ্ছে রাজ্য সরকার
ভারতের আসাম রাজ্যের বিজেপি সরকার তীব্র বিতর্ক সত্ত্বেও গতকাল বৃহস্পতিবার আদিবাসীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। ওই দিনই জানানো হয়েছে, অনলাইনে আবেদন করে রাজ্যের ‘অরক্ষিত ও প্রত্যন্ত’ এলাকায় বসবাসকারী ‘মূল নিবাসী উপজাতি গোষ্ঠীর’ মানুষ আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
ভারতের সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ স্থানীয় কয়েকটি সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, বিজেপিশাসিত রাজ্যের বিজেপিদলীয় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার অতীতের একাধিক ভাষণ থেকে এটা স্পষ্ট যে ‘অরক্ষিত’ এলাকা বলতে এমন অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে, যেখানে বাঙালি-বংশোদ্ভূত মুসলিমরা বসবাস করেন।
রাজ্যের একাংশের মানুষ নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে শুক্রবার বলেন, এর ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতে সহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিল।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নাগরিকের হাতে অস্ত্র থাকা প্রয়োজন: মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত
অস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে বৃহস্পতিবার পোর্টাল চালু করার সময় মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বশর্মা বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘যদি আমি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বা আন্তরাষ্ট্রীয় সীমানা অঞ্চলের কাছাকাছি থাকি, অথবা আমি এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করি, যেখানে আমার সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা খুবই কম। যদি সেখানে একটি সম্প্রদায়ের হার ৯০-৯৫ শতাংশ হয় এবং অপর সম্প্রদায় ৫ শতাংশ হয়, তবে সেখানে উত্তেজনা থাকবে। ঐতিহাসিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক—সব স্তরেই উত্তেজনা থাকবে। একটি ছোট ঘটনা এমন পরিস্থিতিও সৃষ্টি করতে পারে যেখানে ৯৫ শতাংশের সম্প্রদায় ৫ শতাংশকে আক্রমণ করে বাড়িঘর পুড়িয়ে দিতে পারে।’
আসামের আদিবাসীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার পক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর আরও যুক্তি, সাধারণভাবে একটি থানায় ৬ থেকে ১২ জন কনস্টেবল থাকেন। কোনো সংঘাত হলে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠাতে দুই-তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
বিজেপির এই উগ্রবাদী মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই দুই-তিন ঘণ্টা আমাদের নিজেদের রক্ষা করতে হবে। এবং যদি লোকেরা (আক্রমণকারীরা) এটা জানে, আক্রান্ত ব্যক্তি বা আক্রান্ত বাড়িতে একটি আগ্নেয়াস্ত্র আছে, তাহলে এটিই একটি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নাগরিকদের ‘প্রথম প্রতিরক্ষক’ বলেও উল্লেখ করেন হিমন্ত।
কারা পেতে পারেন আগ্নেয়াস্ত্র
আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের জন্য ‘সেবা সেতু’ নামে একটি পোর্টালে আবেদন করা যাবে। সেবা সেতু ওয়েবসাইটে এত দিন আসাম সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক পরিষেবার ঘোষণা দেওয়া হতো। সেসবের পাশাপাশি এখন জানানো হয়েছে, কারা আগ্নেয়াস্ত্র পেতে পারেন।
ওয়েবসাইটে শর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, আবেদনকারীকে আসামের আদিবাসী হতে হবে, তার বয়স কমপক্ষে ২১ হতে হবে এবং ‘অরক্ষিত ও প্রত্যন্ত’ অঞ্চলে বসবাস করতে হবে। আবেদনকারীর অপরাধমূলক কোনো ব্যক্তিগত ইতিহাস থাকা চলবে না এবং তার বিরুদ্ধে কোনো মামলাও থাকা চলবে না।
সেবা সেতু ওয়েবসাইটে শর্তে আরও বলা হয়, আবেদনকারীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। ২০১৬ সালের অস্ত্র আইন মোতাবেক উপযুক্ত প্রশিক্ষণও থাকতে হবে।
তবে প্রচারমাধ্যমের বক্তব্য অনুসারে, আসামের মুখ্যমন্ত্রী ‘অরক্ষিত অঞ্চল’ বলতে বাঙালি মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলকে বোঝালেও সেবা সেতুতে অরক্ষিত অঞ্চলের কোনো সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। বন্দুক সংগ্রহ করার আগে আরও একাধিক বিষয়—যেমন কেন তার আগ্নেয়াস্ত্র প্রয়োজন—এ বিষয়ে আবেদনকারীকে লিখিতভাবে তার বক্তব্য রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে।
ভারতের বর্তমান অস্ত্র আইন অনুসারে একজন সাধারণ বেসামরিক নাগরিকের পক্ষে আইনগতভাবে অস্ত্র কেনা বা সংগ্রহ করা প্রায় অসম্ভব। আসাম সরকারের এই নতুন নির্দেশনা অস্ত্র সংগ্রহ করাকে অনেক সহজ করে দেবে বলে আসামের সাধারণ মানুষই মনে করছেন।
নাগরিক সমাজের বিরোধিতা
আজ শুক্রবার প্রথম আলোর সঙ্গে এই বিষয়ে আসামের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক কথা বলেন। তাঁদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এক বিপজ্জনক পরিস্থিতি আসামে তৈরি হতে চলেছে।’
ওই ব্যবসায়ী বলেন, এটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই যে আসামে এই মুহূর্তে প্রায় ৪০ শতাংশ মুসলিম রয়েছেন, যাঁদের বড় অংশই বাঙালি মুসলমান। আসামে যে জনবিন্যাসের একটা পরিবর্তন হচ্ছে তা–ও অনস্বীকার্য। কিন্তু তার অর্থ এই নয়, সমাজের একটি বৃহৎ অংশের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়ে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হবে।
আসামের ওই ব্যবসায়ী আরও বলেন, যে রাজ্যে বা দেশে সাধারণ মানুষের হাতে বেশি অস্ত্র থাকে, সেখানে সাধারণভাবেই বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে মাঝেমধ্যেই স্কুল-কলেজে গুলি চলে। আসামে সুকৌশলে পরিস্থিতিকে সেই দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনআসামে কাদের লক্ষ্য করে আদিবাসী, মূল নিবাসীদের আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি দিল হিমান্তের সরকার৩০ মে ২০২৫উত্তর-পূর্ব ভারতে একসময় কর্মরত এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার মতে, এর ফলে আসামসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অংশেও সহিংসতা বাড়বে।
সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘বন্দুক এমন এক জিনিস, যা এক জায়গায় থেমে থাকে না। একেকটি বন্দুকের বিরাট আয়ু হয়, যত্নে রাখলে একেকটি বন্দুক দীর্ঘদিন কাজ করে। ফলে এই আগ্নেয়াস্ত্র ধীরে ধীরে কালোবাজারে বিক্রি হবে এবং তা গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে ছড়িয়ে পড়বে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও ঢুকে পড়বে। আসামের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত রয়েছে।’
সাবেক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারত অত্যন্ত স্পর্শকাতর জায়গা, যার সীমান্তের মাত্র ২ শতাংশ রয়েছে ভারতের সঙ্গে। বাকি ৯৮ শতাংশ অন্যান্য দেশের সঙ্গে।
অবসরপ্রাপ্ত ওই পুলিশ কর্তা বলছিলেন, ‘সেসব দেশের সঙ্গে নানা কারণে ভারতের সম্পর্ক বেশ খানিকটা নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, তা ঈশ্বরই জানেন।’
উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষকের কথায়, এর ফলে শুধু আসামে নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যে সহিংসতা বাড়বে। কারণ, এই বন্দুক সেখানেও পৌঁছবে।
ওই গবেষক বলেন, ‘আমার মনে হয় এই কাজটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হলো। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হয়তো এভাবে নিজেকে জাতীয় রাজনীতিতে তুলে ধরতে চাইছেন। কারণ, তিনি দেখেছেন, মুসলিম সমাজের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক নেতারা তাঁদের রাজনৈতিক জীবনে চরম উন্নতি করেছেন।’
আরও পড়ুনবাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে হিমন্তের বিতর্কিত মন্তব্য, নিন্দা জানাল বিরোধীরা১৮ মে ২০২৪