মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা ট্রাক্টর
Published: 16th, May 2025 GMT
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলা অংশে অবাধে বিচরণ করছে অটোরিকশা, হ্যান্ডট্রলি ও ট্রাক্টর। এ কারণে ব্যাহত হচ্ছে মহাসড়কের শৃঙ্খলা। হাইওয়ে পুলিশ সক্রিয় থাকলেও শুধু আইন দিয়ে বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ফিটনেসবিহীন গাড়ির দৌরাত্ম্য। যত্রতত্র গাড়ি পার্ক করছেন চালকরা। রাস্তা পারাপারেও নিয়মনীতি মানছেন না পথচারীরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে মহাসড়কের শৃঙ্খলা। ফলে তৈরি হচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। বাড়ছে যানজট। মহাসড়কে বেড়েছে অটোরিকশা, হ্যান্ডট্রলি ও ট্রাক্টরের আধিপত্য। অথচ মহাসড়কে চলাচলের অনুমোদন নেই এসব যানবাহনের।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে কয়েকজন চালক জানান, মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলে হাইওয়ে পুলিশকে মাসোয়ারা দিয়ে। ফলে অনেক সময় সড়কেই বিকল হয়ে পড়ে ফিটনেসবিহীন যান। তৈরি হয় যানজট। যানজট ছড়িয়ে পড়ে ৩০-৩৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোগান্তি পোহাতে হয় মহাসড়কে।
স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতের জন্য যাত্রীদের নির্ভর করতে হয় লেগুনা অথবা ভাঙাচোরা মাইক্রোবাসের ওপর। ফলে মৃত্যুকে সঙ্গী করেই তাদের চলাফেরা করতে হয়। নির্দিষ্ট স্থান থাকলেও দেখা যায় যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কের যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করায়। নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না তারা। পণ্যবাহী যানবাহনও মহাসড়কের যত্রতত্র ফেলে রাখতে দেখা যায়।
মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলা অংশে রয়েছে ৪টি ফুট ওভারব্রিজ। এগুলো নির্মাণ করা হয়েছে পথচারীদের রাস্তা পারাপারের সুবিধার্থে। যাতে নিরাপদে রাস্তা পার হওয়া যায়। তবে এসব ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করে রাস্তা পারাপারে খুব একটা আগ্রহ নেই পথচারীদের। সরেজমিন দেখা গেল, যত্রতত্র ইচ্ছেমতো মহাসড়ক পারাপার হচ্ছেন অনেক পথচারী।
সম্প্রতি দাউদকান্দির গৌরীপুর অংশে ফুট ওভারব্রিজের নিচে সড়ক বিভাজনে তৈরি করা হয়েছে বেষ্টনী। ফলে সেখানে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছেন পথচারীরা। অন্যগুলোর নিচেও সড়ক বিভাজনে বেষ্টনী নির্মাণ করা জরুরি বলে মনে করছেন সচেতন লোকজন।
নিরাপদ সড়ক চাই দাউদকান্দি উপজেলা শাখার সভাপতি লিটন সরকার বাদলের ভাষ্য, মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আরও সক্রিয় হতে হবে। এর আগে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি হওয়া জরুরি। তিনি স্বীকার করেন, শুধু আইন দিয়ে অনিয়ম প্রতিরোধ সম্ভব নয়। প্রয়োজন নাগরিক সচেতনতা।
পরিবেশবিদ অধ্যাপক মতিন সৈকত বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়েই চলাফেরা করি। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, ছোট গাড়ির মহাসড়ক দখল, ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার না করায় আমরা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি।’
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি রাশেদ খান চৌধুরী জানান, গত ২৯ এপ্রিল এখানে যোগদান করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে অটোরিকশা, হ্যান্ডট্রলি, টাক্টরসহ ফিটনেসবিহীন প্রায় ১৫০টির মতো যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ উদক ন দ পথচ র
এছাড়াও পড়ুন:
বকেয়া বেতন-বোনাস দাবি, টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ পোশাক শ্রমিকদের
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত হোসেন মার্কেট এলাকার বিএসআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয় পাশে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট যান চলাচল বন্ধ ছিল।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, কারখানাটির প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন শ্রমিক গত এপ্রিল ও চলতি মে মাসের মাসের বকেয়া বেতন, শ্রমের অতিরিক্ত মজুরি (ওভারটাইম) ও ঈদ-উল-আযহার বোনাসের টাকা পরিশোধের তারিখ নির্ধারণের দাবি জানায় কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। শনিবার সকালে কারখানাটির বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কয়েকটি দাবি জানিয়ে মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করে।
শ্রমিক জাহানারা বেগম জানান, গত এপ্রিল ও মে মাসের মাসের বকেয়া বেতন, ও ঈদ বোনাসের টাকা পরিশোধের দাবি জানিয়ে ছিলাম আমরা। কবে পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে সে বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। আমরা পালাক্রমে কারখানাটি পাহারা দিচ্ছি। মালিক কারখানার মালামাল ও মেশিনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জানতে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
গাজীপুরে শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (টঙ্গী জোন) ইসমাইল হোসেন বলেন, কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে গিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান করছে। কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধানের চেষ্টা চলছে।