এক মাস ধরে চট্টগ্রামের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। তবে গত কয়েক দিনে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা কেজিতে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ কম। গরু ও ছাগলের মাংসের বিক্রি গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে।

সকাল ৮টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, বাজারে ক্রেতা তেমন নেই। কিছু বিক্রেতা দোকান খুলেছেন, কেউ আবার খুলতে শুরু করেছেন। বাজারে কথা হয় মুরগি বিক্রেতা মো.

ফয়সালের সঙ্গে। তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে এত দিন ব্রয়লার মুরগির সরবরাহের তুলনায় চাহিদা ছিল কম। তবে এখন চাহিদা বাড়ছে, তাই এর সঙ্গে দামেরও কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে।

বাজারের আরেক বিক্রেতা মো. সাইফুল বলেন, এখন পর্যন্ত মুরগির দাম কমই বলা যায়। বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকায় মুরগির দাম কম। তিনি জানান, সোনালি মুরগির দাম বেশ কিছু দিন ধরে স্থিতিশীল। প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কোরবানির ঈদের পর চট্টগ্রামে গরুর মাংসের চাহিদা কমেছিল। তাই অধিকাংশ দোকানে একটি বা দুটি গরু জবাই হয়ে এলেও আজ কিছু দোকানে বাড়তি পশু জবাই করতে দেখা যায়। গরুর মাংস আকার অনুযায়ী দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রাখছেন বিক্রেতারা। সেখানে হাড়সহ মাংস ও হাড়ছাড়া মাংস আলাদা রাখা হয়েছে। হাড়সহ মাংস প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা। অন্যদিকে হাড়ছাড়া মাংস ৯৫০ টাকার আশপাশে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি গরুর কলিজা। দোকানভেদে দাম ১ হাজার টাকাও চাওয়া হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, পবিত্র আশুরা ঘিরে মাংসের চাহিদা বাড়ে, তাই তাঁরা বাড়তি পশু জবাই করেছেন। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকায়।

বাজারে বিক্রির জন্য খাঁচায় রাখা হয়েছে ব্রয়লার মুরগি। আজ সকালে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট বাজারে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম রগ র দ ম

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অপেক্ষায় আছেন উদ্যোক্তারা: জিইডির প্রতিবেদন

নতুন ব্যবসা চালু করতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অপেক্ষায় আছেন বহু উদ্যোক্তা। সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সর্বশেষ মাসিক অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

জিইডির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচন যদি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক গতিপথ ঠিক করে এবং নতুন সরকার এসে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা, আর্থিক ও ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা, জ্বালানি নিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন সংস্কারের উদ্যোগ অব্যাহত রাখে, তাহলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ফিরে পাবে।

জিইডির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় অর্থনীতি নিয়ে সতর্ক আশাবাদ দেখিয়েছে জিইডি। জিইডি বলছে, একদিকে অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে স্থায়ী মূল্যস্ফীতি, ব্যবসায়িক আত্মবিশ্বাস ও দুর্বল ব্যাংকিং খাত স্থানীয় চাহিদা ও বেসরকারি বিনিয়োগকে সীমিত করতে পারে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ভালো অবস্থায়

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আগের তুলনায় ভালো হয়েছে বলে মনে করছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। এ ছাড়া প্রবাসী আয়ের ধারাবাহিক প্রবাহ বেড়েছে, যা দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অবস্থান ভালো হওয়ার বড় কারণ।

জিইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে চলতি বছরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বা বহির্বাণিজ্যের সূচকে অস্থিরতা ছিল। রপ্তানি আয়ের সূচকও ওঠানামা করেছে। বিশেষ করে ২০২৫ সালের এপ্রিল ও জুনে রপ্তানি আয়ে পতন দেখা যায়। তবে অক্টোবরে এই সূচকের অবস্থানে উন্নতি দেখা যায়। তৈরি পোশাকশিল্পের রপ্তানির সূচকে বছরের অর্ধেক সময় পর্যন্ত ধীরগতি দেখা গেলেও পরবর্তী সময়ে উন্নতি হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে মোট রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৫ সালের অক্টোবরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার।

প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে। এর কারণ খাদ্যের দাম স্থিতিশীল হচ্ছে ও সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ সরবরাহের শৃঙ্খলে স্থিতিশীলতা ও আমদানি করা পণ্যের চাপ কম থাকায় চলতি বছরের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরে ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমার বড় কারণ হচ্ছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরের ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবরে ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান ৪৭ শতাংশ

খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে চাল। জিইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান ছিল ৪৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় সামান্য কম। আর মাছ ও মাংসের ভূমিকা ছিল যথাক্রমে ৩৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। তবে পর্যাপ্ত মৌসুমি সরবরাহ ভালো থাকায় সবজির দাম কম ছিল। তাই সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমাতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে সবজি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কমেছে মাছ মুরগি ও সবজির দাম
  • মমতাজের জনপ্রিয় পঞ্চমিশালি আচার
  • ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি, আবার পুতিনকেও উষ্ণ অভ্যর্থনা: একসঙ্গে দুই কূল কি রাখতে পারবে ভারত
  • পুতিনের ভারত সফর, কী থাকছে অর্থনীতিতে
  • সংস্কারকাজ শেষে হবিগঞ্জ-৫নং কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ বেড়েছে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট
  • সরকারকে না জানিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা : বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • জামালপুরে সারের দাবিতে কৃষকদের সড়ক অবরোধ
  • রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অপেক্ষায় আছেন উদ্যোক্তারা: জিইডির প্রতিবেদন