গ্রেনাডার সবুজ উইকেটে টস জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। শুরুটা যেমন ছিল আশাব্যঞ্জক, তেমনি হঠাৎই এক পর্যায়ে তারা যেন হারিয়ে ফেলে পথ। তাতে মাত্র ৬৬.৫ ওভারেই অলআউট ২৮৭ রানে। তবে আরও বিপর্যয় এড়াতে আজ আবারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেন আলেক্স ক্যারি ও বিউ ওয়েবস্টার।
উসমান খাজা ও স্যাম কনস্টাস শুরুটা ভালো করেছিলেন। তুলেছিলেন ১০ ওভারে ৪৭ রান। কিন্তু এরপর ক্যারিবীয় পেসারদের আগুনে স্পেলে ধস নামে অজিদের ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরে যান খাজা, কনস্টাস ও স্টিভ স্মিথ। তিন সিনিয়র ক্রিকেটারই ব্যর্থ।
খাজা ফেরেন এলবিডব্লিউ হয়ে (১৬), কনস্টাস ক্যাচ দিয়ে (২৫), আর স্মিথ যান শূন্য রানে টপ এজ হয়ে। স্কোরবোর্ডে হঠাৎই দেখা দেয় ৫০/৩।
আরো পড়ুন:
গিলের ডাবল সেঞ্চুরিতে ভারতের রান পাহাড়, শুরুতেই চাপে ইংল্যান্ড
ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিতে ভাস্বর গিল
ক্যামেরন গ্রিন (২৬) আর ট্র্যাভিস হেড (২৯) একটু ভরসা দিলেও বেশিদূর যেতে পারেননি। ১১০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অজিরা ছিল ছিন্নভিন্ন। ঠিক তখনই ব্যাট হাতে জুটি বাঁধেন ক্যারি ও ওয়েবস্টার। ষষ্ঠ উইকেটে তারা যোগ করেন গুরুত্বপূর্ণ ১১২ রান।
ক্যারি ৮১ বলে করেন ৬৩ রান (১০ চার, ১ ছক্কা), আর ওয়েবস্টার লড়াকু ইনিংসে করেন ৬০ রান (১১৫ বল, ৬ চার, ১ ছক্কা)। তবে বাকি ব্যাটারদের আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। কামিন্স ১৭, স্টার্ক ৬, লিয়ন ১১ রানে বিদায় নেন দ্রুত। তাতে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয় ২৮৭ রানে, মাত্র ৬৭তম ওভারে। দিন শেষে বৃষ্টির কারণে আর খেলা হয়নি।
আলজারি জোসেফ ছিলেন ক্যারিবীয় বোলিংয়ের মূল মুখ। তিনি ৬১ রানে নেন ৪টি উইকেট। ৪৫ রানে ২টি উইকেট নেন জয়ডেন সিলস।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।
আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।
রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।
কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?
কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।
রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।
রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।
এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।
রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।