আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ওয়ানডে তুলে দিতে চান তিনি
Published: 4th, July 2025 GMT
বয়স কেবল ৩৩। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলছেন ৭ বছর। ক্যারিয়ারের যখন পরিণত সময়, তখনই কিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন হাইনরিখ ক্লাসেন। জাতীয় দলকে বিদায় ও ক্যারিয়ার নিয়ে ক্লাসেন কথা বলেছেন ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে।
সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো কিছু বদলানোর ক্ষমতা থাকলে কী করতেন? উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, তেমন সুযোগ থাকলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ তুলে দিতেন। যদিও ৪ বছর পরপর ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনে সমস্যা দেখছেন না ক্লাসেন।
ওয়ানডে নিয়ে ক্লাসেনের প্রস্তাব এমন, ‘আমি যে একটি বদল আনতাম (সুযোগ পেলে), হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ওয়ানডে বাদ দিয়ে দিতাম। যে দলগুলো টেস্ট ম্যাচ তেমন খেলে না, তাদের জন্য এই সংস্করণে ম্যাচ বাড়িয়ে দিতাম। আরও বেশি টি–টোয়েন্টি খেলতে দিতাম। কারণ, মানুষ এটাই দেখতে চায়। (ওয়ানডে) বিশ্বকাপের আগে শুধু একটা মাস সময় দিয়ে প্রতিটি দলের জন্য পাঁচ ম্যাচ রাখলেই হয়, যেন তারা এই সংস্করণের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে পারে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর এখন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দল সিয়াটল ওরকাসের হয়ে খেলছেন ক্লাসেন। দুনিয়াজুড়ে এখন শুধু বেড়েই চলেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। ক্লাসেনের মতো অনেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।
হাইনরিখ ক্লাসেন সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলকে বিদায় বলে দিয়েছেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।